Arrest : ভুবনেশ্বরে পালিয়েও শেষরক্ষা হল না, পুলিশের জালে মগরাহাটে মোজ্জামেল খুনে মূল অভিযুক্ত-সহ ২
Arrest : খুনের পর ওই দু'জন ক্যানিং পালিয়ে যায়। সেখান থেকে যায় ওড়িশার ভুবনেশ্বরে। সেখানে একটি হোটেলে গিয়ে উঠে তারা।
ডায়মন্ড হারবার : পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে ওড়িশার ভুবনেশ্বরে পালিয়েছিল। কিন্তু, শেষরক্ষা হল না। পুলিশের জালে ধরা পড়ল মগরাহাটে মোজাম্মেল ঢালি খুনে (Murder) মূল অভিযুক্ত-সহ ২ ব্যক্তি। ধৃতদের নাম মানোয়ার মোল্লা ও তার গাড়ির চালক মাসুম ফকির। আজ ভুবনেশ্বর থেকে তাদের ডায়মন্ড হারবারে নিয়ে আসা হয়েছে। আগামিকাল তাদের আদালতে তোলা হবে।
মগরাহাটের বেণীপুরে খুনের ঘটনাটি ঘটে ৪ মে। জানা গিয়েছে, মোজাম্মেল ঢালির কাছে সুদের টাকা পেত মানোয়ার। ওই সুদের টাকা ফেরত নিয়ে মোজ্জাম্মেলের সঙ্গে তার বচসা বাধে। সেইসময় পিস্তল থেকে কয়েক রাউন্ড গুলি চালায় মানোয়ার। গুলিবিদ্ধ হয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন মোজ্জামেল ও তাঁর ভাই রেজুয়ান ঢালি। দু’জনকে উদ্ধার করে মগরাহাট ব্লক হাসপাতালে নিয়ে গেলে মোজাম্মেলকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
ঘটনার পর এলাকা থেকে গাড়ি নিয়ে চম্পট দেয় মানোয়ার। ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকারের নেতৃত্বে তদন্তে নামে স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ। পুলিশ সুপার আজ বলেন, খুনের পর ওই দু’জন ক্যানিং পালিয়ে যায়। সেখান থেকে যায় ওড়িশার ভুবনেশ্বরে। সেখানে একটি হোটেলে গিয়ে উঠে তারা। বিভিন্ন সূত্র মারফত তার ঠিকানা জানতে পারে পুলিশ। সেইমতো ভুবনেশ্বর থেকে তাকে ও তার গাড়ির চালককে গ্রেফতার করে। তবে ধৃতদের কাছ থেকে কোনও অস্ত্র পাওয়া যায়নি।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মানোয়ার জানায়, এলাকায় সুদের ব্যবসা করে সে। তার থেকে নিহত মোজাম্মেল ঢালি সুদে টাকা নিয়েছিল। কিন্তু সেই টাকা পরিশোধ না করায় তাকে পরিকল্পনা করে খুন করে সে। দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে এই ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত রয়েছে কি না খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আগামিকাল ধৃত ২ জনকে আদালতে তোলা হবে। তাদের ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানানো হবে বলে জানালেন ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার। খুনের পিছনে আর কোনও উদ্দেশ্য রয়েছে কি না, তা তদন্ত করে দেখা হবে।