Fake Primary Teacher: প্রথমদিন কাজে যোগ দিতে এলেন শিক্ষক, নিয়োগপত্র দেখে হতবাক সকলে…
South 24 parganas: ২০০৯ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের জন্য জেলাভিত্তিক পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। দীর্ঘ টালবাহনার পর আদালতের নির্দেশে সম্প্রতি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের পক্ষ থেকে ১ হাজার ৫০৬ জনের নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। সেই নিয়োগ ইতিমধ্যে শেষও হয়ে গিয়েছে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: হরেক কিসিমের দুর্নীতির অভিযোগে এই মুহূর্তে বিদ্ধ রাজ্য। শিক্ষক নিয়োগ থেকে পুরনিয়োগ হয়ে এখন রেশন দুর্নীতিতে তোলপাড় রাজ্য। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি-সিবিআই একযোগে তদন্ত চালাচ্ছে। এরমধ্যেও থামানো যাচ্ছে না ‘দু’নম্বরি’ কার্যকলাপ। এবার ভুয়ো নিয়োগপত্র নিয়ে স্কুলে যোগ দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠল দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ সূত্রে খবর, এরকম একজনের খোঁজ মিলেছে।
ভুয়ো নিয়োগপত্র নিয়ে কাজে যোগ দিতে এসে ধরা পড়া এক ‘শিক্ষক’-এর বাড়ির লোক জানিয়েছেন, টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে কেউ এই ভুয়ো নিয়োগপত্র দিয়েছেন। তাঁরা প্রতারণার শিকার।
২০০৯ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের জন্য জেলাভিত্তিক পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। দীর্ঘ টালবাহনার পর আদালতের নির্দেশে সম্প্রতি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের পক্ষ থেকে ১ হাজার ৫০৬ জনের নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। সেই নিয়োগ ইতিমধ্যে শেষও হয়ে গিয়েছে। এরইমধ্যে গত ১৬ অক্টোবর পাথরপ্রতিমার মহেশপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগ দিতে আসেন স্থানীয় কাশীনগরের এক যুবক। তাঁর নিয়োগপত্র দেখে সন্দেহ হয় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শিবাশিস করের। তিনি স্থানীয় স্কুল ইনস্পেক্টরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে জানতে পারেন নিয়োগপত্রটি ভুয়ো।
মহেশপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিবাশিস কর বলেন, “নিয়োগপত্রে আমরা বিভিন্ন অসঙ্গতি দেখতে পাই। সে কারণে ওনাকে ফিরিয়েও দেওয়া হয়। কারণ এই কাগজ দেখিয়ে উনি অন্য কিছু করতে গেলে বিপদে পড়বেন।” ওই ভুয়ো শিক্ষকের বাড়ি গেলে তাঁর দেখা মেলেনি। তবে বৃদ্ধ বাবা বলেন, “কেউ এটা করেছে। যে করেছে সে যেন শাস্তি পায়।” দক্ষিণ ২৪ পরগনা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান অজিত নায়েক বলেন, “শিক্ষকতা করতে যাঁরা ভুয়ো নিয়োগপত্র নিয়ে যাচ্ছেন, আবেদন করব আপনারা পড়াশোনা করে পরীক্ষা দিয়ে চাকরি করুন। এরকম ফাঁদে পা দেবেন না।”