Balurghat: সদ্যজাতের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ভয়ঙ্কর কাণ্ড! গুরুতর অভিযোগ হাসপাতালের বিরুদ্ধে
Tension in Hospital: শনিবার বিকালে পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালের সুপারের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বালুরঘাট থানার পুলিশ। পুলিশি হস্তক্ষেপেই শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ঘটনায় হাসপাতালের সুপার, জেলা শাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন মৃত শিশুর পরিবারের সদস্যরা।

বালুরঘাট: সদ্যজাতের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। শুধু তাই নয়, মৃত শিশুর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ চিকিৎসক-নার্সদের। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা হাসপাতাল চত্বরে। ছুটে এল পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রসব যন্ত্রণা উঠলে আরতীদেবীকে বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বালুরঘাট শহর সংলগ্ন খাদিমপুর বটতলা এলাকার বাসিন্দা আরতী জমাদারকে। তাঁর স্বামী করণ জমাদার পেশায় পুরসভার সাফাই কর্মী। প্রায় বছর পাঁচেক আগে বিয়ে। তাঁদের আরও একটি সাড়ে চার বছরের পুত্র সন্তানও রয়েছে।
হাসপাতালে ভর্তির পরই সিজারের মাধ্যমে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম জেন আরতী দেবী। পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন জন্মের পর থেকে সুস্থই ছিল শিশুটি। শুক্রবার রাতের দিকে হঠাৎ করে শিশুর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে বলে হাসপাতাল থেকে জানান হয়। এসএনসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, অবস্থা সঙ্কটজনক বুঝেও শিশুটির সঠিক সময়ে চিকিৎসা হয়নি। অন্যত্র পাঠানোরও ব্যবস্থা করা হয়নি। এমনকী চিকিৎসক-নার্সদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তাঁরাও দুর্ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ।
শনিবার বিকালে পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালের সুপারের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বালুরঘাট থানার পুলিশ। পুলিশি হস্তক্ষেপেই শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ঘটনায় হাসপাতালের সুপার, জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (সিএমওএইচ) এবং জেলা শাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন মৃত শিশুর পরিবারের সদস্যরা। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, গভীর রাতে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি। সকালে পরিবারের সদস্যদের হাসপাতালে ডাকা হয়। কিন্তু তারা হাসপাতালে পৌঁছানোর কিছু সময়ের মধ্যেই শিশুটি মারা যায়। তবে প্রসূতি সুস্থ রয়েছেন।
