TMC Leader Murder: শওকত বলছে আইএসএফের হাত! ভাঙড়ে রেজ্জাক খুনে পুলিশগ্রেফতার করল তৃণমূলেরই দাপুটে নেতাকেই
TMC Leader Murder: কিছুদিন আগে ভাঙড় বিজয়গঞ্জ বাজারের সভাপতি করা হয়েছিল রেজ্জাক খাঁ-কে। তাতেও রুষ্ট হয়েছিল এই মোফাজ্জেল। কারণ সেও দীর্ঘদিন থেকে এই বাজার দেখাশোনা করতো। কিন্তু, তাকে ব্যতিরেকে রেজ্জাকে দায়িত্ব দেওয়ায় তা মেনে নিতে পারেননি মোফাজ্জেল।

ভাঙড়: ভাঙড়ে রেজ্জাক খুনে অবশেষে ব্রেক থ্রু পুলিশের। গ্রেফতার এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা মোফাজ্জেল মোল্লা। রেজ্জাকের পাশের বুথের সভাপতি তথা ভাঙড় বিধানসভা তৃণমূল কমিটির সদস্য এই মোফাজ্জেল। এলাকায় এই মোফাজ্জলের মারাত্মক প্রভাব ছিল। ভাঙড় বিধানসভার তৃণমূলের যে বিধানসভা কমিটি ছিল তাঁরও সদস্য এই মোফাজ্জেল। কিন্তু, বর্তমানে রেজাক্কের দাপট বাড়তেই হিংসা করতে শুরু করে মোফাজ্জেল। ধৃতকে জেরা করে কাশীপুর থানার পুলিশ এমনটাই জানতে পেরেছেন বলে খবর। মোফাজ্জেলের কাজ চলত মূলত চালতাবেড়িয়া এলাকায়। তবে ধৃতকে জেরা করে আরও তথ্য পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা।
উত্তর কাশিপুর থানার পাশাপাশি কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা দফতরের গুন্ডা দমন শাখা এবং স্পেশ্যাল ব্রাঞ্চের দুঁদে অফিসাররা এই ঘটনার তদন্ত করছেন। সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন থেকেই বিবাদ চলছিল রেজ্জাকের সঙ্গে। তবে মোজাজ্জেল নিজে গুলি চালায়নি, লোক ভাড়া করে খুন করে বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে। অভিযুক্ত পুলিশকে জানিয়েছেন, রাজনৈতিক ভাবে এলাকা দখল করার জন্য এই কাজ করেছে। রাজনৈতিকভাবে রেজ্জাক খাঁ এর উত্থান মেনে নিতে পারেননি বলেই এই ঘটনা ঘটিয়েছেন।
কিছুদিন আগে ভাঙড় বিজয়গঞ্জ বাজারের সভাপতি করা হয়েছিল রেজ্জাক খাঁ-কে। তাতেও রুষ্ট হয়েছিল এই মোফাজ্জেল। কারণ সেও দীর্ঘদিন থেকে এই বাজার দেখাশোনা করতো। কিন্তু, তাকে ব্যতিরেকে রেজ্জাকে দায়িত্ব দেওয়ায় তা মেনে নিতে পারেননি মোফাজ্জেল। হিংসা পারতে থাকে রেজ্জাকের উপর। যদিও ধৃতকে জেরা করে আরও তথ্য পেতে চাইছে পুলিশ। এদিকে শুরু থেকেই এ ঘটনায় আইএসএফের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলছিল তৃণমূল। কিন্তু এখন তৃণমূলেরই লোক ধরা পড়ায় তা নিয়ে শুরু হয়েছে চাপানউতোর। যদিও মোফাজ্জেলকে বুথ সভাপতি বলে মানতে নারাজ শওকত। তিনি বলছেন, ও বিধানসভা কমিটির সদস্যও নয়। ও একজন সাধারণ কর্মী। তবে তাঁর সঙ্গে ছবি বের হওয়া নিয়ে তিনি আবার বলছেন, আমাদের সঙ্গে হাজার হাজার লোক থাকে। কে কখন ছবি তুলছে তা দিয়ে কী সবটা বিচার করা যাবে! তবে তাঁর জোরালো দাবি, এর পিছনে আইএসএফের হাত রয়েছে।
