ISF: পরিচালন কমিটির ভোটে কারচুপির চেষ্টা, আইএসএফের বিরুদ্ধে সুর চড়াল তৃণমূল
Naushad Siddiqui: অভিযোগ, জিরানগাছা সিদ্দিকিয়া মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে যোগসাজশ করে গোপনে মনোনয়ন দিয়েছেন আইএসএফ মনোনীত প্রার্থীরা।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে যোগসাজশ করে গোপনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার অভিযোগ উঠল আইএসএফ মনোনীত প্রার্থীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জোর তরজায় জড়িয়েছে তৃণমূল ও আইএসএফ। এতদিন বিরোধীরা শাসকদলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন পরিচালন কমিটির ভোটে কারচুপির অভিযোগ তুলত। এবার পাল্টা তৃণমূল সেই অভিযোগ আনল ভাঙড়ের জিরানগাছা সিদ্দিকিয়া মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রের পরিচালন কমিটির ভোটে। যদিও এ নিয়ে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি বলেন, সমস্ত নিয়ম মেনেই মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তাঁদের লোকেরা। তাঁর অভিযোগ, পুরনো কমিটিকেই নতুন করে চালানোর পরিকল্পনা ছিল। জানাজানি হতে এসব বলছে।
অভিযোগ, জিরানগাছা সিদ্দিকিয়া মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে যোগসাজশ করে গোপনে মনোনয়ন দিয়েছেন আইএসএফ মনোনীত প্রার্থীরা। এমনও অভিযোগ, বিষয়টিতে এতটাই গোপনীয়তা রাখা হয়েছিল যার খবর ছিল না শাসকদল, মাদ্রাসার অভিভাবক এমনকী প্রশাসনের কর্তাদের কাছেও। তৃণমূলের অভিযোগ, কর্মীদের জেতাতে গোপনে এই ব্যবস্থা করে মাদ্রাসা শিক্ষাকেন্দ্রের প্রধান শিক্ষক আবু তৈয়ব।
ভাঙড়ের তৃণমূল বিধায়ক আরাবুল ইসলাম বলেন, “আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি মাদ্রসার প্রধানের সঙ্গে গোপনে ষড়যন্ত্র করে মাদ্রাসার পরিচালন কমিটির ক্ষমতা দখল করতে চেয়েছিল। কিন্তু এলাকার কিছু সচেতন অভিভাবক বিষয়টি জানতে পেরে আমাকে জানান। এরপরই ভাঙড়-২ বিডিও, ও কাশীপুর ওসিকে জানানো হয়। প্রশাসন প্রশাসনের মত ব্যবস্থা নেবে। আসলে দু’পক্ষ মনোনয়ন জমা দিলে, ভোট হলে, আইএসএফকে লেজ গুটিয়ে পালাতে হবে। তাই এসব ষড়যন্ত্র করতে হচ্ছে।”
যদিও ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি বলেন, “কিছু অভিভাবকদের কাছ থেকে জানতে পারলাম নির্বাচনের বিষয়। কোনও নোটিসও পাইনি সেভাবে। তড়িঘড়ি বৃহস্পতিবার গিয়ে আমাদের ছেলেরা মনোনয়ন জমা দিয়েছে। সবরকম নিয়ম মেনেই মনোনয়ন জমা দিয়েছে। যতটুকু খবর পেলাম, নোটিসটা দিয়েছিল স্কুলের পক্ষ থেকে। সেটা ভিতরে কোথাও সাঁটানো হয়। অন্যরা যাতে জানতে না পারে তার জন্যই এটা করা হয়েছিল। আসলে তৃণমূল জানে ভোটে গেলে ওরা হারবে। তাই ভোট পিছিয়ে দিতে অনেক নাটকই করতে পারে।”