CPIM: র‌্যাফ নামিয়ে আটক CPIM নেতা-কর্মীরা, থানার ভিতরেই স্লোগানে স্লোগানে চলল প্রতিবাদ

CPIM: পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, সিপিএম কর্মীরা বাটা মোড়ে জমায়েত করতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু জমায়েত শুরু হতেই সেখানে হাজির হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী।

CPIM:  র‌্যাফ নামিয়ে আটক CPIM নেতা-কর্মীরা, থানার ভিতরেই স্লোগানে স্লোগানে চলল প্রতিবাদ
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 18, 2022 | 11:28 AM

মহেশতলা: বজ বজ (Budge Budge) ট্রাঙ্ক রোড দীর্ঘদিন ধরে বেহাল দশায় পড়ে রয়েছে। প্রতি নিয়ত দুর্ঘটনার হাতছানি। এক প্রকার প্রাণ হাতে নিয়েই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত চলে নিত্যদিন। সাম্প্রতিক অতীতে বেশ কিছু দুর্ঘটনা ঘটেছে এই এলাকায়। এমন পরিস্থিতিতে দ্রুত রাস্তা সংস্কারের দাবি তুলেছে সিপিএম (CPIM)। রবিবার সকালে এই নিয়ে মহেশতলার (Maheshtala) বাটা মোড়ে একটি প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল সিপিএম। পূর্ব ঘোষিত সেই কর্মসূচি অনুযায়ী, সিপিএম কর্মীরা বাটা মোড়ে জমায়েত করতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু জমায়েত শুরু হতেই সেখানে হাজির হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী।

ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ ডিএসপি (ইন্ডাস্ট্রিয়াল) নিরূপম ঘোষের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছে যায় বাটা মোড়ে। নামানো হয় র‌্যাফ। বেশ কয়েকজন সিপিএম কর্মীদের সেখান থেকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় মহেশতলা থানায়। পরবর্তী সময়ে মহেশতলা থানার সামনে ২০ থেকে ২৫ জন সিপিএম কর্মী জমায়েত করতে থাকেন। তাঁদেরও আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। আটক হওয়া বাম নেতাদের মধ্যে রয়েছেন সিপিএম নেতা রতন বাগচি সহ অন্যান্যরা। থানার ভিতরে সিপিএম নেতা ও কর্মীদের ভিড় হয়ে যায়। আটক হওয়ার পর থানার ভিতরেই স্লোগান তুলতে শুরু করেন বাম নেতা ও কর্মীরা। পুলিশ যেভাবে তাঁদের কর্মসূচির আগেই আটক করে নিয়ে গিয়েছে, তা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

সিপিএম দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক শমীক লাহিড়ি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, “সিপিআই(এম) নেতা রতন বাগচি সহ উপস্থিত কমরেডদের আটক করে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। মহিলা পুলিশ ছাড়াই মহিলাদের আটক করছে নির্লজ্জ তৃণমূল সরকারের পুলিশ। রাস্তা সারানোর উদ্যোগ নেই, কিন্তু শত শত পুলিশ নামিয়ে মানুষের প্রতিবাদকে স্তব্ধ করতে চাইছে পুলিশ। থানার ভেতরে বাইরে বিক্ষোভ চলছে।পুলিশ-গুন্ডা দিয়ে মানুষের বিক্ষোভ আটকানো যাবে না।”