Mathurapur: ভাঙা রাস্তায় চরম হয়রানি এলাকাবাসীর; বামেদের দুষলেন তৃণমূল নেতা
South 24 Parganas News: এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাস্তা থাকলেও তা ধর্তব্যে আনা যায় না। ফি বছর বর্ষা এলে জল আর কাদায় ভরে যায় গোটা রাস্তা।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বছরের পর বছর ধরে রাস্তা বেহাল। সারা বছর তাও একরকম বিপদের চোখরাঙানি। বর্ষা এলে সেই বিপদ দ্বিগুণ হয়ে ওঠে। সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। অভিযোগ, বারবার প্রশাসনকে জানিয়েও কাজ হয়নি। পুজোর মুখে তাই রাস্তা অবরোধে সামিল হয়েছেন এলাকার লোকজন। রবিবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাপানউতর তৈরি হয় মথুরাপুর-২ নম্বর কঙ্কনদিঘি গ্রামপঞ্চায়েতের ঘোষপাড়া এলাকায়। তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যের অবশ্য দাবি, তাঁরা কাজ করছেন। এই রাস্তার সমস্যা বাম আমল থেকে। বামেরা কিছুই করেনি।
এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাস্তা থাকলেও তা ধর্তব্যে আনা যায় না। ফি বছর বর্ষা এলে জল আর কাদায় ভরে যায় গোটা রাস্তা। শুধু বর্ষা নয়, এলাকাবাসীর কথায়, বছরের যে কোনও সময়ই বৃষ্টি হলে এই রাস্তা মরণফাঁদ হয়ে ওঠে। প্রায়ই মোটর বাইক, সাইকেল, ভ্যান নিয়ে উল্টে দুর্ঘটনা ঘটে। ঘোষপাড়া থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার পর্যন্ত রাস্তা ঠিক করে দেওয়ার দাবিতে এদিন বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা।
ঘোষপাড়ার বাসিন্দা মৌলালি শেখের অভিযোগ, “খুব খারাপ অবস্থা রাস্তার। মানুষ যাতায়াত করতে পারেন না। মেয়েদের তো খুবই সমস্যা হয়। মাঝেমধ্যে গাড়িও উল্টে যায়। প্রায় ৫-৬ বছর হয়ে গেল। একবারে কাজ হয়ে যায়। তা না করে বারবার তাপ্পি দিয়ে কাজ করছে। পঞ্চায়েতকে জানালে তারা আসে, দেখে, চলে যায়।” আরেক বাসিন্দা মাধব হালদার বলেন, “বিরাট গর্ত। বর্ষা এলে সেই গর্তে জল জমে মরণফাঁদ হয়ে ওঠে। প্রসূতি মায়েরা এই রাস্তা ধরে কখনও যাতায়াত করতে পারে? ওদের বিপদের শেষ নেই। বারবার প্রশাসনকে জানিয়ে কাজ হয় না। পুজো আসছে, মানুষ আসতে পারে না এ গ্রামে। আমাদের একটাই অনুরোধ রাস্তাটা করে দিন।”
রাস্তার এই অবস্থার জন্য বামেদের পুরোপুরি দায়ী করেছেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তথা তৃণমূল নেতা মনোরঞ্জন দে। তাঁর কথায়, “রাস্তাটা শেষের দিক থেকে আমরা ঢালাইয়ের কাজ ইতিমধ্যেই করেছি। যে অংশটা আমাদের বাকি ছিল, সেটা ই-টেন্ডারে গিয়েছে। যে কনট্রাক্টর বরাত পাবেন, তাঁকে দিয়ে পুজোর আগেই আমরা এই কাজটা শেষ করব।” মনোরঞ্জনের কথায়, রাস্তাটা খুবই খারাপ এটা সত্যি। তাঁদের সরকার দ্রুততার সঙ্গে তা সারাই করারও চেষ্টা করছে।
পঞ্চায়েত সমিতির এই সদস্যর অভিযোগ, “এই রাস্তা বহুদিন খারাপ ঠিকই। ২০১৮ সালে আমরা ক্ষমতায় এসেছি এখানে। এর আগে বামেরা ছিল। ৩৪ বছর ধরে কিছুই করেনি। আমরা এসে এই রাস্তাগুলো নজরে দিয়ে সুন্দরভাবে করার চেষ্টা করছি। আমরা আশা করছি সেপ্টেম্বরের মধ্যেই কাজ শেষ করার। পুজো সামনে। তাই জোর দিয়ে দ্রুততার সঙ্গে কাজ শেষ করতে চাইছি।” পাল্টা সিপিএম নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের তোপ, “এসব বাজে কথা বলে লাভটা কী? সুন্দরবন এলাকায় রাস্তা তিন চার বছর ধরে ঠিক থাকে। রায়দিঘির রাস্তা বেহাল কেন? ক’বছর হয়ে গেল? এরকম বহু রাস্তা আছে।”