Royal Bengal Tiger: সুন্দরবনে রয়্যাল-সেঞ্চুরির পর এবার ছক্কা হাঁকাতে ময়দানে ম্যাসকট ‘সুজয়’
Sundarban: ১৯৭৩ সালে দেশে মোট ৯টি ব্যাঘ্র প্রকল্প হয়। তারমধ্যে সুন্দরবনও ছিল। বাঘ সংরক্ষণ ও জঙ্গল সন্নিহিত গ্রামের মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি ও মানোন্নয়নের কাজে যুক্ত থাকাই এই প্রকল্পের কর্মীদের কাজ।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ব্যাঘ্র প্রকল্পের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন চলছে সারা দেশে। সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পে সেই উপলক্ষে বসল নতুন ম্যাসকট (Mascot Sujay)। সম্প্রতি কেন্দ্র ব্যাঘ্র সুমারির যে রিপোর্ট রাজ্যকে দিয়েছে তাতে সেঞ্চুরি করেছে সুন্দরবনের রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার (Royal Bengal Tiger)। গোটা দেশের সঙ্গে সুন্দরবনেও বাঘের সংখ্যা বেড়েছে। তাই সোমবার সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প সুবর্ণজয়ন্তী পালন করল গোসাবার সজনেখালিতে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সুন্দরবন জীব পরিমণ্ডলের অধিকর্তা রাজেশ কুমার, সুন্দবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের ক্ষেত্র অধিকর্তা অজয়কুমার দাস, ডিএফও মিলনকান্তি মণ্ডল-সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। সেখানে ‘সুজয়’ নামে এই ম্যাসকটের উদ্বোধন করা হয়।
১৯৭৩ সালে দেশে মোট ৯টি ব্যাঘ্র প্রকল্প হয়। তারমধ্যে সুন্দরবনও ছিল। বাঘ সংরক্ষণ ও জঙ্গল সন্নিহিত গ্রামের মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি ও মানোন্নয়নের কাজে যুক্ত থাকাই এই প্রকল্পের কর্মীদের কাজ। দেশ তো বটেই, বিদেশ থেকেও ফি বছর মানুষ আসেন এখানে। তবে এতদিন ম্যাসকট হিসাবে বাঘকে দেখা যায়নি। এবার ‘সুজয়’কে চিনবেন পর্যটকরা। সজনেখালি রেঞ্জে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হল। এরপর বিভিন্ন জায়গায় প্রচারে তা ব্যবহার করা হবে। ফোমের তৈরি এই ‘সুজয়’ রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের প্রতিকৃতি। সারা বছর ধরে সুজয়কে সামনে রেখে সচেতনতা ও প্রচার চালাবে সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প।
সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের ক্ষেত্র অধিকর্তা অজয়কুমার দাস বলেন, “১৯৭৩ সালে যে ৯টা ব্যাঘ্র সংরক্ষণ প্রকল্পের ঘোষণা হয়, তার মধ্যে আমাদের সুন্দরবনও ছিল। তাই সুন্দরবনেরও এবার ৫০ বছর পূর্ণ হল। এই উপলক্ষে একটা অনুষ্ঠান করলাম।” নবান্ন সূত্রে খবর, ২০১৮ সালে সুন্দরবনে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের সংখ্যা ছিল ৮৮। সম্প্রতি প্রকাশিত ব্যাঘ্র সুমারিতে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০০। এই সংখ্যা সুন্দরবনের ব্যাঘ্র প্রকল্পের জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।