West Bengal Assembly Election 2021 Phase 5: গয়েশপুরে তৃণমূলের ‘বোমাবাজি’, আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে দুই বিজেপি কর্মী

২৭০ নম্বর বুথে এক বিজেপি কর্মীকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। বোমার আঘাতে তাঁর শরীর স্প্রিন্টারে ভরে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনি এখন হাসপাতালে।

West Bengal Assembly Election 2021 Phase 5: গয়েশপুরে তৃণমূলের 'বোমাবাজি', আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে দুই বিজেপি কর্মী
Follow Us:
| Updated on: Apr 17, 2021 | 5:59 PM

নদিয়া: শুক্রবার রাত থেকেই উত্তপ্ত ছিল নদিয়ার গয়েশপুর এলাকা। আশঙ্কা সত্যি করে ভোটের দিন ভরদুপুরে বকুলতলায় চলল ‘বোমাবাজি’। বিজেপি কর্মীদের লক্ষ্য করে বোমা মারার অভিযোগ উঠেছে শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনার জেরে দু’জন বিজেপি কর্মী আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। এদের মধ্যে এক ব্যক্তির অবস্থা গুরুতর বলে জানা গিয়েছে হাসপাতাল সূত্রে। এলাকায় উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানো হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।

শনিবার সকালে আলো ফোটার পর থেকেই রাজনৈতিক উত্তাপ ক্রমশই বাড়ছিল গয়েশপুরে। বিজেপির অভিযোগ, তাদের বুথ সভাপতিকে মারধর করার পাশাপাশি হুমকিও দেওয়া হয়। কিন্তু, দুপুরে ভোট দিয়ে ফেরার সময় ২৭০ নম্বর বুথে এক বিজেপি কর্মীকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। বোমার আঘাতে তাঁর শরীর স্প্রিন্টারে ভরে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনি এখন হাসপাতালে।

এই ঘটনার পর ফুঁসতে শুরু করে রাস্তায় নেমে আসেন এলাকাবাসী। স্থানীয়দের দাবি, বাপি দাস নামক এক তৃণমূল কর্মী নিজের বাড়িতে প্রচুর পরিমাণে বোমা মজুত করে রেখেছে। পুলিশ সব জানা সত্ত্বেও কোনও পদক্ষেপ করা হচ্ছে না। ক্ষোভে লাঠি-সোটা নিয়ে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

আরও পড়ুন: তুমুল ইটবৃষ্টি! পঞ্চাম দফায় যুযুধান পক্ষের সংঘর্ষে উত্তপ্ত সল্টলেক

কিছুক্ষণের মধ্যেই বাপি দাস নামক ওই তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে চড়াও হয় এলাকার বিজেপি কর্মীরা। তাঁর গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। বাড়িতেও ঢোকার চেষ্টা করা হয়। তবে ততক্ষণে এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে আসায় তা সম্ভব হয়নি। কিন্তু এলাকাজুড়ে উত্তেজনা বিরাজমান। বিজেপির পক্ষ থেকে রাস্তা অবরোধ করা হয়েছে। বাপি দাসকে গ্রেফতার না করা হলে অবরোধ উঠবে না বলে হুমকি গেরুয়া শিবিরের। ঘটনার জেরে শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয় দু’জনকে।

আরও পড়ুন:  ‘চলে যান, ভোটটা হয়ে গেছে আপনার’, গয়েশপুরে গামছা মুখে ‘বুথ প্রহরায়’ তৃণমূল!