Sheikh Hasina: ‘ভারতীয় শাড়ি পোড়াচ্ছেন না কেন?’, ‘বয়কট ভারতে’র ডাকের মাঝেই প্রশ্ন হাসিনার

India-Bangladesh: বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশীরা ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিচ্ছেন। বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল বাংলাদেশ ন্যাশনাল পার্টি বা বিএনপি-ও এই ডাকে সমর্থন জানিয়েছে। এবার ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক নিয়ে মুখ খুললেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

Sheikh Hasina: 'ভারতীয় শাড়ি পোড়াচ্ছেন না কেন?', 'বয়কট ভারতে'র ডাকের মাঝেই প্রশ্ন হাসিনার
শেখ হাসিনা। ফাইল চিত্রImage Credit source: Facebook
Follow Us:
| Updated on: Mar 31, 2024 | 6:47 AM

ঢাকা: স্বাধীনতার লড়াই থেকে শুরু করে কোভিডকাল, বিপদের সময়ে বরাবরই পড়শি বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত। কিন্তু ভারতের এই সাহায্য-অবদান ভুলতে বসেছে বাংলাদেশ। ডাক দিয়েছে, ভারতীয় পণ্য বর্জনের। বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশীরা ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিচ্ছেন। বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল বাংলাদেশ ন্যাশনাল পার্টি বা বিএনপি-ও এই ডাকে সমর্থন জানিয়েছে। এবার ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক নিয়ে মুখ খুললেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বললেন, “যারা বয়কটের ডাক দিচ্ছেন, তাদের স্ত্রী-দের কটা ভারতীয় শাড়ি আছে?”

সম্প্রতিই একটি জনসভায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “ভারতীয় পণ্য বর্জন করেন বলছেন, তাদের বউদের কটা ভারতীয় শাড়ি রয়েছে। তাহলে তারা বউদের শাড়িগুলি এনে পুড়িয়ে দিচ্ছেন না কেন? আপনারা বিএনপি নেতাদের এই প্রশ্নটা করেন। বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন বহু মন্ত্রীরা ভারতে যেতেন। ওদের বউরা ভারত থেকে শাড়ি কিনে এনে এখানে বেচত।”

হাসিনা আরও বলেন, “আমি নিজেও দেখেছি, পাঁচজন মন্ত্রীর বউ একসঙ্গে যাচ্ছে। আমি দেখে বললাম, কী ব্যাপার পাঁচ মন্ত্রীর বউ একসঙ্গে? কলকাতা বিমানবন্দরে আমার চেনাজানা ছিল, আমি বলেছিলাম যে এরা কটা স্যুটকেস নিয়ে আসে আর কটা নিয়ে ফিরে আসেন, তা জানাতে। ওরাও বলেছিল, এরা একটা স্যুটকেস নিয়ে আসে আর সাত-আটটা নিয়ে ফেরে।”

প্রসঙ্গত, সম্প্রতিই ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক উঠেছে বাংলাদেশে। কীভাবে হঠাৎ এই ডাক উঠল, তার সদুত্তর নেই। তবে বিশ্লেষকদের মতে, মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু যেমন ক্ষমতায় আসার আগে ইন্ডিয়া আউট প্রচার চালিয়েছিলেন, ঠিক তেমনই প্রচার চালানো হচ্ছে বাংলাদেশে। মূলত দেশীয় পণ্যের চাহিদা বাড়ানোর জন্যই ভারত বিরোধী এই প্রচার চালানো হচ্ছে বলে অনুমান।