Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bangladesh Power Crisis: আদানির শেষ হুঁশিয়ারি, গোটা বাংলাদেশই অন্ধকারে ডুবে যাবে?

Bangladesh Power Crisis: বকেয়া অর্থ না মেটানোয়, গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার মধ্য রাত থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেক করে দিয়েছে আদানি গোষ্ঠী। ১৪৯৬ মেগাওয়াটের বদলে মাত্র ৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে সংস্থা। এরই মধ্যে এল আদানির নতুন চিঠি।

Bangladesh Power Crisis: আদানির শেষ হুঁশিয়ারি, গোটা বাংলাদেশই অন্ধকারে ডুবে যাবে?
বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেবে আদানি সংস্থা?Image Credit source: PTI
Follow Us:
| Updated on: Nov 04, 2024 | 11:53 AM

ঢাকা: অর্ধেক বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। এবার পুরোপুরিই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি। যদি ৭ নভেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশ সরকার বিদ্যুতের বিলের বকেয়া অর্থ না মেটায়, তবে আদানি গ্রুপ পুরোপুরি বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হবে। সম্পূর্ণ অন্ধকারে ডুবতে পারে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে আদানি গোষ্ঠীর সাবসিডারি সংস্থা, আদানি পাওয়ার ঝাড়খণ্ড লিমিটেড। দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশে বিদ্যুতের বিল বকেয়া। এর মধ্যে হাসিনা সরকারের পতন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের মাঝে দেশের ভাঁড়ারের আরও বেহাল দশা। মার্কিন ডলারের ব্যাপক সঙ্কট দেখা দিয়েছে।

তবে আদানি সংস্থাও আর সময় দিতে রাজি নয়। গত ৩০ অক্টোবরের মধ্যে বকেয়া ৮৪৬ মিলিয়ন ডলার মিটিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল বাংলাদেশ সরকারকে। সেই অর্থ না মেটানোয়, গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার মধ্য রাত থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেক করে দিয়েছে আদানি গোষ্ঠী। ১৪৯৬ মেগাওয়াটের বদলে মাত্র ৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে সংস্থা। এরই মধ্যে এল আদানির নতুন চিঠি।

জানা গিয়েছে, আদানি সংস্থার তরফে বাংলাদেশ সরকারকে বলা হয়েছে, আগামী ৭ নভেম্বরের মধ্যে যদি বকেয়া অর্থ মেটানো না হয়, তবে বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেওয়া হবে। বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের কাছ থেকে ৮৫০ মিলিয়ন ডলার অর্থ বকেয়া রয়েছে।

পুরো টাকা মেটাতে না পারলেও, ১৭০ মিলিয়ন ডলারের ‘লেটার অব ক্রেডিট’ গ্যারান্টি হিসাবে চেয়েছিল আদানি সংস্থা। কৃষি ব্যাঙ্কের মাধ্যমে পেমেন্ট গ্যারান্টি জোগাড় করার চেষ্টা করলেও, শর্তের মিল না হওয়ায় সেই গ্যারান্টিও দিতে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার।

আদানি সংস্থা বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেক করে দেওয়ায় ব্যাপক সঙ্কট দেখা দিয়েছে বাংলাদেশে। নিজস্ব যে পাওয়ার প্ল্যান্ট রয়েছে, তাতেও জ্বালানি সঙ্কট দেখা দিচ্ছে।