Bangladesh: ইমরানকে আমন্ত্রণ হাসিনার, কোন পথে মোড় নিচ্ছে ঢাকা-ইসলামাবাদ সম্পর্ক?
Sheikh Hasina invites Imran Khan: পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও মজবুত করা এবং দুই দেশের অর্থনৈতিক সহযোগিতার পথ আরও প্রশস্ত করার বিশয়ে আশাবাদী শেখ হাসিনা।
ঢাকা: ইসলামাবাদের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক মজবুত করতে এবার জোর দিচ্ছে ঢাকা। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে এবার বাংলাদেশ সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানালেন শেখ হাসিনা। সম্প্রতি শেখ হাসিনাকে পাকিস্তান সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন ইমরান খান। সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে ইমরান খানকেও বাংলাদেশে সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ গ্রহণ করলেও এখনও পর্যন্ত এই সফরের কোনও তারিখ ঘোষণা করেননি শেখ হাসিনা। পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও মজবুত করা এবং দুই দেশের অর্থনৈতিক সহযোগিতার পথ আরও প্রশস্ত করার বিশয়ে আশাবাদী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশে পাকিস্তানের হাই কমিশনার ইমরান আহমেদ সিদ্দিকীর সঙ্গে ঢাকায় এক বৈঠকে বসেছিলেন হাসিনা। ওই বৈঠকেই তিনি এ কথা জানিয়েছেন । ইসলামাবাদের তরফে বাংলাদেশকে একটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর সফরের জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরির জন্য।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সাল থেকে বাংলাদেশ – পাকিস্তান সম্পর্কের অবনতি হতে শুরু করেছিল। বিশেষ করে সেই সময় যুদ্ধাপরাধীদের সাজা দেওয়ার বিষয়টি মোটেও ভালভাবে দেখেনি ইসলামাবাদ। আর তার জেরেই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক ক্রমেই খারাপ হতে থাকে। তবে গত বছর থেকে ইসলামাবাদ – ঢাকার মধ্যে সম্পর্ক ভাল হতে শুরু করে।
সম্প্রতি কুমিল্লার ঘটনার পর যেভাবে শেখ হাসিনার সরকার কড়া হাতে গোটা বিষয়টির মোকাবিলা করেছে, তারপর এই ইসলামাবাদ সফর থেকে একটিই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, ভারতের মতো পাকিস্তানের সঙ্গেও একইরকম বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়তে চাইছে বাংলাদেশ।
কুমিল্লার ঘটনায় কড়া ব্যবস্থার নির্দেশ দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। ঘটনার পর থেকে সক্রিয় হাসিনার সরকার। সক্রিয় বাংলাদেশ পুলিশ। কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুজিব-কন্যা শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনা যারা ঘটাবে, তাদের খুঁজে বের করা হবেই। সে যেই হোক না কেন, যে ধর্মেরই হোক না কেন, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা অবশ্যই যথাযথভাবে নেওয়া হবে।
এর আগে তাণ্ডবের তীব্র নিন্দা করে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের কথাও তুলে ধরেন। মুজিবর রহমান বলেছিলেন, বাংলাদেশের মাটিতে সাম্প্রদায়িকতার কোনও স্থান নেই। মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান… যাঁরা যাঁরা এ দেশে বসবাস করেন, তাঁরা প্রত্যেকেই এদেশের নাগরিক। প্রতিটি ক্ষেত্রে তাঁরা সম অধিকার ভোগ করবেন।
আইন যাতে কেউ হাতে তুলে না নেয়, সেই বার্তাও দিয়েছেন হাসিনা। তিনি বলেন, ‘কেউ অপরাধ করলে সে যেই হোক, অপরাধীদের বিচার হবে। আমাদের সরকার সে বিচার করবে। প্রতিটি ধর্মই শান্তির বাণীর কথা বলে, সবাই শান্তি চায়।’ তিনি মন্তব্য করেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে বাধা দেওয়ার জন্য মাঝেমধ্যে এ ধরনের ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা হয়।’
আরও পড়ুন : Sheikh Hasina: বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চক্রান্ত চলছে, নাম না করে বিএনপিকে আক্রমণ হাসিনার