China: শিল্পে নেমে এলো ‘আঁধার’, বৃদ্ধিতে ঘাটতির আশঙ্কা চিন জুড়ে

China, Economy, মঙ্গলবার সেদেশের বিদ্যুত পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থার কর্তারা আপৎকালীন সঙ্কটের মোকাবিলায় বৈঠকে বসেছিলেন। এখন চিনের বিদ্য়ুৎ সরাবরাহ কবে স্বাভাবিক হয় সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

China: শিল্পে নেমে এলো 'আঁধার', বৃদ্ধিতে ঘাটতির আশঙ্কা চিন জুড়ে
ছবি-ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 30, 2021 | 8:31 PM

বেজিং: এবার লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত চিন (Frequent Power Cut in China)। দক্ষিণের বিভিন্ন ফ্যাক্টরিতে ক্রিস্টমাসের (Christmas) বিভিন্ন পণ্য উৎপাদনের বিশ্বব্য়াপি চাহিদা মেটানোর জন্য বাড়তি বিদ্যুৎ প্রয়োজন হওয়ার কারণে পুরো চিন জুড়ে বিদ্যুতের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। অনেকেই মনে করছেন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে পরিচিত চিনে এর ফলে বৃদ্ধিতে ঘাটতি দেখা দিতে পারে।

জানা গিয়েছে চিনে আর্থিক বৃদ্ধির (financial growth) ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ৬০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুতের জোগান কয়লা (coal) থেকেই আসে। কয়লার অত্যাধিক চড়া দাম, দেশে উৎপাদিত বিদ্য়ুতের দাম নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে সমস্যার ফলেই বিদ্য়ুতের জোগানে এই ঘাটতি দেখা দিয়েছে। বিগত কয়েকমাসে প্রায় বারোটির বেশি প্রদেশ ও অঞ্চলে বিদ্য়ুৎ ব্য়বহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে বাধ্য হয়েছে চিনা সরকার।

ইলেকট্রনিক্স পণ্য থেকে শুরু করে জিনস্, জাহাজের বিপুল উৎপাদনের জন্য পৃথিবী বিখ্যাত চিনের গুয়াংডং ( Guangdong) এলাকাতেও বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ফলে বেশ কিছুদিন ধরে উৎপাদনের ক্ষেত্রে ঘাটতির মুখোমুখি হয়েছিল। যেসব যন্ত্র চালাতে বিদ্য়ুতের পরিমাণ বেশি লাগে সেই যন্ত্র ব্যবহার করা বন্ধ করা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন সংস্থায় প্রত্যেক দিনের কাজের সময় কমিয়ে ফেলা হয়েছিল।

শেনজান টেলিভিশন ম্যানুফ্যারচারার এক্সপ্রেস (Shenzhen television manufacturer Express Luck) লাকের ডেপুটি জেনারেল ম্য়ানেজার, শেরমান চান সংবাদ সংস্থা এএফপিকে (AFP) বলেছেন “আমরা এখনও সরবরাহকারীদের দেওয়া সময়সীমা পূরণ করতে চাই। এবং উৎপাদনকে মসৃণ রাখার জন্য রাতে কাজ করা এবং বিদ্যুতের জোগানে জেনারেটর ব্যবহার করার কথা ভাবা হয়েছে। এর ফলে উৎপাদন মূল্য বৃদ্ধি পাবে এবং উৎপাদনকারীদের নিজেদের মূলধন থেকেই এই অর্থ দিতে হবে।”

চিনের বিখ্যাত স্ন্যাক্স নির্মাতা সংস্থা টলি ব্রেড (Toly Bread) ও বৈদুতিক গাড়ি নির্মানে বিখ্য়াত সংস্থা টেসলা (Tesla) ইতিমধ্যেই তাদের সরবরাহকারীদের এই সঙ্কটের পরিস্থিতিতে উৎপাদনে বিলম্বের কথা জানিয়েছে। নিজের পুরো নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কুই নামে জুতো প্রস্তুতকারী এক সংস্থার এক কর্মী সংবাদ সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন গতকাল রাতে আমরা সারা রাত কাজ করেছি। এবং আজও আমাদের সারা রাত কাজ করতে হবে। এই সময়ে কাজ করে আমরা মোটেও খুশি নই। যখন বিদ্যুৎ সংযোগ থাকছে তখন আমাদের কাজ করতে হচ্ছে।

জু নামের মেটাল পাইপ প্রস্তুতকারী এক সংস্থার কর্মী সংবাদ সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, শেষ মুহূর্তে বিদ্যুতের এই বিভ্রাট চলতি মাসে উৎপাদন প্রায় ৪০ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছে, কারণ প্ল্যান্টের যন্ত্রপাতিগুলি সঠিকভাবে শুরু হতে কয়েক ঘন্টা সময় নেয়। স্বাভাবিকভাবে আমরা উৎপাদন করতে পারছিনা।

মঙ্গলবার সেদেশের বিদ্যুৎ পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থার কর্তারা আপৎকালীন সঙ্কটের মোকাবিলায় বৈঠকে বসেছিলেন। সেই বৈঠকে তাঁরা আবাসিকদের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্য়াপারে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং বিষয়টিকে “সবচেয়ে জরুরি রাজনৈতিক কাজ” বলে অভিহিত করেছিলেন। এখন চিনের বিদ্য়ুৎ সরাবরাহ কবে স্বাভাবিক হয় সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আরও পড়ুন Inhumanity: বাঁদরকে বিষ খাইয়ে হত্যা, হিংস্রতার নজির কর্ণাটকে