Facebook: বদলে গেল ‘ফেসবুক’, সংস্থার নতুন নাম Meta
Facebook New Name: সংস্থার নাম বদলালেও ফেসবুক অ্যাপের নাম বদলাচ্ছে না।
সান ফ্রান্সিসকো: জল্পনা ছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। ফেসবুক (Facebook) যে নতুন নামে আত্মপ্রকাশ করতে চাইছে, সেই ইঙ্গিত মিলেছিল আগেই। অবশেষে বদলে গেল ফেসবুকের নাম। সংস্থার নতুন নাম হল ‘মেটা’ (Meta)।
তবে সংস্থার নাম বদলালেও ফেসবুক অ্যাপের নাম বদলাচ্ছে না। নতুন যে নামে সংস্থা আত্মপ্রকাশ করছে তার অধীনে একটি অ্যাপের নাম হয়ে থাকবে ফেসবুক। মনে করা হচ্ছে, সংস্থার অধীনে যেহেতু এখন ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপের মতো একাধিক প্ল্যাটফর্ম রয়েছে, তাই সংস্থার নাম ফেসবুক হওয়া বাঞ্ছনীয় নয় বলেই মনে করছেন উচ্চপদস্থ কর্তারা।
Announcing @Meta — the Facebook company’s new name. Meta is helping to build the metaverse, a place where we’ll play and connect in 3D. Welcome to the next chapter of social connection. pic.twitter.com/ywSJPLsCoD
— Facebook (@Facebook) October 28, 2021
আজ ‘কানেক্ট ২০২১’ নামে এক ভিডিয়ো কনফারেন্সে উপস্থিত হয়েছিলেন ফেসবুকের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার তথা প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ। নানা বিষয়ে আলোচনা হয় সেখানে। এরপরই সংস্থার নতুন নাম ঘোষণা করেন মার্ক জুকারবার্গ। তিনি বলেন, ‘আমাদের সংস্থার বর্তমানে যে নাম রয়েছে, তাতে আমাদের পুরো কাজের প্রতিফলন হয় না। আমরা ভবিষ্যতে আমাদের এই সংস্থাকে একটি মেটাভার্স সংস্থা হিসেবে পরিচয় করাতে চাই।’ আর সেই লক্ষ্যেই এই নাম পরিবর্তন বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
The metaverse is the next evolution of social connection. It's a collective project that will be created by people all over the world, and open to everyone. You’ll be able to socialize, learn, collaborate and play in ways that go beyond what’s possible today. pic.twitter.com/655yFRm8yZ
— Facebook (@Facebook) October 28, 2021
কার্যত আর শুধু সোশ্যাল মিডিয়া নয়, সামাজিক যোগাযোগকে এক অন্য স্তরে নিয়ে যাচ্ছে জুকারবার্গের সংস্থা। এর আগে গত জুলাই মাসে মার্ক জুকারবার্গ জানিয়েছিলেন, তিনি চাইছেন ফেসবুক সোশ্যাল মিডিয়ার সংস্থা থেকে একটি মেটাভার্স কোম্পানিতে উন্নীত হোক।
The names of the apps that we build—Facebook, Instagram, Messenger and WhatsApp—will remain the same.
— Facebook (@Facebook) October 28, 2021
মেটাভার্স হল আসলে এক ভার্চুয়াল দুনিয়া, এই ভার্চুয়াল ব্রহ্মাণ্ডে মানুষ সব কাজই করতে পারবেন ভার্চুয়ালি। সম্ভবত সেই মেটাভার্সের কথা মাথায় রেখেই নাম বদলাল ফেসবুক।
দিন কয়েক আগে একাধিক নেতিবাচক কারণে শিরোনামে এসেছিল ফেসবুক। কিছুদিন আগেই প্রযুক্তিগত সমস্যায় টানা ৬-৭ ঘণ্টা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ফেসবুক। এই দুই কারণে সংস্থার শেয়ারও নেমে যায় অনেকটাই। ওই সংস্থার অধীন অন্যান্য পরিষেবা, হোয়াটসঅ্যাপ (Whatsapp), মেসেঞ্জার (Messenger), ইন্সটাগ্রামের (Instagram) মতো পরিষেবাও একধাক্কায় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জেরবার হন কোটি কোটি মানুষ।
এ সবের মধ্যেই ফ্রান্সেস হগান নামে সংস্থার এক পুরনো কর্মী নথি দিয়ে প্রমাণ করেন ফেসবুক জুড়ে নাকি হিংসার ছড়ানোর রসদ ছড়িয়ে আছে, ইন্সটাগ্রামের (Instagram) মোহ যে কিশোর-কিশোরীদের ক্ষতি করছে, সে কথাও নাকি জানা ফেসবুকের। তিনি দাবি করেন, ‘ফেসবুক বারবার প্রমাণ করে দিয়েছে যে, তারা নিরাপত্তার থেকে বেশি জোর দেয় লাভে।’ তিনি মনে করেন, ফেসবুক আমাদের সমাজকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে আর বিশ্ব জুড়ে হিংসা ছড়াচ্ছে। কিছুদিন আগেই কিছু নথি ফ্রান্সেস তুলে দেন ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের হাতে। এসবের পরই একেবারে নতুনভাবে আত্মপ্রকাশ করল জনপ্রিয় এই সংস্থা। আগামিদিনে কোন কোন চমক আসবে, সেই অপেক্ষাতেই রইলেন ব্যবহারকারীরা।
আরও পড়ুন: Hubble Space Telescope: ফের প্রযুক্তিগত ত্রুটি এই স্পেস টেলিস্কোপে! রাখা হয়েছে ‘সেফ মোডে’