Nepal: হাইওয়েতে আচমকা ধস, ত্রিশুলী নদীতে ভেসে গেল দু-দুটি বাস! নিখোঁজ অন্তত ৬৩

Nepal landslide: নেপালের মদন-অশ্রিত হাইওয়েতে অতর্কিতে নামল ভূমিধস। আর সেই ধসের জেরে ত্রিশূলী নদীতে ভেসে গিয়েছে দুটি বাস। দুটি বাস মিলিয়ে অন্তত ৬৩ জন ছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। চিতওয়ানের জেলার প্রধান জেলা আধিকারিক, ইন্দ্রদেব যাদব জানিয়েছেন, অবিরাম বৃষ্টিতে ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধার এবং তল্লাশি অভিযান।

Nepal: হাইওয়েতে আচমকা ধস, ত্রিশুলী নদীতে ভেসে গেল দু-দুটি বাস! নিখোঁজ অন্তত ৬৩
উত্তাল নদীতে চলছে উদ্ধার অভিযানImage Credit source: Twitter
Follow Us:
| Updated on: Jul 12, 2024 | 9:01 AM

কাঠমান্ডু: শুক্রবার (১২ জুলাই), নেপাল সংসদে আস্থা ভোট হওয়ার কথা প্রচণ্ড সরকারের। ক্ষমতা বদলের সম্ভাবনা প্রবল। কিন্তু, তার আগেই এক ভয়ঙ্কর বিপর্যয় ঘটে গেল হিমালয়ের কোলের এই দেশে। এদিন ভোরে, নেপালের মদন-অশ্রিত হাইওয়েতে অতর্কিতে নামল ভূমিধস। আর সেই ধসের জেরে ত্রিশূলী নদীতে ভেসে গিয়েছে দুটি বাস। দুটি বাস মিলিয়ে অন্তত ৬৩ জন ছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। গতকাল থেকেই ওই অঞ্চলে প্রবল বৃষ্টিপাত হচ্ছিল। তারই মধ্যে এদিন ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ এই ঘটনা ঘটে।

সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে, চিতওয়ানের জেলার প্রধান জেলা আধিকারিক, ইন্দ্রদেব যাদব জানিয়েছেন, দুটি বাসই ওই সময় হাইওয়ে দিয়ে যাচ্ছিল। আচমকা ধস নেমে তাদের রাস্তা থেকে ছিটকে নীচের উত্তাল নদীতে ফেলে দেয়। তিনি বলেছেন, “প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী দুটি বাস মিলিয়ে চালক-সহ মোট ৬৩ জন ছিলেন। ভোর সাড়ে ৩টে নাগাদ ধসের জেরে বাসগুলি ভেসে যায়। আমরা ঘটনাস্থলে আছি এবং তল্লাশি অভিযান চলছে। বাসগুলির সন্ধান চলছে। অবিরাম বৃষ্টিতে আমাদের কাজে সমস্যা হচ্ছে।”

নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দহল ‘প্রচন্ড’, সব সরকারি সংস্থাগুলিকে নিখোঁজ যাত্রীদের অনুসন্ধান ও উদ্ধারের নির্দেশ দিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, “নারায়ণগড়-মুগলিন রোড সেকশনে ভূমিধসে দুটি বাস ভেসে গিয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যা ও ধস দেখা দিয়েছে। বহু সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং প্রায় পাঁচ ডজন যাত্রী নিখোঁজ হয়েছেন। এই খবরে আমি গভীরভাবে শোকাহত। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক-সহ সরকারের সমস্ত সংস্থাকে আমি যাত্রীদের অনুসন্ধান এবং উদ্ধার করার নির্দেশ দিচ্ছি।”

বর্ষার মরসুম শুরু হওয়ার পর থেকে, নেপালে বৃষ্টি-সম্পর্কিত বিভিন্ন ঘটনায় কমপক্ষে ৬২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আরও ৯০ জন আহত হয়েছেন। ধসেই মৃত্যু হয়েছে ৩৪ জনের। এছাড়া, অবিরাম বৃষ্টির ফলে বন্যায় মারা গিয়েছেন ২৮ জনএসব প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সাতজন নিখোঁজও রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ভারী বর্ষণে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে সম্পত্তিরও। অন্তত ১২১টি বাড়ি ভেসে গিয়েছে। আরও ৮২টি বাড়ি ভেঙে-চুড়ে গিয়েছে। গোটা নেপালে মোট ১,০৫৮টি পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে।