Pakistan Floods: জলের নীচে অর্ধেক পাকিস্তান, ১০০০ ছাড়াল মৃত্যু সংখ্যা, ছবিতে ছবিতে ধরা পড়ল ভয়াবহতা

Pakistan floods 2022: অর্ধেক পাকিস্তানই এখন জলের নীচে। বন্যার ধ্বংসলীলা অব্যাহত। একের পর এক প্রদেশ বন্যার কবলে পড়ছে, আর পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও।

| Edited By: | Updated on: Aug 28, 2022 | 3:24 PM
অর্ধেক পাকিস্তানই এখন জলের নীচে। বন্যার ধ্বংসলীলা অব্যাহত। একের পর এক প্রদেশ বন্যার কবলে পড়ছে, আর পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। সেই দেশের সংবাদমাধ্যমগুলির প্রতিবেদন অনুযায়ী পাকিস্তানে বন্যায় মৃতের সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। এছাড়াও লক্ষ-লক্ষ মানুষ আহত অথবা বাস্তুচ্যুত।

অর্ধেক পাকিস্তানই এখন জলের নীচে। বন্যার ধ্বংসলীলা অব্যাহত। একের পর এক প্রদেশ বন্যার কবলে পড়ছে, আর পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। সেই দেশের সংবাদমাধ্যমগুলির প্রতিবেদন অনুযায়ী পাকিস্তানে বন্যায় মৃতের সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। এছাড়াও লক্ষ-লক্ষ মানুষ আহত অথবা বাস্তুচ্যুত।

1 / 10
পাকিস্তানের জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘন্টায় আরও ১১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।

পাকিস্তানের জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘন্টায় আরও ১১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।

2 / 10
এর মধ্যে বেলুচিস্তানের ৪ জন, গিলগিট-বালতিস্তানের ৬ জন, খাইবার পাখতুনখোয়ার ৩১ জন এবং সিন্ধ প্রদেশের ৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে, গত ১৪ জুন থেকে বৃষ্টি ও বন্যার কারণে মোট মৃতের সংখ্যা ১,০৩৩-এ পৌঁছেছে। আরও ১,৫২৭ জন আহত হয়েছেন।

এর মধ্যে বেলুচিস্তানের ৪ জন, গিলগিট-বালতিস্তানের ৬ জন, খাইবার পাখতুনখোয়ার ৩১ জন এবং সিন্ধ প্রদেশের ৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে, গত ১৪ জুন থেকে বৃষ্টি ও বন্যার কারণে মোট মৃতের সংখ্যা ১,০৩৩-এ পৌঁছেছে। আরও ১,৫২৭ জন আহত হয়েছেন।

3 / 10
ভারী বৃষ্টিপাতে অন্তত ৩ কোটি ৩০ লক্ষেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। পাকিস্তানের অন্তত ১১০টি জেলা আপাতত বন্যার জলের নিচে। জিও নিউজের প্রতিবেদন অনুসারে, মোট ৭২টি জেলাকে দুর্যোগের শিকার হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে।

ভারী বৃষ্টিপাতে অন্তত ৩ কোটি ৩০ লক্ষেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। পাকিস্তানের অন্তত ১১০টি জেলা আপাতত বন্যার জলের নিচে। জিও নিউজের প্রতিবেদন অনুসারে, মোট ৭২টি জেলাকে দুর্যোগের শিকার হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে।

4 / 10
বন্যায় মোট ৯,৪৯,৮৫৮টি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এর মধ্যে ৬,৬২,৪৪৬টি বাড়ি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর ২,৮৭,৪১২টি বাড়ি একেবারে ভেসে গিয়েছে। বৃষ্টি ও বন্যাজনিত কারণে ৭,১৯,৫৫৮টি গবাদি পশুও মারা গিয়েছে।

বন্যায় মোট ৯,৪৯,৮৫৮টি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এর মধ্যে ৬,৬২,৪৪৬টি বাড়ি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর ২,৮৭,৪১২টি বাড়ি একেবারে ভেসে গিয়েছে। বৃষ্টি ও বন্যাজনিত কারণে ৭,১৯,৫৫৮টি গবাদি পশুও মারা গিয়েছে।

5 / 10
এর পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩,৪৫১.৫ কিলোমিটার রাস্তাও, ভেঙে পড়েছে ১৪৯টি সেতু। পাশাপাশি ১৭০টি দোকানও বন্যায় ভেসে গিয়েছে।

এর পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩,৪৫১.৫ কিলোমিটার রাস্তাও, ভেঙে পড়েছে ১৪৯টি সেতু। পাশাপাশি ১৭০টি দোকানও বন্যায় ভেসে গিয়েছে।

6 / 10
জাতীয় বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ৫১,২৭৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। ৪,৯৮,৪৪২ জনকে ত্রাণ শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

জাতীয় বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ৫১,২৭৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। ৪,৯৮,৪৪২ জনকে ত্রাণ শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

7 / 10
তারা আরও জানিয়েছে পাকিস্তানে এই বছর বর্ষার মরসুমে এখনও পর্যন্ত ৩৮৮.৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। অথচ গত ৩০ বছরের গড় বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১৩৪ মিলিমিটার। অর্থাৎ এই বছর ১৯০.০৭ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে।

তারা আরও জানিয়েছে পাকিস্তানে এই বছর বর্ষার মরসুমে এখনও পর্যন্ত ৩৮৮.৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। অথচ গত ৩০ বছরের গড় বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১৩৪ মিলিমিটার। অর্থাৎ এই বছর ১৯০.০৭ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে।

8 / 10
শনিবার, পাকিস্তানের বন্যা পূর্বাভাস বিভাগ আরও বিপর্যয়ের সতর্কতা পাঠিয়েছে। সতর্কতা অনুযায়ী আগামী ২৪ ঘন্টায় নওশেরায় কাবুল নদীর জল উচ্চস্তর দিয়ে বইবে। আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কালাবাগ ও চশমার সিন্ধু নদীতেও বন্যা সৃষ্টি হতে পারে।

শনিবার, পাকিস্তানের বন্যা পূর্বাভাস বিভাগ আরও বিপর্যয়ের সতর্কতা পাঠিয়েছে। সতর্কতা অনুযায়ী আগামী ২৪ ঘন্টায় নওশেরায় কাবুল নদীর জল উচ্চস্তর দিয়ে বইবে। আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কালাবাগ ও চশমার সিন্ধু নদীতেও বন্যা সৃষ্টি হতে পারে।

9 / 10
এই পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষকে উচ্চ সতর্কতায় থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতির উপর ২৪ ঘণ্টা নজর রাখতে বলা হয়েছে। সমস্ত নাগরিক সংস্থা, উদ্ধারকারী দল, দমকল, অ্যাম্বুলেন্স এবং পুলিশ-সহ সকল উদ্ধার ও ত্রাণ পরিষেবাগুলিকে বন্যার ঝুঁকিতে থাকা এলাকাগুলিতে উদ্ধারকর্মী এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষকে উচ্চ সতর্কতায় থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতির উপর ২৪ ঘণ্টা নজর রাখতে বলা হয়েছে। সমস্ত নাগরিক সংস্থা, উদ্ধারকারী দল, দমকল, অ্যাম্বুলেন্স এবং পুলিশ-সহ সকল উদ্ধার ও ত্রাণ পরিষেবাগুলিকে বন্যার ঝুঁকিতে থাকা এলাকাগুলিতে উদ্ধারকর্মী এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

10 / 10
Follow Us: