Pakistan: কতটা নির্লজ্জ পাকিস্তান! বন্যা ত্রাণের নামে টাকা তুলে তৈরি করছে জঙ্গিঘাঁটি
Lashkar-e-Taiba: অপারেশন সিঁদুরের পর কয়েক মাস চুপচাপ থাকলেও, ১৮ অগস্টের মধ্যে লস্কর-ই-তৈবা সেই ধ্বংসাবশেষ সাফ করে ফেলেছিল। যে ক'টা পিলার দাঁড়িয়েছিল, তাও ভেঙে ফেলে। ৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে উম-উল-কোরা বিল্ডিং, ৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে লাল বিল্ডিংটিও গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এতসব ভাঙচুর কীসের জন্য? আবার সেখানে জঙ্গিঘাঁটি গড়া হচ্ছে বলে।

ইসলামাবাদ: বদলায়নি পাকিস্তান (Pakistan)। সন্ত্রাসবাদে তারা আগেও মদত দিয়েছে, এখনও মদত দিয়ে চলেছে। তার প্রমাণ মিলল হাতেনাতে। পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশে আবার গড়া হচ্ছে জঙ্গি ঘাঁটি, যা অপারেশন সিঁদুরে গুঁড়িয়ে দিয়ে এসেছিল ভারতীয় বায়ুসেনা। এবং তার নজরদারি করছে লস্কর-ই-তৈবা (Lashkar-e-Taiba) জঙ্গি সংগঠন।
পহেলগাঁও হামলার জবাবে ৭ মে অপারেশন সিঁদুর চালিয়েছিল ভারত। পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করে দিয়ে এসেছিল। এর মধ্যে অন্যতম ছিল মুরিদকের মারকাজ় তৈবা, যা লস্করের প্রধান ঘাঁটি ছিল। সম্পূর্ণ ধূলিসাৎ করে দেওয়া সেই জঙ্গিঘাঁটিই আবার পুনর্নির্মাণ করা হচ্ছে। এর তথ্য প্রমাণ উঠে এসেছে ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনীর হাতে।
জানা গিয়েছে, অপারেশন সিঁদুরের পর কয়েক মাস চুপচাপ থাকলেও, ১৮ অগস্টের মধ্যে লস্কর-ই-তৈবা সেই ধ্বংসাবশেষ সাফ করে ফেলেছিল। যে ক’টা পিলার দাঁড়িয়েছিল, তাও ভেঙে ফেলে। ৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে উম-উল-কোরা বিল্ডিং, ৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে লাল বিল্ডিংটিও গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এতসব ভাঙচুর কীসের জন্য? আবার সেখানে জঙ্গিঘাঁটি গড়া হচ্ছে বলে।
সূত্রের খবর, ২০২৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি, কাশ্মীর ঐক্য দিবসেই এই জঙ্গিঘাঁটির উদ্বোধন করার পরিকল্পনা রয়েছে লস্কর-ই-তৈবার। এই মারকাজ়কে ফের একবার জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ ও পরিকল্পনার জন্য ব্যবহার করতে চায় তারা। এর নির্মাণের দেখভাল করছেন মারকাজ় তৈবার ডিরেক্টর তথা লস্কর-ই-তৈবার মূল প্রশিক্ষক মৌলানা আবু জ়ার। আপাতত ভাওয়ালপুরে তাদের প্রশিক্ষণ শিবির স্থানান্তর করা হয়েছে।
চাঞ্চল্যকর বিষয় হল, যে পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে কোনও যোগ নেই বলেই দাবি করে, তারা প্রকাশ্যে এই বিল্ডিং পুনর্নির্মাণের জন্য টাকা চেয়েছে। গত অগস্ট মাসেই লস্কর-ই-তৈবা পাকিস্তান সরকারের কাছ থেকে ৪ কোটি পাকিস্তানি টাকা (ভারতীয় মুদ্রায় ১.২৫ কোটি টাকা) পেয়েছে। এই বিল্ডিং তৈরি করতে মোট খরচ হতে পারে ১৫ কোটি পাকিস্তানি মুদ্রা।
আরও হাস্যকর বিষয় হল, লস্কর-ই-তৈবা নিজেদের ঘাঁটি তৈরি করার জন্য লোকজনের কাছ থেকে চাঁদা তুলছে। তবে প্রকাশ্যে তো আর বলতে পারে না যে জঙ্গি ঘাঁটির জন্য টাকা তুলছে, তাই বন্যা ত্রাণ হিসাবেই অর্থ সংগ্রহ করছে।
