AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘ছোট’ গ্রুপ, কড়া ভাষায় জি-৭ দেশগুলিকে বিঁধল চিন

চিন বিশ্বাস করে বিশ্বের প্রত্যেকটি দেশই সমান। তাই বিশ্বনীতি ঠিক করার ক্ষেত্রে প্রত্যেকের পরামর্শ সমান গুরুত্বপূর্ণ।

'ছোট' গ্রুপ, কড়া ভাষায় জি-৭ দেশগুলিকে বিঁধল চিন
ফাইল চিত্র
| Updated on: Jun 13, 2021 | 12:41 PM
Share

ইংল্যান্ড: আনুষ্ঠানিক জি-৭ সামিট (G-7 Summit) বৈঠকে শুরু থেকেই বড় ঘোষণা হয়েছে। চিনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের পাল্টা প্রকল্প নিয়ে এসেছে জি-৭ দেশগুলি। তারই পাল্টা দিতে গিয়ে কড়া ভাষায় জি-৭ দেশগুলিকে বিঁধল চিন। ৭ উন্নত দেশের এই সংগঠনকে ‘ছোট’ গ্রুপের আখ্যা দিল বেজিং। লন্ডনের চিনা দূতাবাসের মুখপাত্র বলেন, “ওই দিন চলে গিয়েছে যখন বিশ্বনীতি ঠিক করত কয়েকটা দেশের ছোট গ্রুপ।”

তাঁর দাবি, চিন বিশ্বাস করে বিশ্বের প্রত্যেকটি দেশই সমান। তাই বিশ্বনীতি ঠিক করার ক্ষেত্রে প্রত্যেকের পরামর্শ সমান গুরুত্বপূর্ণ। শনিবার চিনের পাল্টা প্রকল্প ঘোষণার পর থেকে এই বিষয় স্পষ্ট যে এ বার থেকে একযোগে চিন বিরোধিতার সুর চড়াবে জি-৭ দেশগুলি। সেখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে ব্রিটেন ও আমেরিকা। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি এখন চিন। পূর্বাভাস অনুযায়ী, অদূর ভবিষ্যতে মার্কিন অর্থনীতিকেও ছাপিয়ে যাবে বেজি। এই পরিস্থিতিতে চিনের বিরুদ্ধে একযোগে জি-৭ দেশগুলির সুর চড়ানো অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা।

জি-৭ সামিটে রয়েছে আমেরিকা, ব্রিটেন, কানাডা, জার্মানি, ইতালি, ফ্রান্স ও জাপান। সূত্রের খবর চিন সম্পর্কিত শনিবারের আলোচনায় নেতৃত্ব দিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। সেখানেই আলোচনা হয়েছে শি জিনপিংয়ের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের পাল্টা প্রকল্পের। ২০১৩ সালে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ নিয়ে এসেছিল চিনের জিনপিং প্রশাসন। যার মাধ্যমে একাধিক গরিব দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থায় বিনিয়োগ করেছিল তারা। ২০১৭ সালে চিনের সংবিধানে যুক্ত হয় এই প্রকল্প। ২০৪৯ সালের মধ্যে এই প্রকল্প শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছে বেজিং। চিনের সেই প্রকল্পের সঙ্গে কার্যত সম্মুখ সমরে জি-৭ এর নয়া প্রকল্প।

আরও পড়ুন: একযোগে চিন বিরোধিতা জি-৭ দেশগুলির, আসছে নয়া প্রকল্প