United Kingdoms: তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ আর কল্পনা নয়, নয়া সেনাপ্রধানের নির্দেশে প্রস্তুতি শুরু যুক্তরাজ্যে

Russia-Ukraine War: তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে রুশ সেনার বিরুদ্ধে লড়ার জন্য ব্রিটিশ সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত হতে নির্দেশ দিলেন যুক্তরাজ্যের নয়া সেনাপ্রধান জেনারেল স্যার প্যাট্রিক স্যান্ডার্স।

United Kingdoms: তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ আর কল্পনা নয়, নয়া সেনাপ্রধানের নির্দেশে প্রস্তুতি শুরু যুক্তরাজ্যে
যুক্তরাজ্যের নয়া সেনাপ্রধান জেনারেল স্যার প্যাট্রিক স্যান্ডার্স
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 19, 2022 | 6:16 PM

লন্ডন: তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ কি আর অলিক কল্পনা নয়? অন্তত, যুক্তরাজ্যের নয়া সেনাপ্রধান জেনারেল স্যার প্যাট্রিক স্যান্ডার্স তাই মনে করছেন। গত সোমবার (১৩ জুন) জেনারেল স্যার মার্ক কার্লটন স্মিথের কাছ থেকে, সেনাপ্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন জেনারেল স্যান্ডার্স। তাঁর প্রথম ভাষণেই তিনি ব্রিটিশ সৈন্যদের ‘ফের ইউরোপে যুদ্ধ করার জন্য’ প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁর মতে সম্ভাব্য তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে রুশ সেনার বিরুদ্ধে লড়তে হবে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীকে।

‘দ্য সান’-এর রিপোর্ট অনুযায়ী জেনারেল স্যান্ডার্স বলেছেন, ‘আমাদের এমন এক সেনাবাহিনী গঠন করতে হবে, যা আমাদের মিত্রশক্তিদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করতে এবং রাশিয়াকে যুদ্ধে পরাজিত করতে সক্ষম হবে। এই প্রজন্মে আবার সেনাবাহিনীকে তৈরি হতে হবে ইউরোপে যুদ্ধ করার জন্য। ১৯৪১ সালের পর আমিই প্রথম চিফ অফ দ্য জেনারেল স্টাফ, যাকে ইউরোপে একটি স্থল যুদ্ধের ছায়ায় সেনাবাহিনীর দায়িত্ব গ্রহণ করতে হল। যে যুদ্ধে একটি মহাদেশীয় শক্তি জড়িত। আমাদের সেনাবাহিনীর মূল উদ্দেশ্য যুক্তরাজ্যকে রক্ষা করা। এর জন্য স্থলযুদ্ধ করার এবং জেতার জন্য প্রস্তুত হয় সেনা সদস্যরা। কিন্তু, ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন ছবিটা পাল্টে দিয়েছে।’

সম্ভাব্য তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্য সেনাবাহিনীকে প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি, ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর আধুনিকীকরণের পরিকল্পনা ত্বরান্বিত করার উপর জোর দিয়েছেন জেনারেল স্যান্ডার্স। সেনাবাহিনীকে কোনও সংকটের দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য তৈরি করার লক্ষ্যে, বাহিনীর সদস্যদের আরও বেশি বেশি করে বিদেশে মোতায়েন করার কথাও বলেছেন তিনি। তবে, সম্প্রতি ব্রিটিশ সরকার বাহিনীতে সেনা সদস্যের সংখ্যা কমিয়ে ৭৩,০০০-এ নামিয়ে এনেছে। গত ৩০০ বছরে এত ছোট ব্রিটিশ সেনাবাহিনী আর দেখা যায়নি। কাজেই জেনারেল স্যান্ডার্সের সামনে চ্যালেঞ্জটা অনেক বড়।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষিতে জেনারেল স্যান্ডার্সের এই মন্তব্য, রাশিয়া নিয়ে ইউরোপের সামগ্রিক অনুভূতিরই প্রতিফলন বলে মনে করা হচ্ছে। ঠান্ডা যুদ্ধের চলাকালীন সামরিক দিক থেকে নিরপেক্ষ অবস্থানে ছিল ব্রিটেনের দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্র ফিনল্যান্ড এবং সুইডেন। সম্প্রতি তারা সেই অবস্থান থেকে সরে এসে ন্যাটো সামরিক জোটের সদস্যপদ লাভের জন্য আবেদন করেছে। রবিবারই, আবার রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বেশ কয়েক বছর ধরে চলতে পারে বলে, সতর্ক করেছেন ন্যাটো প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ। এর জন্য তিনি ন্যাটোর সদস্য দেশগুলিকে ইউক্রেনে সামরিক ও আর্থিক সমর্থন বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

জেনস স্টলটেনবার্গ বলেছেন, ‘আমাদের অবশ্যই বছরের পর বছর ধরে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। ইউক্রেনেআমাদের সমর্থন দুর্বল হওয়া উচিত নয়। এমনকি, যদি খরচ বেশিও হলেও সাহায্য কমানো যাবে না।’ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনও, প্রায় একই কথা বলেছেন। রবিবার সানডে টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুসীরে তিনি বলেছেন, ‘আমার আশঙ্কা, আমাদের একটি দীর্ঘ যুদ্ধের জন্য নিজেদেরকে প্রস্তুত করতে হবে। কারণ, নিখুঁত বর্বরতার মাধ্যমে ইউক্রেনকে পিষে ফেলার চেষ্টা করছেন পুতিন। ইউকে এবং আমাদের মিত্রশক্তিগুলিকে অবশ্যই এর জবাব দিতে হবে। টিকে থাকার মতো কৌশলগত সহনশীলতা আছে ইউক্রেনের। তারাই শেষ পর্যন্ত জয়ী হবে।’