Operation Searchlight: ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের ৪ লক্ষ মহিলাকে ধর্ষণ করেছিল’, রাষ্ট্রপুঞ্জে পাকিস্তানকে তুলোধনা ভারতের
Horrors of Operation Searchlight: রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে মহিলাদের সুরক্ষা নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানে পাকিস্তান অভিযোগ করে, কাশ্মীরে মহিলাদের উপর নির্যাতন করা হয়। তারই জবাব দিতে গিয়ে পাকিস্তানি সেনার বর্বরতার ছবি তুলে ধরেন রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি পার্বতানেনি হরিশ।

ওয়াশিংটন: সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে পাকিস্তান সরকারের সরাসরি যোগ রয়েছে। বিশ্বের কাছে এই তথ্য বারবার তুলে ধরেছে ভারত। শুধু সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে যোগ নয়, পাকিস্তানের ইতিহাসে নৃশংসতার আরও ছবি রয়েছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে তা নিয়েই পড়শি দেশকে তুলোধনা করল ভারত। মহিলাদের নিরাপত্তার কথা ইসলামাবাদের মুখে যে মানায় না, অতীতের নৃশংসতার কথা তুলে ধরে বুঝিয়ে দিল নয়াদিল্লি। টেনে আনল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়ের কথা। সেইসময় পাকিস্তানের সেনাকে বাংলাদেশের (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) ৪ লক্ষ মহিলাকে ধর্ষণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে মহিলাদের সুরক্ষা নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানে পাকিস্তান অভিযোগ করে, কাশ্মীরে মহিলাদের উপর নির্যাতন করা হয়। তারই জবাব দিতে গিয়ে পাকিস্তানি সেনার বর্বরতার ছবি তুলে ধরেন রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি পার্বতানেনি হরিশ। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের মহিলাদের উপর যে নৃশংস অত্যাচার চালিয়েছিল, তা তুলে ধরেন হরিশ।
স্বাধীন বাংলাদেশের দাবি ঘিরে আন্দোলন তখন ক্রমশ জোরদার হচ্ছে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পূর্ব পাকিস্তানে (বর্তমানে বাংলাদেশ) ‘অপারেশন সার্চলাইট’ শুরু করে পাক সেনা। হরিশ বলেন, সেইসময় পূর্ব পাকিস্তানের ৪ লক্ষ মহিলাকে ধর্ষণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। অথচ পূর্ব পাকিস্তান তখনও পাকিস্তানের অন্তর্গত। অর্থাৎ নিজের দেশের মহিলাদেরই সেনাকে দিয়ে ধর্ষণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
বিভিন্ন রিপোর্টে জানা যায়, অপারেশন সার্চলাইটের সময় ৩০ লক্ষ মানুষকে খুন করেছিল পাক সেনা। ৪ লক্ষ মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল। বহু বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বাধ্য হয়ে বহু বাঙালি ভারতে আশ্রয় নেন।
