AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

KP Sharma Oli Hide Out: দেশে জ্বলছে আগুন, কোথায় লুকিয়ে ছিলেন ওলি? এখন কোথায় আছেন? অবশেষে প্রকাশ্যে সত্য

Nepal Unrest: আন্দোলনকারীদের তেজে ভস্মীভূত হয়ে যায় সরকার। প্রাণ বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে গোপন ডেরায় আশ্রয় নেন কেপি শর্মা ওলি। তাঁর হেলিকপ্টারে করে দেশ ছাড়ার জল্পনা ছড়িয়ে পড়ে। বেশ কিছু প্রতিবেদন দাবি করে ওলি দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। তবে তিনি কোথায় গিয়েছেন? জানা যায়নি তখনও। অবশেষে প্রকাশ্যে এল সেই সত্য।

KP Sharma Oli Hide Out: দেশে জ্বলছে আগুন, কোথায় লুকিয়ে ছিলেন ওলি? এখন কোথায় আছেন? অবশেষে প্রকাশ্যে সত্য
নেপালের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি!Image Credit: PTI
| Edited By: | Updated on: Sep 19, 2025 | 1:34 PM
Share

দীর্ঘদিনের দুর্নীতি, অপশাসন, তার সঙ্গে নেপালের নেতা-মন্ত্রীদের ছেলে-মেয়েদের বিলাসবহুল জীবনযাত্রা এবং টাকার আস্ফালন, এই সবে মিলে ক্ষোভ জমছিলই। সেটাই একেকটা মানব বোমা হয়ে ফেটে পড়ে ২৬টি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যান করার পর। রাস্তায় নেমে জনগণ, আন্দোলনের পুরভাগে Gen Z। আন্দোলনকারীদের তেজে ভস্মীভূত হয়ে যায় সরকার। প্রাণ বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে গোপন ডেরায় আশ্রয় নেন কেপি শর্মা ওলি। তাঁর হেলিকপ্টারে করে দেশ ছাড়ার জল্পনা ছড়িয়ে পড়ে। বেশ কিছু প্রতিবেদন দাবি করে ওলি দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। তবে তিনি কোথায় গিয়েছেন? জানা যায়নি তখনও। অবশেষে প্রকাশ্যে এল সেই সত্য।

বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিক্ষোভের হাত থেকে বাঁচাতে ওলিকে নেপাল সেনার সুরক্ষায় একটি সামরিক ব্যারাকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। গোটা নেপাল জুড়ে যখন চলছে তাণ্ডব, তখন ৯ দিন সেনার নিরাপত্তায় নিরাপদে সেই ব্যারাকে কাটান ওলি। ৯ সেপ্টেম্বর আন্দোলন লাগামছাড়া হতেই প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরে দাঁড়ান তিনি। তখনই তাঁকে ওই ব্যারাকে স্থানান্তরিত করা হয়। সঠিক স্থান জানা না গেলেও ধারণা ব্যারাকটি কাঠমান্ডুর উত্তরে শিবপুরী জঙ্গল এলাকায় কোথাও অবস্থিত।

এখন কোথায় আছেন ওলি?

সেনা কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন, নেপালের কমিউনিস্ট পার্টি (ইউনিফাইড মার্কসিস্ট-লেনিনিস্ট)-এর চেয়ারম্যান ৯ দিন সামরিক সুরক্ষায় থাকার পর তাঁর ব্যক্তিগত বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। যদিও তাঁর সঠিক অবস্থান প্রকাশ করা হয়নি, স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে তিনি ভক্তপুর জেলার গুণ্ডু এলাকায় একটি বাড়িতে উঠেছেন। যা কাঠমান্ডু থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত। তাঁর আগের বাসভবন বলুয়াটার এলাকায় ৯ সেপ্টেম্বর, আন্দোলনের দ্বিতীয় দিনেই, বিক্ষোভকারীরা জ্বালিয়ে ছাই করে দেয়।

সেই একই দিনে বিক্ষোভকারীরা বলুয়াটারে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়েও আগুন ধরিয়ে দেয়। তখন ওলি সরকারি বাসভবনের ভেতরেই ছিলেন। নেপাল সেনা দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে একটি হেলিকপ্টারের সাহায্যে তাঁকে উদ্ধার করে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যায়। এরপর ব্যারাকে আশ্রয় নেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে নেপালে গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। ৯ সেপ্টেম্বর কাঠমান্ডু ও আরও কয়েকটি জেলায় ঘটে যাওয়া ভয়াবহ হিংসা, অগ্নিসংযোগ, হত্যাকাণ্ড এবং লুটপাটের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। ওই দিন অন্তত ৭২ জন নিহত হয়, যা নেপালের সাম্প্রতিক ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।