Bizarre: পরিবারে কেউ মারা গেলেই, কাটা হয় মহিলাদের আঙুল! কেন জানেন?

Ikipalin: নিকট আত্মীয়ের মৃত্যুর পর পরিবারের মহিলারা নিজেদের আঙুল কেটে ফেলেন। অবশ্য গোটা আঙুল কেটে বাদ দেন না তাঁরা।

Bizarre: পরিবারে কেউ মারা গেলেই, কাটা হয় মহিলাদের আঙুল! কেন জানেন?
আঙুল কাটার পর হাতের অবস্থা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 22, 2022 | 9:30 AM

বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন রকম সাংস্কৃতিক বৈচিত্র থাকে। বাচ্চার জন্ম হোক বা বিয়ে বা নিকটজনের মৃত্যু। বিভিন্ন স্থানের বাসিন্দাদের মধ্যে আচারের বৈচিত্রও কম নয়। ইন্দোনেশিয়ার এক আদিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্য়ে এক রকম রীতির প্রচলন সামনে আসতেই অবাক হয়েছেন নেটিজেনরা। ইন্দোনেশিয়ায় থাকে দানি নামের উপজাতি। নিকট আত্মীয়ের মৃত্যুর পর পরিবারের মহিলারা নিজেদের আঙুল কেটে ফেলা হয়। অবশ্য গোটা আঙুল কেটে বাদ দেওয়া হয় না। তবে আঙুলের অগ্রভাগের একাংশ কেটে দেওয়া হয়।  এই রীতির নাম ইকিপালিন। ওই উপজাতির লোকেদের বিশ্বাস এই কাজ করলে মৃত ব্যক্তির আত্মা শান্তি পায়।

ইন্দোনেশিয়ার জায়ায়িজায়া প্রদেশে বাস দানি উপজাতির। তাঁদের মধ্যেই দেখা যায় ইকিপালিন প্রথা। এই প্রথার অঙ্গ হিসাবে, পরিজনের মৃত্যুর পর মহিলারা হাতের আঙুলের একাংশ কেটে ফেলেন। এ ভাবেই তাঁরা মৃতের শান্তি কামনা করেন।

এই কাজের জন্য মহিলাদের আঙুল দড়ি দিয়ে শক্ত করে বেঁধে দেওয়া হয়। ওই অংশে যাতে রক্ত সঞ্চালন না হয়, সে জন্য়ই দড়ি দিয়ে তা বাঁধা হয়। এর পর কুঠার দিয়ে একটি আঙুলের অগ্রভাগ কেটে ফেলা হয়। এই প্রক্রিয়া শেষ হলে, কাটা আগুনের ওই অংশ পোড়ানো হয়। রক্ত বন্ধ করতেই এই কাজ করে থাকেন দানি উপজাতির লোকেরা।  আঙুল কাটলে মৃতের আত্মার শান্তির পাশাপাশি পরিবারের শোকও কমে যায় বলে বিশ্বাস তাঁদের।

যদিও ইন্দোনেশিয়ার সরকার এই প্রথাকে ইতিমধ্যেই নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। তা বন্ধ করতে বিভিন্ন বিধিনিষেধ জারি করেছে। কেন মহিলাদেরই এই যন্ত্রণাদায়ক রীতির মুখোমুখি হতে হয়, সে প্রশ্নও উঠছে।