Netherlands: কর্মচারীদের আইনি অধিকার হতে চলেছে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’, সংসদের নিম্নকক্ষে পাস হল বিল
Netherlands Work From Home: 'ওয়ার্ক ফ্রম হোম', অর্থাৎ, বাড়িতে থেকেও যে অফিসের কাজ করা সম্ভব, তা গোটা বিশ্বকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে কোভিড-১৯ মহামারি। এবার উত্তর-পশ্চিম ইউরোপের এই দেশে কর্মচারীদের আইনি অধিকার হয়ে উঠতে চলেছে 'ওয়ার্ক ফ্রম হোম'।
অ্যামস্টারডাম: ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’, অর্থাৎ, বাড়িতে থেকেও যে অফিসের কাজ করা সম্ভব, তা গোটা বিশ্বকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে কোভিড-১৯ মহামারি। ভাইরাসের প্রকোপে গোটা বিশ্বের মানুষ ঘরে ঢুকে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন। পৃথিবী যাতে একেবারে স্থবির না হয়ে যায়, সেই কারণেই শুরু হয়েছিল বাড়ি থেকে কাজ করা। গত আড়াই বছরে, এই ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’, মাস্ক পরা-শারীরিক দূরত্ব রাখার মতোই ‘নিউ নর্মাল’ বা নয়া স্বাভাবিকতার মধ্যে ঢুকে পড়েছে। মানব সম্পদ গবেষকরা, আরও একধাপ এগিয়ে হাইব্রিড বা মিশ্র কর্মপরিবেশের কথাও বলছেন। অর্থাৎ, অর্ধেক কাজ অফিস থেকে, অর্ধেক বাড়ি থেকে। আর এবার, ওয়ার্ক ফ্রম হোম, বা বাড়ি থেকে কাজ করাটা কর্মচারীদের আইনি অধিকার হয়ে উঠতে চলেছে। প্রথম পদক্ষেপ করতে চলেছে নেদারল্যান্ডস।
সব কিছু ঠিকঠাক চললে, খুব শীঘ্রই উত্তর-পশ্চিম ইউরোপের এই দেশে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ বা বাড়ি থেকে কাজ করা কর্মচারীদের একটি আইনি অধিকারে পরিণত হতে চলেছে। গত সপ্তাহে ডাচ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে এই বিষয়ে সেই দেশের শ্রম আইনের একটি সংশোধনী বিল পাস হয়েছে। এরপর বিলটি সংসদের উচ্চকক্ষ বা সেনেটের অনুমোদনের অপেক্ষা করছে। সেনেট অনুমোদন দিলেই বিল সংশোধনীটি শ্রম আইনে যুক্ত করা হবে। সেই ক্ষেত্রে কোনও উপযুক্ত কারণ ছাড়াই বাড়ি থেকে কাজ করার অনুমতি পাবেন ডাচ কর্মীরা।
বর্তমানে, নেদারল্যান্ডসে বাড়ি থেকে কাজ করতে চাইলে কর্মীদের কোনও একটি উপযুক্ত কারণ (কোভিড-১৯ সংক্রমণ, কোয়ারেন্টাইন জারি ইত্যাদি) দেখাতে হয়। এই ধরনের কোনও কারণ ছাড়া কর্মীরা যদি বাড়ি থেকে কাজ করার অনুমতি চান, নিয়োগকর্তারা তা পত্রপাঠ অস্বীকার করতে পারেন। তবে, নতুন বিলটির জেরে, এই অবস্থাটা পুরো ১৮০ ডিগ্রি পাল্টে যেতে চলেছে। বিলের বয়ান অনুসারে, বাড়ি থেকে কাজ করার যাবতীয় অনুরোধ বাধ্যতামূলকভাবে বিবেচনা করতে হবে নিয়োগকর্তাদের। সেগুলি প্রত্যাখ্যান করার ক্ষেত্রে নিয়োগকর্তাদের পর্যাপ্ত কারণ দেখাতে হবে। কোনও কারণ ছাড়া কর্মীদের এই জাতীয় অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করা যাবে না।
কর্মচারীদের অধিকার রক্ষার জন্য বিশ্বে সুপরিচিত নেদারল্যান্ডস। নয়া সংশোধনীটি, ২০১৫ সালের নেদারল্যান্ডের শ্রম আইনকে আরও নমনীয় করে তুলবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর ফলে, কর্মীরা তাঁদের কাজের সময়, সময়সূচি এবং এমনকি কর্মস্থল পরিবর্তনেরও অনুরোধ করতে পারবেন। নেদারল্যান্ডস-এর বামপন্থী দল গ্রিন পার্টির সাংসদ তথা এই সংশোধনী বিলটির অন্যতম সহ-লেখক সেন্না মাতুগের দাবি, ‘এই ব্যবস্থা কর্মচারীদের কর্ম-জীবন ও ব্যক্তি জীবনে ভারসাম্য এনে দেবে। যাতায়াতের সময় ব্যয় করতে হবে না। ফলে তারা ব্যক্তি জীবনে আগের থেকে বেশি সময় দিতে পারবেন।’