Pension Scheme: চাকরি না করলেও এই স্কিমে পেতে পারেন পেনশন, জানুন কী ভাবে আবেদন করবেন
Pension Scheme: ২০১৫ সালে এটি চালু করে কেন্দ্র। মূলত বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত কর্মীদের কথা মাথায় রেখেই এটি চালু করা হয়।
উপার্জন কী ভাবে বাড়ানো যায় সেই লক্ষ্যে সবাই ভাল থেকে আরও ভাল চাকরির খোঁজ করেন। কিন্তু অনেকেই ভাবেন না অবসরের পর কী ভাবে উপার্জন করা যা, কী ভাবে নিজের অর্থনৈতিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা যায়। বয়স বাড়লে অন্য কারও ওপর বোঝা হয়ে না থেকে যদি নিজের সংস্থানটুকু নিজেই করে নেওয়া যায়, তাহলে ক্ষতি কি! প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর থেকেই এই প্ল্যানিং শুরু করা জরুরি। তবেই অবসরের পর নিশ্চিন্তে জীবন কাটাতে পারবেন। সরকারি চাকরি হলে পেনশন তো পাওয়াই যায়। কিন্তু বেসরকারি চাকরির ক্ষেত্রে পেনশন থাকে না। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের এমন একটি স্কিম রয়েছে, যা থেকে সবাই পেনশন পেতে পারেন।
অটল পেনশন যোজনা নামে সেই স্কিমের গ্রাহক সংখ্যা ইতিমধ্যেই ২৮ লক্ষ ছাড়িয়েছে। এই স্কিমে যদি আপনি বিনিয়োগ করেন, তাহলে মাসে ৫ হাজার থেকে শুরু করে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত পেনশন পেতে পারেন।
কী এই অটল পেনশন যোজনা
২০১৫ সালে এটি চালু করে কেন্দ্র। মূলত বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত কর্মীদের কথা মাথায় রেখেই এটি চালু করা হয়। দেশের প্রত্যেক নাগরিক এই স্কিমের জন্য আবেদন করতে পারেন। বয়স কত, তার ওপর ভিত্তি করে ঠিক করা হয়, কত টাকা বিনিয়োগ করতে হবে আপনাকে।
অটল পেনশন যোজনায় কী সুবিধা পাওয়া যায়
এই স্কিমে টাকা জমা করতে পারলে ৬০ বছর বয়সের পর পেনসন নিশ্চিত। এ ছাড়া এই স্কিমে বিনিয়েগ করলে পাওয়া যায় আয়কর ছাড়। আয়কর আইন অনুযায়ী, দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত ছাড় পেতে পারেন আপনি।
অটল পেনশন যোজনার ক্ষেত্রে কী কী বাধ্যতামূলক
১৮ বছর থেকে ৪০ বছয় বয়সী যে কেউ আবেদন করতে পারেন। তবে গ্রাহক হতে গেলে থাকতে হবে সেভিংস অ্যাকাউন্ট, আধার কার্ড, মোবাইল নম্বর।
কোন বয়সে কত বিনিয়োগ
যদি মাসে ৫০০০ টাকা করে পেনশন পেতে চান, তাহলে ১৮ বযর বয়স থেকে মাসে ২১০ টাকা করে জমা করতে হবে। ২০ বছর বয়সীদের মাসে ২৪৮ টাকা করে, ২৫ থেকে ৩০ বছর বয়সীদের মাসে ৩৭৬ টাকা থেকে ৫৭৭ টাকা করে, ৩৫ বছর বয়সীদের মাসে ৯০২ টাকা করে জমা করতে হবে। আর ৪০ বছর বয়স হয়ে গেলে মাসে ১৪৫৪ টাকা করে দিতে হবে।
কোথায় আবেদন করবেন
ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিস, যেখানে আপনার সেভিংস অ্যাকাউন্ট আছে, সেখানেই আপনি এই স্কিমের জন্য আবেদন করতে পারেন। স্কিম ম্যাচিওর হয়ে গেলে ওই সেভিংস অ্যাকাউন্টেই টাকা এসে জমা পড়বে।