New GST Rates On Goods : আজ থেকে দাম বাড়ছে চাল, ডাল, আটা, মুড়ির আর কোন জিনিসের দাম কমল?
New GST Rates On Goods : আজ থেকেই বেশ কিছু পণ্যে কার্যকর জিএসটি হচ্ছে জিএসটি। এর ফলে দাম বাড়তে পারে প্য়াকেটজাত পণ্যের।
সপ্তাহের প্রথম দিনেই মধ্যবিত্তদের পকেটে বাড়তি চাপ। কারণ বেশ কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যে আজ থেকেই নয়া পণ্য ও পরিষেবা কর (Goods and Services Tax) কার্যকর হচ্ছে। গত সপ্তাহেই সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল ১৮ জুলাই থেকে প্য়াকেটজাত ও লেবেল সাঁটা খাদ্যপণ্যে ৫ শতাংশ করে জিএসটি কার্যকর হবে। যেসব গৃহস্থে বিভিন্ন নিত্য়প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী প্যাকেটজাত অবস্থায় কেনা হয়ে থাকে তাঁদের ভাঁড়ার এর বড় প্রভাব বলেই মনে করা হচ্ছে। প্য়াকেটজাত দই, বাটার মিল্ক, পনির, গুড়, আটা, লস্যি, চাল, ডাল, মধু, মুড়িতে আগে কোনও জিএসটি ছিল না। কিন্তু জিএসটি কাউন্সিলের নয়া নির্দেশিকায় আম জনতার মুখরোচক খাদ্য মুড়িতে পর্যন্ত বসছে জিএসটি। এবং তা আজ থেকেই। নয়া জিএসটি-র তালিকায় একবার চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক –
নতুন করে জিএসটি বসছে যেসব পণ্যে :
৫ % জিএসটি : খাদ্যপণ্য (প্যাকেটজাত, লেবেল সাঁটা), দই, বাটার মিল্ক, পনির, গুড়, আটা, লস্যি, চাল, ডাল, মধু, মুড়িতে। হাসপাতালে দিনে ৫০০০ টাকার বেশি ভাড়ার বেডের উপর।
১২ % জিএসটি : দৈনিক ১০০০ টাকা পর্যন্ত ভাড়ার হোটেলের ঘরে। সব ধরনের মানচিত্র, গ্লোব, টোপোগ্রাফির প্ল্যানে।
১৮ % জিএসটি : চেকবইতে
জিএসটি বেড়েছে যেসব পণ্যে :
০.২৫ % – ১.৫০ % : কাটা ও পালিশ করা হিরে
৫% – ১২% : সোলার ওয়াটার হিটার,চামড়াজাত পণ্য, কোলবেড মিথেন
৫ % – ১৮ % : খাদ্যশস্য-ডাল-বীজ বাছাই ও শ্রেণি বিন্য়াসের যন্ত্র, বায়ুচালিত আটার চাকি, ই-বর্জ্য়, আলকাতরা
১২% – ১৮% : ছুরি, ব্লেড, শার্পনার, চামচ, ডিম-ফল-অন্যান্য কৃষিজ পণ্য বাছাই এবং শ্রেণি বিন্য়াসের যন্ত্র, ছাপা, লেখা ও আঁকার কালি, এলইডি আলো, আঁকার যন্ত্রপাতি, বিদ্যুৎচালিত জলের পাম্প, টেট্রা প্যাক
জিএসটি কমছে যেসব পণ্যে :
প্রতিরক্ষা খাতে বেসরকারি ক্ষেত্রের আমদানি করা সামগ্রী, ফাইলেরিয়া নির্মূলের ট্যাবলেট DEC
১২% – ৫% : কৃত্রিম অঙ্গ, দেহে বসানোর যন্ত্রাংশ, হাড়ের চিকিৎসার জন্য যন্ত্রাদি, শল্য চিকিৎসার সামগ্রী
১৮% – ৫% : রোপওয়েতে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন
১৮% – ১২% : ট্রাকসহ পণ্যবাহী যানবাহনের ভাড়া (জ্বালানির দাম সহ)
অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বর্ধিত জিএসটিতে মধ্যবিত্তদের উপর প্রভাব বেশি পড়তে পারে। এর ফলে মূল্যস্ফীতি হওয়ার সম্ভাবনা আরও বাড়তে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। অনেকের অনুমান, রাজস্ব ঘাটতি মেটাতেই এই জিএসটি বাড়িয়ে রাজকোষ ভরাতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার।