India Mobility Industry: ভারতে বাড়ছে বৈদ্যুতিন গাড়ির চাহিদা! কিনছে কারা? প্রকাশ্যে বড় রিপোর্ট
India Mobility Industry: আগামী পাঁচ বছরে ৬০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পার করে যাবে ভারতের গাড়ি উৎপাদনকারী শিল্পের বাজার। শুধু তা-ই নয়, রাস্তায় আরও বাড়বে বৈদ্যুতিন গাড়ির সংখ্যা।
নয়াদিল্লি: সময়ের সঙ্গে গতিশীল হচ্ছে দেশ। বাড়ছে যানবাহন। সময়কে ধরে রাখতে ঘরে ঘরে এখন বেড়েছে গাড়ির পরিমাণ। কেউ কিনছে শখে, কেউ আবার বাধ্য হয়ে। কারণ, গতিময় এই জীবনে থেমে থাকা যাবে না। সময়ের সঙ্গে পা মিলিয়ে হয়ে উঠতে হবে আরও গতিশীল।
গতিশীল সময়ে কিন্তু পারদের মতো চড়ছে গাড়ির দাম। আর সেটাকে কার্যত উপেক্ষা করেই হুড়মুড়িয়ে বিকোচ্ছে গাড়ি-বাইক। এমনটাই বলছে দেখা গিয়েছে সম্প্রতি প্রকাশিত একটি রিপোর্টে।
কী রয়েছে সেই সমীক্ষায়?
গুগল ও বস্টন কনসালটিং গ্রুপের যৌথ উদ্দ্যোগে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, আগামী পাঁচ বছরে ৬০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পার করে যাবে ভারতের গাড়ি উৎপাদনকারী শিল্পের বাজার। শুধু তা-ই নয়, রাস্তায় আরও বাড়বে বৈদ্যুতিন গাড়ির সংখ্যা।
সমীক্ষায় আরও বলা হয়েছে, আগামী পাঁচ বছরে বাড়বে বৈদ্যুতিন গাড়ির চাহিদা। চার চাকা হোক কিংবা দুই চাকা। পেট্রোল-ডিজেল চালিত গাড়ি ছেড়ে বৈদ্যুতিন গাড়ির দিকেই ঝোঁক বাড়াবে সাধারণ মানুষ। ইতিমধ্য়েই দেশে গাড়ি-বাইক ব্যবহারকারী ৩ জনের মধ্য়ে ১ জন বিদ্যুৎ চালিত গাড়ি ব্যবহার করে, বলে জানা যাচ্ছে সেই সমীক্ষা সূত্রে।
অবশ্য, বিদ্যুৎ চালিত এই গাড়ির বাজারে মূল প্রভাবটা ফেলবেন ভারতীয় নারীরা। জানা গিয়েছে, প্রতিদিন বিক্রি হওয়া বৈদ্যুতিন গাড়িগুলির মধ্যে ৫২ শতাংশ গাড়ি মহিলাদের নামে।
দেশের গাড়ি শিল্পে গতি আনতে বাড়তি জোর দিচ্ছে কেন্দ্রও। সম্প্রতি, নয়ডার প্রগতি ময়দানে শুরু হওয়া ভারত মোবিলিটি গ্লোবাল এক্সপোর উদ্বোধনে গিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেকে ভারতে হুড়মুড়িয়ে গাড়ির বিক্রি বাড়ার বিষয়টি তুলে ধরেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘ভারত যুব প্রজন্মের দেশ। আর যুব প্রজন্ম দ্বারা চালিত হওয়ার কারণে ভারতে গাড়ির চাহিদাও অনেকটা। শুধু তা-ই নয়, গত দশ বছরে ২৫ কোটি ভারতীয় দারিদ্র সীমা রেখার উপরে উঠেছেন। আর তাদের হাত ধরে দেশে বেড়েছে গাড়ি বিক্রির পরিমাণ।’