Shakib Al Hasan: ফের বিপাকে সাকিব আল হাসান, বাংলাদেশি তারকার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি
সময়টা মোটেও ভালো কাটছে না বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের। কয়েকদিন আগে তাঁর বোলিংয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আইসিসি। এরপর বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্কোয়াডে ডাক পাননি তিনি। এ বার তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।
কলকাতা: সময়টা ভালো কাটছে না বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের (Shakib Al Hasan)। কয়েকদিন আগে বোলিং অ্যাকশনের জন্য বিপাকে পড়েছিলেন। তাঁর বোলিংয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আইসিসি। এরপর বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্কোয়াডে ডাক পাননি তিনি। এর মাঝে হঠাৎ করেই আবার সমস্যায় সাকিব। তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। বাংলাদেশের প্রথমসারির সংবাদমাধ্যম, ‘প্রথম আলো’-তে এই খবর প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু কী কারণে সাকিবের বিরুদ্ধে জারি গ্রেফতারি পরোয়ানা? চেক প্রতারণার মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত।
চেক প্রতারণার অভিযোগে গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর সাকিব আল হাসানসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন আইএফআইসি ব্যাংকের জনসংযোগ কর্তা সাহিবুর রহমান। সে দিন সাকিব সহ বাকিদের আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এরপর মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক হয় ১৯ জানুয়ারি। সেই মতো আজ, রবিবার আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেডের পরিচালক ইমদাদুল হক ও মালাইকার বেগম।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) জিয়াদুর রহমান আজ সাকিবের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন। সাকিব আল হাসান ও অ্যাগ্রো ফার্মের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গাজী শাহাগীর হোসাইন আদালতে রবিবার হাজির হননি। সেখানে আইএফআইসি ব্যাংকের জনসংযোগ কর্তা সাহিবুর রহমান চার অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির অনুরোধ করেন। তাঁর সেই অনুরোধ মেনে নেয় আদালত। তাই সাকিব ছাড়াও তাঁর ফার্মের আধিকারিক শাহগিরের বিরুদ্ধেও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।
বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে ঠিক অভিযোগ কী? ২০১৭ সালে আইএফআইসি ব্যাংকের বনানী শাখা থেকে অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেড দেড় কোটি টাকা ঋণ নেয়। সেই সংস্থার চেয়ারম্যান সাকিব। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঋণ পরিশোধ করেনি সাকিবের সংস্থা। ফলে পরবর্তীতে ঋণ পরিশোধের জন্য ব্যাঙ্ক থেকে সাকিবের সংস্থাকে নোটিশ দেওয়া হয়। তারপর অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেড গত বছরের ৪ সেপ্টেম্বর ৪ কোটি ১৪ লাখ টাকার দুটি চেক দেয় সেই ব্যাঙ্ককে। কিন্তু ওই সাকিবের ফার্মের অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা ছিল না। ফলে চেক বাউন্স হয়। এরপর ফের ঋণ পরিশোধ করার জন্য সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেডকে আইনি নোটিশ পাঠায় আইএফআইসি ব্যাংক। তারপরও ঋণ না মেটানোর ফলে ১৫ ডিসেম্বর ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেডের মালিক সাকিব আল হাসানসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করে। আর তার ফলস্বরূপ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে সাকিব আল হাসানসহ চারজনের বিরুদ্ধে।