ISRO: স্যাটেলাইট তৈরিতে বিপ্লব ভারতে, খরচ ৭০০ টাকা, তৈরিতে স্কুল-কলেজ পড়ুয়ারা!
Indian Space Research Organisation: ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা বা ইসরো কিন্তু দেশের সব ছাত্রছাত্রীদের জন্য পথ খুলে রেখেছে। দুটি উপায়ে ছাত্রছাত্রীরা এই প্রকল্পে অংশ নিতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজেরাই পেলোড তৈরি করতে পারে। বা ইসরোর সাহায্যে সম্পূর্ণ স্যাটেলাইট ডিজাইন করতে পারে।

মহাকাশে ভারতের নতুন বিপ্লব। আর সেই বিপ্লবে সামিল দেশের স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীরা। এই উদ্যোগে সামিল হয়েছে দেশের ৫০টির বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আর ২০২৫ সালে ইসরো (ISRO) লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে ৭৫টি এমন স্যাটেলাইট তারা উৎক্ষেপণ করবে যা ছাত্রছাত্রীদের দ্বারা তৈরি।
ছাত্রছাত্রীদের তৈরি কৃত্রিম উপগ্রহ! কী, শুনে অবাক লাগছে! তাই না? হায়দরাবাদের এক স্কুলের ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সী পড়ুয়ারা নিজেদের CubeSat তৈরি করছে। বর্গাকার এই স্যাটেলাইটের ওজন মাত্র ২ কেজি। আর বাহুর দৈর্ঘ্য ১০ সেন্টিমিটার। দেশের কনিষ্ঠতম স্যাটেলাইট ডেভেলপার হিসাবে উঠে এসেছে এই পড়ুয়াদের নাম।
কিন্তু ওড়িশার দুই ২১ বছরের ছাত্র যা করেছে, তা অভাবনীয়। কোটি টাকার যন্ত্রাংশ নয়, মাত্র ৭০০ টাকার স্ক্র্যাপ মেটাল বা বাতিল ধাতু দিয়ে তারা তৈরি করতে চলেছে দেশের প্রথম গামা-রে ডিটেক্টিং স্যাটেলাইট। আর তাদের এই উদ্যোগ প্রমাণ করছে, ইচ্ছে থাকলে কিন্তু অর্থের অভাব বাধা হতে পারে না।
ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা বা ইসরো কিন্তু দেশের সব ছাত্রছাত্রীদের জন্য পথ খুলে রেখেছে। দুটি উপায়ে ছাত্রছাত্রীরা এই প্রকল্পে অংশ নিতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজেরাই পেলোড তৈরি করতে পারে। বা ইসরোর সাহায্যে সম্পূর্ণ স্যাটেলাইট ডিজাইন করতে পারে। প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি ও টেস্টিং সুবিধা ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নিজেরাই দিয়ে থাকে।
এটা শুধু ক্লাসরুমের বাইরে হাতেকলমে শেখা নয়। এটাই ভারতের আগামীর বিলিয়ন ডলারের মহাকাশ অর্থনীতির ভিত। কারণ এই ছাত্রছাত্রীরাই আগামীতে দেশের স্পেস ইন্ডাস্ট্রির মূল চালিকাশক্তি হয়ে উঠবে।
