Mexico Imposes Tariffs on India: ট্রাম্প যেন সারথী, এবার ভারতের উপর ৫০ শতাংশের ‘শুল্কাঘাত’ মেক্সিকোর, তেঁতে উঠল চিনও
Mexico 50 Percent Tariffs on India: মেক্সিকোর এই নতুন শুল্ক কাঠামোর জেরে আপাতত চোখের সামনে জুজু দেখছেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হবেন একাংশের অটো মোবাইল যন্ত্রাংশ ব্যবসায়ী, শিল্পপতিরা। কিন্তু আচমকাই এই শুল্কাঘাতের কারণ কী? আমেরিকার মতোই মেক্সিকো অনেকাংশে নির্ভর করে থাকে রফতানি ব্যবস্থার উপর।

নয়াদিল্লি: আমেরিকার পর এবার নব্য সংযোজন মেক্সিকো। ট্রাম্পের জুতোয় পা গলালেন মেক্সিকান প্রেসিডেন্ট শেইনবাম। যে আমেরিকা সঙ্গে এত সংঘাত, কখনও সীমান্ত নিয়ে সমস্যা, কখনও বা অনুপ্রবেশ নিয়ে। কলোরাডো নদী, তা নিয়েও উভয়ের মধ্যে গোলযোগ কম নয়। কিন্তু প্রসঙ্গ যখন শুল্ক, তখন সেই মেক্সিকো আবার আমেরিকার থেকেও যেন কম নয়, এমনটাই বলছে ওয়াকিবহাল মহল।
বৃহস্পতিবার ভারতের উপর ৫০ শতাংশের শুল্ক চাপাল উত্তর আমেরিকার এই দেশ। তবে শুধু একা ভারত নয়, নিজেদের দেশের বাজার, শিল্প এবং অর্থনীতির ‘স্বার্থে’ চিনা পণ্যেও ৫০ শতাংশের শুল্ক চাপিয়েছে তারা। ভারত থেকে ওই দেশে মূলত অটো মোবাইল সংক্রান্ত পণ্যই বেশি পাঠানো হয়ে থাকে। ভারতে উৎপাদিত অটো মোবাইল এবং গাড়ির যন্ত্রাংশের ২৫ শতাংশ, যার আনুমানিক মূল্য ১০০ কোটি মার্কিন ডলারের অধিক প্রতি বছর মেক্সিকোতে রফতানি করা হয়ে থাকে।
মেক্সিকোর এই নতুন শুল্ক কাঠামোর জেরে আপাতত চোখের সামনে জুজু দেখছেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হবেন একাংশের অটো মোবাইল যন্ত্রাংশ ব্যবসায়ী, শিল্পপতিরা। কিন্তু আচমকাই এই শুল্কাঘাতের কারণ কী? আমেরিকার মতোই মেক্সিকো অনেকাংশে নির্ভর করে থাকে রফতানি ব্যবস্থার উপর। এশিয়া মহাদেশের অন্তর্গত বিভিন্ন দেশ থেকেই প্রতিবছর নানা পণ্য আমদানি করে থাকা তাঁরা। আর এই নির্ভরতার কারণে দেশীয় বাজারে ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে মেক্সিকোকে।
মেক্সিকোর এই ৫০ শতাংশের শুল্কাঘাতের জের সবচেয়ে বেশি পড়বে চিনের উপর। সর্বোচ্চ ক্ষতিটা তাঁদেরই গুনতে হবে। সেই কারণে মেক্সিকো শুল্ক চাপাতেই তেঁতে উঠেছেন শি জিনপিং। বৃহস্পতিবার চিনা প্রশাসন একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ‘আমরা এই ধরনের শুল্ক ব্যবস্থার তীব্র নিন্দা করি। মেক্সিকোর প্রশাসনের কাছে আমাদের আর্জি, এই ধরনের বাণিজ্যিক বিশৃঙ্খলা বন্ধ করা হোক।‘ গতবছরের পরিসংখ্যা অনুযায়ী, শুধুমাত্র মেক্সিকোতেই ১ হাজার ৩০০ কোটি মার্কিন ডলারের নানাবিধ পণ্য পাঠিয়েছে চিন। যা এই নতুন শুল্ক কাঠামোর জেরে অনেকটা ধাক্কা খাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
