Sandeshkhali: খুনের চক্রান্ত ২০২৪ সাল থেকেই? অভিযোপত্রে আর কোন কোন বিস্ফোরক কথা লিখলেন ভোলানাথ?
Sheikh Shahjahan: যে ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে আব্দুল আলি মোল্লা ও নজরুল মোল্লা। আব্দুল আলি মোল্লা ঘাতক গাড়ির চালক। অন্যদিকে নজরুল মোল্লার বাইকে চেপেই নাকি চম্পট দিয়েছিল আব্দুল। ভোলনাথ বলছেন, ঘটনার সময় তিনি ঘাতক লরির চালক কে সেটা জানতেন না।

সন্দেশখালি: ন্যাজাট কাণ্ডে তোলপাড় চলছেই। এরইমধ্যে ৮ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগও করে ফেলেছেন ভোলানাথ ঘোষ। তালিকায় সস্ত্রীক শেখ শাহজাহান সহ রয়েছে ৮ জনের নাম। আর পুলিশের কাছে যে কেস ভোলানাথ করেছেন সেখানেই রয়েছে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ। তাঁর সাফ কথা, যা ঘটেছে তার পিছনে রয়েছে এক গভীর ষড়যন্ত্র। অভিযোগপত্রে ভোলানাথ লিখছেন, ‘১০ ডিসেম্বর আমি বাড়ি থেকে বসিরহাট কোর্ট যাচ্ছিলাম। সঙ্গে ছোট ছেলে ছিল। গাড়ি নিয়ে বাড়ি থেকে বেরোনোর পর দেখি আমার গাড়ি ফলো করছিল একটি বাইক। বাইকের পিছনের সিটে আরওও এক ব্যক্তি ছিল। আমি প্রথমে গুরুত্ব দিইনি। আমার গাড়ি গয়ারবাড়ি পার করে কিছুটা যাওয়ার পর দেখি একটি লরি তীব্র গতিতে ছুটে আসছে আমাদের দিকে। চিৎকার করি। কিন্তু লরিটা সজোরে ধাক্কা মারে। তারপর আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। এয়ারব্যাগ খোলার আওয়াজ জ্ঞান ফেরে। দেখি আমার গাড়ির চালক ও পিছনে বসে থাকা ছোট ছেলে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। তারপর স্থানীয় লোকজন আমায় উদ্ধার করে কাছের হাসপাতালে নিয়ে যায়।’
যে ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে আব্দুল আলি মোল্লা ও নজরুল মোল্লা। আব্দুল আলি মোল্লা ঘাতক গাড়ির চালক। অন্যদিকে নজরুল মোল্লার বাইকে চেপেই নাকি চম্পট দিয়েছিল আব্দুল। ভোলনাথ বলছেন, ঘটনার সময় তিনি ঘাতক লরির চালক কে সেটা জানতেন না। অভিযোগপত্রে লিখছেন, ‘হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে জানতে পারি ওই গাড়ির চালক আব্দুল আলিম মোল্লা। আমাদের খুন করতে ওই গাড়ি দিয়ে ধাক্কা মারে। গাড়িটি ধাক্কা মারার পর একটি বাইক নিয়ে নজরুল মোল্লা এসে আব্দুলকে নিয়ে চম্পট দেয়।’
ভোলানাথের আরও দাবি, তাঁকে খুন করার চক্রান্ত হচ্ছিল ২০২৪ সাল থেকেই। আর সবটাই হচ্ছিল শেখ শাহজাহানের নির্দেশেই। অভিযোগপত্রে লিখছেন, ‘২০২৪ সালের ১ এপ্রিল আমি বাড়ি আসার পর থেকে শাহজাহানের নির্দেশে আমাকে চক্রান্ত করা হচ্ছে খুন করার জন্য। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন লোকদের দিয়ে আমাকে ভয় দেখানো হচ্ছিল। এটা পরিকল্পনা করে আমাকে খুন করার চেষ্টা। শেখ শাহাজান তার স্ত্রীকে ফোন করে পরিকল্পনা দেয়। তারপর সংগঠিতভাবে এই কাণ্ড হয়েছে। শেখ শাহাজান, তার পরিবার ও শাগরেদরা এই খুনে জড়িত।’
