AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Ratan Tata, Tata Sons: এই না হলে রতন টাটা! ৮৩ বছর বয়সে প্রাক্তনের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন ১৫০ কিমি রাস্তা গাড়ি চালিয়ে, কে তিনি?

Tata Group, Ratan Tata Driving Car: এই সফরের কোনও প্রচার কোথাও ছিল না। কারণ, রতন টাটা বরাবরই প্রচারবিমুখ। ফলে, এই সফরে ছিল না কোনও মিডিয়া, ক্যামেরার ঝলকানি বা নিরাপত্তারক্ষীর বহর।

Ratan Tata, Tata Sons: এই না হলে রতন টাটা! ৮৩ বছর বয়সে প্রাক্তনের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন ১৫০ কিমি রাস্তা গাড়ি চালিয়ে, কে তিনি?
Image Credit: PTI
| Updated on: Sep 09, 2025 | 6:28 PM
Share

২০২১ সালের জানুয়ারি মাস। ৮৩ বছর বয়সের রতন টাটা মুম্বই থেকে পুনে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার পথ নিজেই পাড়ি দিলেন। ব্যবসার কাজ বা কোনও জরুরি বৈঠকের জন্য নয়। তাঁর উদ্দেশ্য ছিল একটাই, টাটা গ্রুপের এক প্রাক্তন কর্মী, যিনি অসুস্থও ছিলেন, তাঁর সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে দেখা করা।

টাটা গ্রুপের সেই প্রাক্তন কর্মীর নাম যোগেশ দেশাই। প্রায় ২৫ বছর ধরে তিনি টাটা গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ২০১৯ থেকে তিনি শয্যাশায়ী। আর সেই অসুস্থ যোগেশ দেশাইকে দেখতেই পুনে চলে এলেন টাটা সন্সের তৎকালীন চেয়ারম্যান এমিরেটাস রতন টাটা।

এই সফরের কোনও প্রচার কোথাও ছিল না। কারণ, রতন টাটা বরাবরই প্রচারবিমুখ। ফলে, এই সফরে ছিল না কোনও মিডিয়া, ক্যামেরার ঝলকানি বা নিরাপত্তারক্ষীর বহর। একদম নিঃশব্দে রতন টাটা পৌঁছে যান পুনের ফ্রেন্ডস কলোনি, যোগেশের বাড়িতে। সেখানে তিনি তাঁর প্রাক্তন সহকর্মীর স্বাস্থ্যের খোঁজ নিয়ে যোগেশ আর পরিবারের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটিয়ে মুম্বই ফিরে আসেন।

টাটা গ্রুপ বা রতন টাটার পক্ষ থেকে এই সফরের কথা কোথাও প্রচার করা হয়নি। পরে, যোগেশ দেশাইয়ের এক পরিচিত ব্যক্তি সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘটনা শেয়ার করলে তা জানতে পারেন সকলে ও শোরগোল পড়ে যায় দেশের মানুষের মধ্যে। যদিও আজ বেঁচে নেই রতন টাটা। কিন্তু তাঁর একাধিক কাজের মাধ্যমে তাঁকে দেশের মানুষ মনে রেখেছেন।

তাজ হোটেলে আক্রমণ হোক বা এই ঘটনা, বারবার সংস্থার কর্মীদের প্রতি রতন টাটার যে কতটা দায়বদ্ধতা, তা দেখা গিয়েছে। আর এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করে, রতন টাটার কাছে তাঁর কর্মীরা আসলে এক বৃহত্তর পরিবারের সদস্য। আর সংস্থার কর্মীদের প্রতি টাটা সন্স ও রতন টাটার দায়বদ্ধতা যে চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও অটুট থাকে, এই সফর তারই জ্বলন্ত প্রমাণ। শুধু লাভ ক্ষতির হিসাব নয়, সংস্থার প্রাক্তন কর্মীর কষ্টের সময় যেন তার পাশে থাকাই রতন টাটাকে অন্য সব সংস্থার মালিক বা বসের থেকে আলাদা করে। কর্পোরেট জগৎ যখন লাভ-ক্ষতির হিসেবকেই প্রাধান্য দেয়, তখন রতন টাটার এই নিঃশব্দ মানবিকতা এক নতুন পথের দিশা দেখায়।