TCS: এই অফিস বন্ধ করতে চলেছে রতন টাটার TCS, অনিশ্চয়তার মুখে হাজার জনের চাকরি, চিঠি লিখলেন মন্ত্রী
TCS to close this office: মধ্যপ্রদেশের অর্থমন্ত্রী জগদীশ দেবড়া টিসিএসের সিইও কে কৃত্তিবাসনকে চিঠি লিখেছেন। সেখানে লিখেছেন, ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে টিসিএস তাদের ভোপাল শাখা বন্ধ করে দিচ্ছে বলে তিনি জানতে পেরেছেন। চিঠিতে তিনি লেখেন, রাজ্য সরকার চায় ভোপাল শাখা চালু রাখুক টিসিএস। যেমনভাবে তারা আহমেদাবাদ, পটনা, লখনউ, ভুবনেশ্বর এবং কোচিতে তাদের শাখা চালু রেখেছে।

ভোপাল: বছর খানেক আগে প্রয়াত হয়েছেন রতন টাটা। তাঁর টাটা ‘সাম্রাজ্য’-র একটি অফিস এবার বন্ধ হতে চলেছে। সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে জানা গিয়েছে, ১৩ বছর পর মধ্যপ্রদেশের ভোপালে নিজেদের শাখাটি বন্ধ করতে চলেছে টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস(টিসিএস)। প্রায় হাজার কর্মীর চাকরি এখন অনিশ্চয়তার মুখে। শুধু কর্মীদের চাকরি যাওয়াই নয়, ওই অফিস বন্ধ হলে ওই রাজ্যের রাজস্ব আদায়ও ধাক্কা খাবে।
জানা গিয়েছে, চলতি বছরের জুন থেকে ভোপালের অফিসে কাজকর্ম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ওই অফিসের জিনিসপত্র সরানো শুরু হয়েছে। টিসিএসের কর্মীরা মধ্যপ্রদেশের অর্থমন্ত্রী তথা উপমুখ্যমন্ত্রী জগদীশ দেবড়ার সঙ্গে দেখা করার পরই বিষয়টি সামনে আসে। টিসিএসের ভোপাল শাখা বন্ধ হলে শহরের অর্থনৈতিক ও সামাজিক জীবনে প্রভাব পড়বে। এই শাখা থেকে বছরে প্রায় ৫০০ কোটি টাকার ব্যবসা করে টিসিএস। এই শাখা বন্ধ হলে প্রায় এক হাজার কর্মীর চাকরি অনিশ্চয়তার মুখে পড়বে। তাই, শাখাটি যাতে চালু রাখা হয়, তার জন্য উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার।
মধ্যপ্রদেশে কেন নিজেদের অফিস বন্ধ করছে TCS?
টিসিএস-র ভোপাল শাখা বন্ধের কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। তবে কর্মীরা জানিয়েছেন, তাঁদের অন্য ব্রাঞ্চে পাঠানোর কথা জানানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, মধ্যপ্রদেশের অর্থমন্ত্রী জগদীশ দেবড়া টিসিএসের সিইও কে কৃত্তিবাসনকে চিঠি লিখেছেন। সেখানে লিখেছেন, ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে টিসিএস তাদের ভোপাল শাখা বন্ধ করে দিচ্ছে বলে তিনি জানতে পেরেছেন। চিঠিতে তিনি লেখেন, রাজ্য সরকার চায় ভোপাল শাখা চালু রাখুক টিসিএস। যেমনভাবে তারা আহমেদাবাদ, পটনা, লখনউ, ভুবনেশ্বর এবং কোচিতে তাদের শাখা চালু রেখেছে। তিনি বলেন, টিসিএসের এই শাখা বন্ধ হয়ে গেলে রাজ্যের কোটি কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতি হবে। এবং হাজার মানুষের চাকরি যেতে পারে।
কী ক্ষতি হতে পারে মধ্য়প্রদেশের?
ভোপালে টিসিএসের অফিস বন্ধ হলে শুধু চাকরিতে প্রভাব পড়বে তা নয়। রাজ্যের অর্থনীতিতে প্রভাব পড়বে। মধ্যপ্রদেশে শিল্প ও বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রয়েছে টিসিএসের অফিসের। টিসিএসের ৫০০ কোটির ব্যবসা থেকে বড় রাজস্ব আসে রাজ্য সরকারের ভাঁড়ারে। ভোপালের অফিসে প্রায় এক হাজার কর্মী কাজ করেন। অফিস বন্ধ হয়ে গেলে তাঁদের চাকরি অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। যদি টিসিএস এই অফিস পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়, তাহলে এই কর্মীদের নতুন চাকরি খুঁজতে হবে। ফলে অর্থনৈতিক সংকট তৈরি হবে।
