Union Budget 2024: মধ্যবিত্তের জন্য কতটা নির্মল হবে নির্মলার বাজেট? বাড়বে কি আয়কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা
Union Budget: নীতা সেই সব ভারতবাসীর প্রতিনিধি, যাঁরা নিজেদের পছন্দের কিছু জিনিস কেনার আগে দশবার ভাবেন। যাঁদের একটি নির্দিষ্ট টাকার গণ্ডির মধ্যে গোটা মাস চালাতে হয়। সেখানেও হিমশিম খান মাসের শেষে। সংসারের কথা ভেবে যাঁদের অনেক সময়ই নিজেদের ইচ্ছাগুলিকে দমিয়ে রাখতে হয়, কিংবা গলা টিপে মেরে ফেলতে হয়। মাস গেলে কত টাকা সেভিংস হচ্ছে, সেটা নিয়ে ভাবতে হয়। নীতার মতো সেই মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষজন, যাঁরা মোটামুটি একটি চাকরি করে সংসার চালান, তাঁদের জন্য এবারের বাজেটে কী থাকতে পারে?
নয়া দিল্লি: গোটা দেশ এখন তাকিয়ে আছে বৃহস্পতিবারের দিকে। সংসদে বাজেট পেশ করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। খবরের কাগজের পাতা ওল্টালেই এখন শুধু বাজেটের খবর। আর এসব দেখতে দেখতে নীতার মাথায় একগাদা প্রশ্নের ভিড় গিজগিজ করতে শুরু করে। নীতা ভারতের সেই সব মধ্যবিত্ত সমাজের প্রতিনিধি, যাঁরা ঠিক ততটা গরিব নন। আবার ঠিক ততটা বড়লোকও নন। তাঁরা বিনামূল্য রেশন কিংবা আয়ুষ্মান প্রকল্পের উপভোক্তা নন। আবার সম্পত্তির এমন পাহাড়ও নেই, যে গোটা জীবনটা নিশ্চিন্তে বসে কাটাবেন।
নীতা সেই সব ভারতবাসীর প্রতিনিধি, যাঁরা নিজেদের পছন্দের কিছু জিনিস কেনার আগে দশবার ভাবেন। যাঁদের একটি নির্দিষ্ট টাকার গণ্ডির মধ্যে গোটা মাস চালাতে হয়। সেখানেও হিমশিম খান মাসের শেষে। সংসারের কথা ভেবে যাঁদের অনেক সময়ই নিজেদের ইচ্ছাগুলিকে দমিয়ে রাখতে হয়, কিংবা গলা টিপে মেরে ফেলতে হয়। মাস গেলে কত টাকা সেভিংস হচ্ছে, সেটা নিয়ে ভাবতে হয়। নীতার মতো সেই মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষজন, যাঁরা মোটামুটি একটি চাকরি করে সংসার চালান, তাঁদের জন্য এবারের বাজেটে কী থাকতে পারে?
এসব কথা ভাবতে ভাবতেই দীর্ঘশ্বাস পড়ে নীতার। আয়নার দিকে তাকিয়ে নিজেই ভাবতে থাকেন, বাজেটে কী কী আশার আলো দেখতে পারেন তাঁর মতো মানুষরা। প্রথমেই মাথায় আসে, আয়কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমার কথা। আর পাঁচটা চাকরিজীবী মানুষের মতোই, তাঁর মাথাতেও প্রথম প্রশ্ন এটাই। আয়কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা করে বাড়বে? তাহলে তো একটু হলেও সুরাহা হয়, একটু বেশি টাকা তাহলে সঞ্চয় করা যায়। আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার পর যা থাকে, তার বেশিরভাগই বেরিয়ে যায় বাড়ি ভাড়ায়, গাড়ির ইএমআইতে। আর যা থাকে, সেখান থেকে ছেলেমেয়েদের স্কুলের খরচ, টিউশনের খরচ, মুদিখানার খরচ, এসব দিতে দিতেই চলে যায়। এসবের পর অল্প যা কিছু পরে থাকে, সেটা বিমার প্রিমিয়াম কিংবা কোনও ইনভেস্টমেন্টে চলে যায়। নিজেদের শখ-আহ্লাদ পূরণের অবকাশ থাকে না।
নির্মলার বাজেট কি এবার তাঁদের উপর নির্মল হবে? আয়নার দিকে তাকিয়ে সেসব কথাই ভাবতে থাকেন নীতা। আয়নার উল্টোদিক থেকে নীতার প্রতিবিম্ব যেন মুখ খুলে ওঠে আচমকা। বলে ওঠে, সামনেই তো ভোট রয়েছে। লোকসভা ভোট। সরকার নিশ্চয়ই ভোটমুখী একটা বাজেট করতে পারে। সেক্ষেত্রে হয়ত এমন কোনও আশ্বাসও মিলতে পারে বাজেটে।
কিন্তু মধ্যবিত্ত চাকরিজীবীদের যে চাহিদার, আশা-আকাঙ্ক্ষা অনেক। এই যেমন ৮০সি-র আওতায় করের ঊর্ধ্বসীমা যদি একটি বাড়ানো হয়, কী উপকারটাই না হয়। শেষবার বদলেছিল প্রায় এক দশক হতে চলল। ২০১৪-১৫ অর্থবর্ষে। এখনকার নিয়ম অনুযায়ী, ৮০সি-তে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত কর ছাড় পাওয়া যায়। এই দেড় লাখের ঊর্ধ্বসীমা কি বাড়বে? মনে মনে ভাবেন নীতা। পিএফ কিংবা ছেলেমেয়েদের স্কুলের খরচ বা টিউশনের খরচ জোগাতে এই দেড় লাখ যথেষ্ট। কিন্তু অন্য কোনও ধরনের বিনিয়োগের ক্ষেত্রে তা পর্যাপ্ত নয়। তাহলে? নীতার মনের মধ্যেই যুক্তির সংঘাত। মন তো চাইছে বাড়ুক। কিন্তু এখানে যে সরকারেরও হাত বাঁধা। কারণ, একটু ছাড় দিলেও লাখ লাখ মানুষ এই ব্র্যাকেট থেকে ছিটকে যাবেন।
এটা যদি নাও হয়, নীতা চাইছেন অন্তত স্বাস্থ্য বিমার প্রিমিয়ামটুকু পুরোটা করমুক্ত করে দিক সরকার। তাঁকে এখন ৪০ হাজার টাকার প্রিমিয়াম গুনতে হয়। ছাড়ের সীমা রয়েছে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। নির্মলার বাজেটে কি কোনও সুখবর অপেক্ষা করছে তাঁর জন্য? তাহলে তো স্বাস্থ্যবিমার ক্ষেত্রে অনেকটা সুবিধা হয়। নীতারা যে শ্রেণির মধ্যে পড়েন, তাতে তাঁরা আয়ুষ্মান প্রকল্পের সুবিধা পান না। সেক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিমার প্রিমিয়াম যদি সম্পূর্ণ কর মুক্ত করে দেওয়া হয়, তাহলে অনেকটা সুরাহা হয় বলেই মনে মনে ভাবেন নীতা।