UPI or Cash: ইউপিআইতে ২৪ লক্ষ কোটির লেনদেন, তাও সেখানে ধনী-দরিদ্র বৈষম্য!
Unified Payment Interface: ২০১৬ সালে চালু হওয়া ইউপিআই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিরাট এক পেমেন্ট সিস্টেমে পরিণত হয়েছে। ভারত ছাড়াও ফ্রান্স, সৌদি আরব বা কাতারের মতো দেশগুলো এখন ইউপিআই ব্যবহার করে।

ভারতীয় অর্থনীতির মূল কাঠামোয় এসেছে এক বিরাট পরিবর্তন। বিশেষত ডিজিটাল ইন্ডিয়া ইনিশিয়েটিভ লঞ্চ হওয়ার পর এই ব্যাপারটা আরও স্পষ্ট হয়েছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশে ইউনাইটেড পেমেন্টস ইন্টারফেস বা ইউপিআইয়ের ব্যবহার বাড়ায় নগদ টাকার চাহিদা কমে গিয়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার কর্মীদের তৈরি এই রিপোর্ট বলছে, ইউপিআই আজকের দিনে সরাসরি নগদ অর্থের বিকল্প হয়ে উঠেছে।
২০১৬ সালে চালু হওয়া ইউপিআই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিরাট এক পেমেন্ট সিস্টেমে পরিণত হয়েছে। ভারত ছাড়াও ফ্রান্স, সৌদি আরব বা কাতারের মতো দেশগুলো এখন ইউপিআই ব্যবহার করে। মাত্র আট বছরে ব্যবহারকারী ৩ কোটি থেকে বেড়ে হয়েছে ৪২ কোটিতে। মাসিক লেনদেনের সংখ্যা ছাড়িয়ে গিয়েছে ১ হাজার ৭০০ কোটি ছাড়িয়ে গিয়েছে। এই সংখ্যাটা দেশে মোট ডিজিটাল লেনদেনের ৮৪ শতাংশ। শুধু অগস্ট ২০২৫ মাসেই ইউপিআইয়ের মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে প্রায় ২৪ লক্ষ ৮৫ হাজার কোটি টাকা।
কিন্তু একটা অন্য বিপরীত ছবিও দেখা যাচ্ছে। ইউপিআইয়ের এই দাপট সত্ত্বেও কারেন্সি ইন সার্কুলেশন বা বাজারে নগদ টাকার জোগান, তা কিছুটা ধীর গতিতে হলেও বাড়ছে। তবে স্বস্তির বিষয় এটাই যে জিডিপির অনুপাতে বাজারে নগদের পরিমাণ কমেছে। এটাও বাজারের পরিকাঠামোগত পরিবর্তনের ইঙ্গিত।
তবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, তাদের রিপোর্টে একটি বড় সতর্কবার্তা রয়েছে। ডিজিটাল বিপ্লব সত্ত্বেও একটি গভীর আয় বৈষম্য বিদ্যমান। উপার্জনের তালিকায় উপরের দিকে থাকা অর্থাৎ ধনী ২০ শতাংশ দেশের উপার্জনের তালিকায় নীচের দিকে থাকা ৪০ শতাংশ মানুষের তুলনায় দ্বিগুণ বেশি ডিজিটাল পেমেন্ট করে থাকে। যদিও দেশের ৫০ শতাংশের কাছাকাছি মানুষই এখন ইউপিআই ব্যবহার করেন। তবুও উপার্জন ও শিক্ষিতের এই ব্যবধান খুব তাড়াতাড়ি মেটানো প্রয়োজন। কারণ, রিপোর্ট বলছে, নগদ টাকার চাহিদা কমলেও ডিজিটাল ব্যবস্থার সুবিধা এখনও দেশের সব মানুষের কাছে পৌঁছায়নি।
