Pilot Jobs in India: পাইলট হতে চান ? কী ভাবে করবেন স্বপ্ন পূরণ?

Pilot Jobs in India: বিমান দেখলেই মন উড়ুউড়ু, স্বপ্ন দেখেন আকাশ ছোঁয়ার? আপনিও হতে পারেন পাইলট। জেনে নিন কীভাবে করবেন স্বপ্ন পূরণ।

Pilot Jobs in India: পাইলট হতে চান ? কী ভাবে করবেন স্বপ্ন পূরণ?
ছবি - কীভাবে করতে পারেন পাইলট হওয়ার স্বপ্ন?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 19, 2022 | 8:15 AM

কলকাতা: ছোট থেকেই আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখেন অনেকে। স্বপ্ন দেখেন স্বপ্নিল উড়ানের। উড়োজাহাজ দেখলেই হাত দুটোকে ডানার মতো ছড়িয়ে দৌড়ে বেড়ায়নি, এমন মানুষ দুর্লভ। যদিও পাইলট (Pilot) হওয়ার স্বপ্ন দেখলেও সে পথ যে খুব একটা সোজা নয়, তা জানেন প্রত্যেকেই। সহজ ভাষায়, ভারতে পাইলট হওয়ার ক্ষেত্রে দু’টি পথ অবলম্বন করা যায়। চাইলে যোগ দেওয়া যেতে পারে বাণিজ্যিক বিমান পরিষেবায়, অন্যদিকে বেছে নেওয়া যেতে পারে বায়ুসেনার কাজও। এই দু’ধরনের পাইলট মূলত দেখা যায় আমাদের দেশে। যাত্রী হোক বা মালপত্র, নাগরিকদের রোজনামচায় যে পাইলটদের সঙ্গে আমাদের দেখা হয়ে থাকে, তাঁরাই কমার্শিয়াল পাইলট। ভারতীয় বায়ুসেনার বিমানচালকরাই আদতে এয়ারফোর্স পাইলট।

ভারতে কমার্শিয়াল পাইলট হতে গেলে বেশ কয়েকটি বিষয় প্রথমেই মাথায় রাখা আবশ্যক। প্রথমত, ভারতীয় নাগরিক হতে হবে আপনাকে। ভারতে ১৬ বছর বয়স থেকেই বিমান চালনার ট্রেনিং শুরু হয়। চাকরির ক্ষেত্রে বয়স ১৮-৩২ হওয়া বাধ্যতামূলক। শিক্ষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রে পদার্থবিদ্যা, রসায়ন এবং গণিত নিয়ে ন্যূনতম ৫০% নম্বর নিয়ে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করতে হবে আবেদনকারীকে। 

তবে কি শুধুমাত্র বিজ্ঞান শাখার পড়ুয়ারাই বিমানচালক হতে পারবেন? নিরাশ হওয়ার কোনও কারণ নেই। কলা এবং বাণিজ্য বিভাগে পড়াশোনা করেও বিমানচালক হতে পারবেন আপনি। সেক্ষেত্রে মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিদ্যা এবং গণিত নিয়ে পড়াশোনা করতে হবে আবেদনকারীকে। ইংরেজি বিষয়েও দরকার ৫০% নম্বর। পাইলট হওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হল দৃষ্টিশক্তি। যদিও লেন্স বা চশমা ব্যবহারকারীরাও আবেদন করতে পারেন। কমার্শিয়াল পাইলট হতে গেলে পার করতে হবে বেশ কয়েকটি পরীক্ষার বেড়াজাল। প্রথমেই হবে লিখিত পরীক্ষা, এরপর হবে ইন্টারভিউ। মৌখিক ইন্টারভিউয়ে পাশ করলে হবে শারীরিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা। তিনটি পরীক্ষায় পাশ করলে তবেই ভর্তি হতে পারবেন ‘ফ্লাইং’ স্কুলে। এ ধরনের স্কুলে সাধারণত দেড় থেকে দু’বছরের কোর্স হয়। কোর্স চলাকালীন পড়ুয়াদের বিমান সংক্রান্ত সকল বিষয় হাতে কলমে শেখানো হয়।

ফ্লাইং স্কুলে ভর্তির পরপরই পড়ুয়া হাতে পাবেন এসপিএল অর্থাৎ স্টুডেন্ট পাইলট লাইসেন্স। ট্রেনিংয়ের ক্ষেত্রে ৬০ ঘণ্টা অতিক্রান্ত হলেই পড়ুয়া পাবেন পিপিএল অর্থাৎ প্রাইভেট পাইলট লাইসেন্স। দ্বিতীয় লাইসেন্স নিয়ে ২১০ ঘণ্টার ট্রেনিং শেষ করলে পড়ুয়া পাবেন সিপিএল অর্থাৎ কমার্শিয়াল পাইলট লাইসেন্স। চাকরি জীবনের শুরুতেই একজন কমার্শিয়াল পাইলট প্রতি মাসে ৫০,০০০ থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত রোজগার করতে পারেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অভিজ্ঞতা বাড়তে থাকলে প্রতি মাসে ৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত রোজগার করতে পারেন একজন কমার্শিয়াল পাইলট। যদিও পাইলট হওয়ার লক্ষ্যে এগোতে গেলে প্রথমেই মাথায় রাখতে হবে বিশাল খরচের কথা। সর্বনিম্ন ২৫ লক্ষ থেকে সর্বাধিক ৬০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে একজন পড়ুয়ার।

একজন সফল পাইলট হওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল উপস্থিত বুদ্ধি। বিমানে থাকা যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলার জন্য ইংরেজি সহ অন্যান্য ভাষার সম্পর্কে জ্ঞান থাকাটাও আবশ্যক। বিমান চালনার ক্ষেত্রে এটা মনে রাখা উচিত যে, মাঝ আকাশে প্রায় শতাধিক যাত্রীর প্রাণ নির্ভর করে একজন বিমনাচালকের হাতে। অতএব, পাইলট লাইসেন্স দেওয়ার আগে প্রত্যেকটি খুঁটিনাটি বিষয় যাচাই করে নেয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।