Assembly Elections 2022: ভোটমুখী পাঁচ রাজ্যে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত নিষিদ্ধ সভা-সমাবেশ

Election Commission of India: করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার কারণে পাঁচ রাজ্যে নির্বাচনের আগে যাবতীয় খোলা ময়দানে সভা, সমাবেশের উপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। এবার তা আরও এক সপ্তাহ বাড়ানো হল। 

Assembly Elections 2022: ভোটমুখী পাঁচ রাজ্যে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত নিষিদ্ধ সভা-সমাবেশ
মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র। ছবি:ANI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 15, 2022 | 6:31 PM

নয়া দিল্লি: উত্তর প্রদেশ সহ পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের (5 States Assembly Election) দিনক্ষণ আগেই ঘোষণা করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে ভোটগ্রহণ পর্ব। তবে করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ১৫ জানুয়ারি অর্থাৎ শুক্রবার পর্যন্ত সশরীরে উপস্থিত থেকে যাবতীয় সভা – সমাবেশ, মিছিল, রোড শো বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিল কমিশন। এবার সেই নিষেধাজ্ঞা আরও সাত দিন বাড়িয়ে দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত নিষিদ্ধ করা হয়েছে সভা সমাবেশ। শনিবার সকালে এই বিষয় নিয়ে আলোচনায় বসেছিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র (CEC Sushil Chandra)।  উল্লেখ্য, করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার কারণে পাঁচ রাজ্যে নির্বাচনের আগে যাবতীয় খোলা ময়দানে সভা, সমাবেশের উপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। এবার তা আরও এক সপ্তাহ বাড়ানো হল।

শনিবার দফায় দফায় বৈঠকে নির্বাচন কমিশন

৮ জানুয়ারি ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশের সময় জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে বলা হয়েছিল, ১৫ জানুয়ারি অর্থাৎ, আজ পর্যন্ত সভা, সমাবেশ, রোড শো এবং অন্যান্য রাজনৈতিক কর্মসূচি নিষিদ্ধ করার কথা বলেছিল। বলা হয়েছিল, এই সাময়িক নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে জানানো হবে। সেই মতো শনিবার সকাল ১১ টা থেকে জাতীয় নির্বাচন কমিশন একের পর এক বৈঠকে বসেছে। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে সকালের বৈঠকের পর, ভোটমুখী পাঁচ রাজ্যের মুখ্য সচিব ও স্বাস্থ্য সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে বসা হয় এবং প্রধান নির্বাচন আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করা হয় দুপুর ১ টায়।

উত্তর প্রদেশে করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক

উত্তর প্রদেশ, পঞ্জাব, গোয়া, উত্তরাখণ্ড এবং মণিপুরে যতটা সম্ভব করোনা বিধি মেনে, সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পর্বের আয়োজন করার জন্য কড়া সিদ্ধান্তের পথে হেঁটেছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। গোটা দেশের মতো ভোটমুখী পাঁচ রাজ্যেও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ভয়ঙ্কর বৃদ্ধি দেখা গিয়েছে। উল্লেখ্য, উত্তর প্রদেশে নতুন বছর শুরু হওয়ার পর জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে কোভিড সংক্রমিতের সংখ্যা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, প্রায় ১৩০০ শতাংশ বেড়েছে উত্তর প্রদেশের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এদিকে পঞ্জাবের ২২ টি জেলার মধ্যে ১৬ টিতে পজিটিভিটি রেট পাঁচ শতাংশেরও বেশি, যা যথেষ্টই উদ্বেগজনক বলে মনে করা হচ্ছে।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং বুদ্ধিজাবীদের একাংশ, এই পরিস্থিতিতে এলাহাবাদ হাইকোর্টে ভোট পিছানোর আবেদন করেছিলেন। সেই মতো হাইকোর্টের তরফে নির্বাচন কমিশনকে ভোট পিছানোর বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য বলা হয়েছিল। কিন্তু কমিশন হাইকোর্টের সেই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার অনুরোধের সঙ্গে একমত ছিল না। কমিশনের বক্তব্য ছিল, নির্বাচন সংবিধানে উল্লেখিত একটি বিষয় এবং এটি “সময়মতো” হওয়া দরকার।

আরও পড়ুন : Alwar Rape case: আলওয়ারের নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে কথা প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর, দিলেন পাশে থাকার বার্তা