‘কুম্ভে যে কেউ সন্ন্যাসী!’ মমতাকে নিয়ে বিস্ফোরক রামদেব
গেরুয়া বসন পরে কুম্ভস্নানের মধ্যে দিয়ে অতীত ধুয়ে ফেলার চেষ্টা করলেন মমতা। মমতার এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে একাংশ খুশি হলেও, সমালোচনাও হচ্ছে প্রচুর।
অক্ষয়, সলমন, সানি বা আমিরের বাহুলগ্না হয়ে নয়ের দশকে বলিউডের পর্দায় ঝড় তুলেছিলেন বম্বশেল মমতা কুলকার্নি। সেই সময় প্রত্যেক পুরুষের স্বপ্নে মমতারই আনাগোনা। কিন্তু হঠাৎই পর্দা থেকে যেমন গায়েব হলেন অভিনেত্রী, তেমনি বাস্তবেই দেশ ছেড়ে উড়ে গেলেন মার্কিন মুলুকে। তবে আজও যদি বলিউডের একডজন হট নায়িকার তালিকা তৈরি করা হয়, তাহলে মমতার নাম যে একেবারে উপরের দিকে থাকবে, তা বলাই বাহুল্য। সেই মমতাই এবার কুম্ভমেলায় এসে সন্ন্যাস নিলেন। গেরুয়া বসন পরে কুম্ভস্নানের মধ্যে দিয়ে অতীত ধুয়ে ফেলার চেষ্টা করলেন মমতা। মমতার এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে একাংশ খুশি হলেও, সমালোচনাও হচ্ছে প্রচুর। যেমন এবার মমতার সন্ন্যাস নেওয়ার ঘটনায় মুখ খুললেন রামদেব। সম্প্রতি এবারের কুম্ভমেলা নিয়ে মন্তব্য করার সময়, মমতার পরিবর্তিত নাম নিয়ে স্পষ্টই বললেন, কুম্ভমেলায় এসে সবাই সন্ন্যাসী!
বলিউডের এক সময়ের হট নায়িকার মহাকুম্ভে এসে সন্ন্যাস নেওয়ায় মমতা কুলকার্নির উপর ক্ষেপেছে মহাকুম্ভে অংশ নেওয়া বেশ কিছু সাধু-সন্ন্যাসী। এমনকী, এই ধরনের আচরণকে অনেকেই ভণ্ডামি বা সহজে জনপ্রিয় হওয়ার কায়দাও বলছেন। রামদেবের কথায়, ” ইচ্ছে হল আর সন্ন্যাসী হয়ে গেলাম, এতটাও সহজ নয়। একদিনে কখনই সন্ন্যাস নেওয়া যায় না। সাধু হওয়াটা একটা দীর্ঘ প্রক্রিয়া। তা অর্জন করতে পঞ্চাশ বছর কেটে যায়। আজকাল দেখতে পারছি, কুম্ভে এসে যে কেউ সন্ন্যাসী হয়ে যাচ্ছেন। মহামণ্ডলেশ্বর হওয়া সহজ কাজ নয়। এমনটা একেবারেই হওয়া উচিত নয়।”
এখানেই শেষ করেননি রামদেব। তাঁর কথায়, ” এবার কুম্ভমেলায় সবাই রিলস বানাতেই ব্যস্ত। ইচ্ছে হচ্ছে আর সাধ্বী হচ্ছেন বা বাবা হচ্ছেন। কুম্ভের উদ্দেশ্য তো তা নয়। কুম্ভ মানে ব্রহ্মজ্ঞানের খোঁজ। ”
মমতা কুলকার্ণি নিজে জানিয়েছেন, “২০০০ সাল থেকে আমি তপস্যা শুরু করেছি। আজ আমার ২৩ বছর পূর্ণ হল। ধ্যান ও তপস্যার মাধ্যমে আমি অনেক কিছু অর্জন করেছি, বহু প্রশ্নের উত্তর পেয়েছি।” তিনি আরও বলেন, “অনেকে হয়তো হতাশ, কারণ তারা আশা করেছিলেন আমি বলিউডে ফিরে আসব। কিন্তু মহাকাল ও মহাকালীর ইচ্ছার বাইরে কিছু হয় না, তাঁদের আদেশেই আমি এই নতুন পথ বেছে নিয়েছি।”