Squid Game: Dalgona Candy: স্কুইড গেমের যে খেলায় হারলেই মৃত্যু, সেই খেলায় ব্যবহৃত ক্যান্ডির সম্বন্ধে কিছু তথ্য…
ডালগোনা ক্যান্ডি একসময় দক্ষিণ কোরিয়ায় একটি বিশাল পরিচিত চকোলেট ছিল। বিক্রেতারা শিশুদের এই ক্যান্ডির লোভ দেখানোর জন্য স্কুলের ঠিক বাইরে তাদের গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখত।
ডালগোনা কফি কোভিড প্যান্ডেমিকের শুরুর দিকে অর্থাৎ ২০২০ সালে একটি ইন্টারনেট সেনসেশন হয়ে উঠেছিল। লোকেরা, তাদের বাড়িতে আবদ্ধ থাকাকালীন সোশ্যাল মিডিয়ায় মারাত্মক রকমের সক্রিয় ছিলেন। কেউ ছবি এঁকেছেন তো কেউ গান গেয়েছেন। এরকমই কেউ কেউ বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরি করেছিলেন। এমনই একটি খাবার ছিল এই ডালগোনা কফি।
গত মাসে নেটফ্লিক্সে মুক্তি পাওয়া শো ‘স্কুইড গেমস’ আবার সেই ডালগোনা শব্দতে প্রাণ ফিরিয়ে আনল। এই শোয়ের এক পর্বে দেখানো ডালগোনা ক্যান্ডিগুলি দেখানো হয়। মনে করা হচ্ছে এই ক্যান্ডিগুলি ২০২১-এ আবার একটা নতুন ট্রেন্ড আনতে চলেছে। এই সিরিজ মূলত গলা পর্যন্ত ধারের বোঝায় থাকা মানুষদের গল্প। তাঁদের সবাইকে শিশুদের খেলার মধ্যে দিয়ে একটা বিশাল অঙ্কের টাকা দেওয়া হবে। খেলায় এলিমিনেট হওয়া মানেই মৃত্যু।
দক্ষিণ কোরিয়ার শো স্কুইড গেমসের তৃতীয় পর্বে প্রতিযোগীদের একটি সূঁচ ব্যবহার করে এই ক্যান্ডির মধ্যে থেকে একটা প্যাটার্ন কেটে বের করতে বলা হয়। এই চকোলেটটি অত্যন্ত ভঙ্গুর চিনির ডেলা থেকে তৈরি মিশ্রণের। যে মিশ্রণটি দিয়ে চিনির এই ক্যান্ডি তৈরি করা হয় তাকে ডালগোনা বলে। সিরিজের মতোই ডালগোনা ক্যান্ডির ক্রেজও বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। লোকেরা ডালগোনা ক্যান্ডি তৈরির জন্য তাদের নিজস্ব প্রচেষ্টা পোস্ট করা শুরু করে দিয়েছে।
ডালগোনা ক্যান্ডি একসময় দক্ষিণ কোরিয়ায় একটি বিশাল পরিচিত চকোলেট ছিল। বিক্রেতারা শিশুদের এই ক্যান্ডির লোভ দেখানোর জন্য স্কুলের ঠিক বাইরে তাদের গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখত। যদি কোনও ব্যক্তি সফলভাবে ক্যান্ডির মধ্যেকার আকৃতি কেটে বার করতে পারতো তাহলে বিক্রেতারা তাকে একটা অতিরিক্ত ক্যান্ডি অফার করতেন। কোরিয়ায় এই গেমটির নাম পগগপি। বিনামূল্যে আরেকটি ক্যান্ডি পাওয়ার আশায় কিছু শিশু এর প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে। পরবর্তীকালে, শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের কোথা ভেবেই এই চকোলেটের বিক্রি কমিয়ে দেওয়া হয়।
নিউইয়র্ক টাইমস-এর প্রতিবেদনে ৫৫ বছর বয়সী কোরিয়ান ফুড ব্লগার জিনজু লি বলেন, “এর মধ্যে একটা অদ্ভুত ধরনের আসক্তি রয়েছে। অনেকটা ‘স্কুইড গেমস’-এর মতো ঠিকই কিন্তু মৃত্যুর ভয় নেই এখানে।” শিশু সুলভ মনে হলেও, এই খেলার মধ্যে এমন একটা থ্রিল আছে যা অনেক বয়স্ক মানুষকেও এই খেলার প্রতি উৎসাহী করে তুলতে পারে।
আরও পড়ুন: Raghab Chatterjee: রাঘবের গাওয়া গানে রাহুল দেব বর্মনের স্বাদ, পুজোতে যেন এক বিশেষ উপহার