মাঝরাতে পার্ক স্ট্রিটের পাবে দুর্নিবারের বাংলা গান, সৃজিত-সৌরসেনীর নাচ
দুর্নিবারের গলায় 'জলফড়িং' পাবের পরিবেশ বদলে দিল। উপস্থিত সকলের শরীরেই তখন নাচের ভঙ্গিমা। টলিপাড়ার নায়িকা বিবৃতি চট্টোপাধ্যায় বা সৌরসেনী মৈত্র উপস্থিত হয়েছিলেন গান শুনে কানে আরাম খোঁজার লক্ষ্যে। সৃজিতের 'হেমলক সোসাইটি' ছবির গান 'জলফড়িং'-এ নাচলেন সৃজিত-সৌরসেনী।

পার্ক স্ট্রিটের পাবে ইংরেজি গান হবে, সেই দৃশ্যের সঙ্গে আমরা পরিচিত। মাঝেমধ্যে অবশ্য সেখানে বাংলা গান হয়। অঞ্জন দত্ত-র বাংলা গান শুনতেই সেখানে পৌঁছে যান সঙ্গীপ্রেমীরা। এই বছর পয়লা বৈশাখের মরসুমে গায়ক দুর্নিবার সাহা একের পর এক বাংলা গান করলেন এই বিখ্যাত পাবে। ‘ধন ধান্য পুষ্প ভরা’ গান দিয়ে এদিনের অনুষ্ঠান শুরু করলেন দুর্নিবার। কখনও গাইলেন, ‘জীবনে কী পাবো না’, ‘দুরন্ত ঘূর্নির এই লেগেছে পাক’। আবার ‘ভিনেদশী তারা’ থেকে ‘বেলা বোস’, গেয়ে হাততালির ঝড় তুললেন গায়ক। এদিন উপস্থিত ছিলেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়। সদ্য মুক্তি পাওয়া ‘কিলবিল সোসাইটি’ ছবিতে দুর্নিবার ‘সাতজন্মের পরিচয়’ গানটি গেয়েছেন। তাই পরিচালকের উপস্থিতিতে সেই গান গাইলেন তিনি। এরপর দুর্নিবারের গলায় ‘জলফড়িং’ পাবের পরিবেশ বদলে দিল। উপস্থিত সকলের শরীরেই তখন নাচের ভঙ্গিমা। টলিপাড়ার নায়িকা বিবৃতি চট্টোপাধ্যায় বা সৌরসেনী মৈত্র উপস্থিত হয়েছিলেন গান শুনে কানে আরাম খোঁজার লক্ষ্যে। সৃজিতের ‘হেমলক সোসাইটি’ ছবির গান ‘জলফড়িং’-এ নাচলেন সৃজিত-সৌরসেনী। ‘অটোগ্রাফ’ ছবির গান গাইতেও ভুললেন না দুর্নিবার। মঞ্চে উঠে সৃজিত বললেন, ”এই পাবে দাঁড়িয়ে দুর্নিবার যে বাংলা গান গাইছেন, তার জন্য ওঁর কাছে ঋণী হয়ে থাকলাম।” সাহেব পাড়ার এই পাবে মাঝরাতে বাংলা গান শুনতে বেশ ভিড় জমেছিল। অনেকে মনে করেন, শহরের এমন পাবে ইংরেজি গান ছাড়া শ্রোতারা শুনতে চান না। কিন্তু বাংলা গানের উপর এই শহরের শ্রোতাদের ভালোবাসা যে উপচে পড়ে, তার প্রমাণ মাঝরাতের এই মজলিস।





