হৃত্বিক-কঙ্গনা ইমেল তরজায় অভিনেতাকে সমন মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চের
ঘটনার সূত্রপাত ২০১৬ সালে। এক মেল আইডি থেকে হৃত্বিক কঙ্গনাকে নিয়মিত প্রেমের ইমেল করতেন বলে দাবি করেন কঙ্গনা রানাউত। যদিও হৃত্বিকের তরফে জানান হয় সেটি ভুয়ো মেল অ্যাকাউন্ট।
কঙ্গনা রানাওয়াত এবং হৃত্বিক রোশনের পুরনো ইমেল তরজায় এ বার হৃত্বিককে সমন পাঠাল মুম্বইয়ের অপরাধ দমন শাখার ক্রাইম ইন্টেলিজেন্স ইউনিট। ২৭ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ আগামীকাল ক্রাইম ব্রাঞ্চের দফতরে বেলা ১১টার মধ্যে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে অভিনেতাকে। ২০১৬ সালে ভুয়ো মেল বিতর্কে হৃত্বিকের দায়ের করা মামলা নিয়েই বয়ান রেকর্ড করা হবে অভিনেতার।
ঘটনার সূত্রপাত ২০১৬ সালে। এক মেলআইডি থেকে হৃত্বিক কঙ্গনাকে নিয়মিত প্রেমের ইমেল করতেন বলে দাবি করেন কঙ্গনা রানাউত। যদিও হৃত্বিকের তরফে জানান হয় সেটি ভুয়ো মেল অ্যাকাউন্ট। হৃত্বিকের নাম-পরিচিত ব্যবহার করে কোনও অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি এমনটা করছেন। হৃত্বিকের আইনজীবী পাল্টা দাবি করেন, ২০১৩ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে কঙ্গনার ই-মেল অ্যাকাউন্ট থেকে তাঁর মক্কেলের কাছে প্রায় দেড় হাজারের মতো ইমেল এসেছে। তা অস্বীকার করে কঙ্গনার পাল্টা অভিযোগ ছিল, যে ‘ভুয়ো অ্যাকাউন্ট’-এর কথা হৃত্বিক বলছেন, তা তিনি নিজেই কঙ্গনাকে দিয়েছিলেন। ২০১৩-১৪ জুড়ে সময়টায় কঙ্গনার সঙ্গে ওই মেল মারফৎই নিয়মিত কথা হত হৃত্বিকের, দাবি করেন অভিনেত্রী।
View this post on Instagram
এর পরেই এক সাক্ষাৎকারে হৃত্বিককে ‘সিলি এক্স’ বলে উল্লেখ করলে কঙ্গনাকে আইনি নোটিস পাঠান হৃত্বিক। তাঁর মক্কেলকে মানহানি করা হয়েছে বলেও দাবি করেন হৃত্বিকের আইনজীবী। মামলা দায়ের করা হয় ওই ভুয়ো অ্যাকাউন্টের ‘অজ্ঞাতপরিচয় মালিক’-এর বিরুদ্ধে। কঙ্গনা এবং হৃত্বিকের আলাপ ২০১০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘কাইটস’ থেকে। ২০১৩ সালে একসঙ্গে ক্রিশ ৩-তে অভিনয়ের পরেই কঙ্গনা এবং হৃত্বিকের সম্পর্ক নিয়ে জলঘোলা শুরু হয়। যা গড়ায় আইন আদালত পর্যন্তও।
প্রসঙ্গত, ই-মেল মামলায় এর আগে হৃত্বিক অভিযোগ জানিয়েছিলেন সাইবার সেলে। কিন্তু গত বছর ডিসেম্বরে হৃত্বিকের আইনজীবীর অনুোরধে ক্রাইম ব্রাঞ্চ তদন্তভার হাত তুলে নেয়। এ বার সেই ব্যাপারেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হল অভিনেতাকে।