AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘নীল চুল দেখে আর ব্রিটিশ উচ্চারণ শুনে শুটিংয়ে হোটেল থেকে খাবার দেয়নি’

রুমানা মোল্লা। জন্ম আমেরিকায়। কিন্তু বলিউডে গত সাত-আট বছর ধরে অভিনয় করছেন। তাঁর পরবর্তী ছবি ‘বাওরি ছোড়ি’ মুক্তি পাচ্ছে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি।

‘নীল চুল দেখে আর ব্রিটিশ উচ্চারণ শুনে শুটিংয়ে হোটেল থেকে খাবার দেয়নি’
রুমানা মোল্লা।
| Updated on: Feb 11, 2021 | 3:19 PM
Share

রুমানা মোল্লা (Rumana Molla)। জন্ম আমেরিকায়। কিন্তু বলিউডে গত সাত-আট বছর ধরে অভিনয় করছেন। তাঁর পরবর্তী ছবি ‘বাওরি ছোড়ি’ মুক্তি পাচ্ছে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। ছবি মুক্তির আগে নেপোটিজ়ম, কাস্টিং কাউচ, বলিউডের জার্নি (bollywood), বয়ফ্রেন্ডের মতো একাধিক অন্তরঙ্গ বিষয় নিয়ে TV9 বাংলার সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে ধরা দিলেন রুমানা।

কত বছর হল বলিউডের কেরিয়ার?
সাত আট বছর হয়ে গেল। আমার ডেবিউ ফিল্ম ‘প্যায়ার কা পঞ্চনামা টু’। তারপর আরও কিছু কাজ করেছি। ওয়েবের কাজ করেছি অনেক।

আপনি কি মুম্বইয়েরই বাসিন্দা?
আমার জন্ম আমেরিকায়। ছোটবেলা কেটেছে বেলজিয়ামে। ওখানে গ্র্যাজুয়েশন করেছি মাস কমিউনিকেশন নিয়ে। আমি মায়ের কাছে থেকে বড় হয়েছি। ফলে পরিবার বলতে আমি আর আমার মা। এখন মুম্বইতে থাকি।

Actress-Rumana

রুমানা আদতে যেমন…।

বলিউডে কেরিয়ার তৈরি করার স্বপ্ন ছিল ছোট থেকেই?

ছোটবেলায় নাচতে ভালবাসতাম। অভিনয় নিয়ে তখন আলাদা করে ভাবিনি। আর আমার পরিবারের কেউই অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত নন। ফলে আলাদা করে কোনও অভিজ্ঞতা ছিল না। নিজেকে প্রেজ়েন্ট করতে ভাল লাগত। সেভাবেই অভিনয়ের শুরু।

আপনার হিন্দি উচ্চারণ শুনে কিন্তু মনে হচ্ছে না, আপনি এত বছর বাইরে থেকেছেন…

আসলে ভাষার প্রতি আমার আগ্রহ বরাবরের। মা ভাবত, বড় হয়ে ভাষা নিয়েই কাজ করব। হয়তো অনুবাদক হব। তারপর তো অন্য ভাবে কেরিয়ার তৈরি করলাম।

আরও পড়ুন, মেয়ের নামকরণ করেছিলাম ‘শাহিদা নীরা’… তাহলে তো ভয় পেয়ে ওর নাম পাল্টে দেওয়া উচিত ছিল: সুদীপ্তা চক্রবর্তী

যেহেতু পরিবারের কেউ কোনওদিন অভিনয় করেননি, আপনার মায়ের কোনও আপত্তি ছিল না?

প্রথম দিকে মা আপত্তি করেছিল। আসলে ভরসা পেত না। ভাবত, এই পেশা খুব অনিশ্চিত। ঠিকই ভাবত। পরে ধীরে-ধীরে আমি বোঝাতে পেরেছি। মায়েরও মনে হয়েছে, যেটা আমার ভাল লাগে সেটাই করা উচিত। মা খুবই সাপোর্ট করে এখন।

আপনার নতুন ছবি ‘বাওরি ছোড়ি’ মুক্তি পাচ্ছে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি…

হ্যাঁ, এই ছবিতে আমার চরিত্রের নাম আনা। গল্পের কেন্দ্রে রয়েছে অহনা কুমারার চরিত্র। ওর বয়ফ্রেন্ডকে নিয়ে একটা ঘটনার পরে ও লন্ডনে আসে। সেখানে আমার চরিত্রের সঙ্গে ওর দেখা হয়। গল্পটা এর থেকে বেশি এখনই কিছু বলতে চাইছি না। তবে আমার চরিত্রের মেক-আপ, গেট-আপ যা হয়েছে, তাতেই অর্ধেক কাজ হয়ে গিয়েছিল।

কেন এটা বলছেন?

আমার এখানে নীল চুল। বিদেশে জন্ম এবং বড় হওয়া একটি মেয়ে। আমি আলাদা করে ব্রিটিশ উচ্চারণ শিখেছি। আমি ওই গেট-আপেই ঘুরতাম শুটিংয়ে। ওভাবেই কথা বলতাম। হোটেলেও ওভাবে থাকতাম। অনেকেই ভাবত, বাইরে থেকে এসেছি। ফলে আমাদের টিমের সকলের খাবারের প্যাকেট এলেও কখনও আমার আসত না। কারণ হোটেলের কর্মচারীরা ভাবেননি আমি শুটিং করছি। ভেবেছেন আমি আলাদা এসেছি (হাসি)। ফলে আমার খাবার ওদের সঙ্গে পাঠাননি। হা হা হা…। এরকম হওয়ার পরে আমি বুঝতে পারলাম, তাহলে চরিত্র অনুযায়ী সাজ ঠিক আছে। আশা করছি দর্শকেরও ভাল লাগবে।

বেশ কয়েক বছর হল ইন্ডাস্ট্রিতে। বলিউডের নেপোটিজ়ম নিয়ে বাইরে অনেক মন্তব্য শোনা যায়। আপনার পরিবারের কারও ফিল্মি কেরিয়ার নেই। ফলে কোনও তারকা সন্তানের কারণে প্রজেক্ট থেকে বাদ পড়েছেন, এমন ঘটনা ঘটেছে?

হ্যাঁ, নিশ্চয়ই ঘটেছে। আমি নাম বলব না। তবে বহু ছবিতে চরিত্রের অডিশন হয় না। আগে থেকেই ঠিক করা থাকে, কে করবেন। আমার মনে হয়, নেপোটিজ়ম সকলকেই ফেস করতে হয়। সব ইন্ডাস্ট্রিতেই রয়েছে। ফলে এটা নিয়ে কান্নাকাটি করে লাভ নেই। এটার মধ্যেই নিজের কাজ করতে হবে।

আরও পড়ুন, মা বলে, শ্যামাকে কষ্ট দিচ্ছিস, ঈশ্বর তোকে ক্ষমা করবে না: শ্রীময়ী চট্টরাজ

কাস্টিং কাউচ নিয়ে বলিউডে বহু খবর হয়। অনেক সেলেব নিজের অভিজ্ঞাতার কথা শেয়ার করেন। কখনও বা ‘মিটু’ ট্রেন্ডিং টপিক হয়েছে। আপনি এ বিষয়ে কী বলবেন, কখনও কুপ্রস্তাব সামলাতে হয়েছে?

অফকোর্স। তবে সরাসরি কেউ বলেননি। এরা আসলে খুব ভীতু হয়। ফলে হোয়াটস্অ্যাপ করে। আর আমি সেটা দেখলেই ব্লক করে দিই। ব্যাস, মিটে গেল। একবারই সরাসরি এমন পরিস্থিতি ফেস করেছিলাম। আমি উঠে বেরিয়ে গিয়েছিলাম।

Rumana-Molla

আমার পরিবারের কেউই অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত নন, বললেন অভিনেত্রী।

ভ্যালেন্টাইনস ডে-র দিন ছবি মুক্তি পাচ্ছে, আপনার রিয়েল লাইফ ভ্যালেন্টাইন কে?

(হাসি) অনেক দিন পরে মুম্বই ফিরেছি। এতদিন মোরাদাবাদে একটা শুটের কাজে ছিলাম। আশা করছি ভ্যালেন্টাইনস ডে-র দিন ‘ওর’ সঙ্গে দেখা হবে।

এই ‘ও’ কে?

হা হা হা…। ভাবছিলাম নাম বলব না, দেখছি সেটার উপায় নেই। ও মানে গৌরব। আমার বয়ফ্রেন্ড। গৌরবও অভিনেতা। বেশ কিছু কাজ করছে। তবে আমরা একসঙ্গে এখনও কোনও কাজ করিনি।

অল দ্য বেস্ট রোমানা…

অনেক ধন্যবাদ।

আরও পড়ুন, একটানা নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় করে বিরক্ত হয়ে গিয়েছি: মধুরিমা বসাক