Kiran Dutta: ‘আমি একা সৎ হয়ে কী করব?’ মেয়েদের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে চাঁচাছোলা বং গাই
Kiran Dutta: এবার আর চুপ থাকার সময় নয়, আমি একা বদলে কী হবে, এই প্রশ্ন করার দিন গিয়েছে বলেই দাবি করেন কিরণ দত্ত। তিলোত্তমার বিচার চেয়ে পথে নেমেছে গোটা বাংলা, দেশ বিদেশের ছবিটাও এক হয়ে গিয়েছে। কনটেন্ট ক্রিয়েটররাও নেমেছেন পথে। এবার সেই মর্মেই সরব কিরণ।
তিলোত্তমা। গোটা বিশ্বকে যেন এক করে দিয়েছে এই নাম। এই যুগে দাঁড়িয়েও নারী নির্যাতন ঘটছে, মেয়েদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পথে নামতে হচ্ছে! এই প্রশ্নই যেন ঘুম কাড়ছে সকলের। এবার আর চুপ থাকার সময় নয়, আমি একা বদলে কী হবে, এই প্রশ্ন করার দিন গিয়েছে বলেই দাবি করেন কিরণ দত্ত। তিলোত্তমার বিচার চেয়ে পথে নেমেছে গোটা বাংলা, দেশ বিদেশের ছবিটাও এক হয়ে গিয়েছে। কনটেন্ট ক্রিয়েটররাও নেমেছেন পথে। এবার সেই মর্মেই সরব কিরণ।
কী বললেন সোশ্যাল মিডিয়ায়—
‘সাধারণ মানুষ এতদিন ধরে যে প্রশ্নগুলো তুলছে, যে প্রশ্নগুলো করে সুপ্রিমকোর্ট প্রমাণ করল ব্যর্থতা তো আছেই। প্রশ্ন তোলা বন্ধ করা যাবে না। তাই এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় পাওয়ারটা কিন্তু আপনার কাছেই। প্রশ্ন করার। প্রতিবাদের সাথে সাথে আমরা নিজেরা নিজেরা কী কী করতে পারি। কোথাও ক্ষমতার ভুল ব্যবহার হলে, এটা তো আমার সমস্যা না, এটা বলে এড়িয়ে যাবেন না। একজোট হয়ে আওয়াজ তুললেই অযোগ্য লোকেরা দিনের পর দিন ক্ষমতার অপব্যবহার করতে পারবে না। মনে রাখবেন ওরা আমাদের সুরক্ষার জন্য। ভয় দেখানোর জন্য নয়। আপনি কর দেন তাঁর জন্য। নিজে কোনওরকম দুর্নীতির অংশ হওয়া বন্ধ করুন। শুধু গুটিকয়েক লোক দুর্নিতীর অংশ হলেই সমাজটা পচে যায় না। আপনার মতো সবাই ভাবছে আমি একা সৎ হয়ে কী করব। মনে রাখবেন, আপনি খারাপ হলে সেটা ঘুরে আপনার কাছে আসবেই।’
‘রাস্তা-ঘাটে-বাসে-ট্রেনে ওদের কথা শুনে একজোট হয়ে প্রতিবাদ করতে হবে। দেখেও না দেখার ভান করলে, মনে রাখবে অন্য একটা সময়ে, অন্য একটা বাসে, এটা তোমার মা হতেও পারত। একজন করে রেহাই পেয়ে গেলে, সেটা দেখে ওরকম করার আরও দশটা লোক সেদিন জন্মে যায়। একজনের উপর অ্যাকশন নিলে আরও এরকম ১০টা ঘটনা ঘটার আগেই থেমে যায়। সব বাবা-মায়ের কাছে অনুরোধ আপনার ছেলেমেয়ে কারও কাছে যেতে না চাইলে, সেটা এড়িয়ে না গিয়ে সেটা শুনুন। বোঝার চেষ্টা করুন।’
View this post on Instagram
‘পিশাচগুলো কিন্তু আমাদের আশেপাশেই ঘোরে। কোনটা মস্করা আর কোনটা মেয়েদের আইডেন্টিফাই করে নোংরা আক্রমণ করা সেটা বুঝে, অবজেক্টিফাই করার বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলুন। আমিও (বং গাই নিজেকে দেখিয়ে) খারাপ কথা বললে, আমার দিকে আঙুল তুলতে দুবার ভাববেন না। কোনও ইউটিউবার সেটা করলে তাঁকেও বোঝান। মেয়েদের বডি পার্টস নিয়ে ইনসেনসিটিভ কৌতুকটা শুধু কৌতুক নয়। আর সবচেয়ে বড় কথা, ধর্ষণের মানসিকতা অন্য কিছু দিয়ে ঢাকার চেষ্টা করবেন না। ছোট পোশাক, এত রাতে বাইরে কেন, এসব কিছুই আপনাকে ওর সম্পর্কে নোংরা মন্তব্য করার অধিকার দেয়নি। নিজের ক্রিমিনাল মাইন্ড এসব দিয়ে ঢাকবেন না। খালি গায়ে নিপলস চুলকাতে চুলকাতে এসব কথা মানায় না।’