Bangladesh: ‘গুলি খাচ্ছিলাম, তখন তো…’, বাংলাদেশ বন্যা নিয়ে সরব হতেই চঞ্চলকে তুলোধনা
Chanchal Chowdhury: সঙ্গে চঞ্চল চৌধুরী বেশ কিছু হেল্প লাইন নম্বর শেয়ার করলেন। আর এই বার্তা দেখা মাত্রই রে-রে করে উঠল বাংলাদেশের একশ্রেণি। কেউ লিখলেন, 'আপনাকে পাশে দাড়াতে হবে না। আমরাই যথেষ্ট। গুলি খাচ্ছিলাম তখন তো পাশে দাঁড়ানোর কথা মনে ছিল না, এখন আসছে মায়া কান্না দেখাতে।'
বাংলাদেশে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। দুইবাংলার এই জনপ্রিয় নায়ক সচরাচর সামাজিক বিষয় মুখ খুলতে পছন্দ করেন না। তবে দেশের মানুষের বিপদ দেখে মাঠে নামতেই বিপত্তি। কিছুদিন আগেই জ্বলছিল বাংলাদেশ। ছাত্র আন্দোলনের আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল দিকে দিকে, যে আন্দোলন নিয়ে বিন্দু মাত্র কোনও মন্তব্য করতে দেখা যায়নি অভিনেতাকে। তাই বন্যা প্রসঙ্গে মুখ খুলতেই হলেন চরম ট্রোল্ড। সোশ্যাল মিডিয়ায় কটাক্ষে ভরে গেল কমেন্ট বক্স। কী লিখলেন অভিনেতা? সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখলেন, ‘আসুন….আমরা সবাই বানভাসি মানুষের পাশে দাড়াই। সকলে সাবধান থাকুন, আবহাওয়া খুবই খারাপ। জলাবদ্ধতা বেশি হলে আশ্রয়কেন্দ্রে উপস্থিত হোন। বাড়িতে অবস্থান করতে পারলে, প্রয়োজনীয় শুকনো খাবার, জল, স্যালাইন,মোম মজুত রাখুন। পারলে পাশের আশ্রয় কেন্দ্রে ও প্রতিবেশীদের শুকনো খাবার দিয়ে সাহায্য করুন।’
সঙ্গে চঞ্চল চৌধুরী বেশ কিছু হেল্প লাইন নম্বর শেয়ার করলেন। আর এই বার্তা দেখা মাত্রই রে-রে করে উঠল বাংলাদেশের একশ্রেণি। কেউ লিখলেন, ‘আপনাকে পাশে দাড়াতে হবে না। আমরাই যথেষ্ট। গুলি খাচ্ছিলাম তখন তো পাশে দাঁড়ানোর কথা মনে ছিল না, এখন আসছে মায়া কান্না দেখাতে।’ কেউ আবার লিখলেন, ‘জেনারেশন জেড-এর কাছে গাদ্দার হিসেবে পরিচিত হয়ে থাকবে চঞ্চল চৌধুরি।’ কারও কথায়, ‘ছাত্র আন্দোলনে যাঁদের দরকার হয় নাই, আশা করি বন্যাতে ও তাঁদের লাগবে না। লাউড এন্ড ক্লিয়ার।’ কেউ আবার কটাক্ষ করে বললেন, ‘এই সুযোগ মানুষের কাছে ভাল হওয়ার এই সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেন, জীবনে তো অনেক কিছুই দেখাচ্ছেন আশা করি এই সুযোগটা হাতছাড়া করবেন না’।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে উত্তাল পরিস্থিতিতে তিনি একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করেছিলেন, যদিও সেখানে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি এই বিষয় কোনও মন্তব্যই করবেন না। লিখেছিলেন, ‘আমি চঞ্চল চৌধুরী বলছি…….আমার নাম ব্যবহার করে কোন বিদেশী/দেশী পত্রপত্রিকা বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে,সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে যদি কিছু লেখা হয়,তার দায় আমার নয়। কারন এখন পর্যন্ত আমি কোন পত্র পত্রিকা বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোন বিষয়ে কোন বক্তব্য দেইনি। আমি সাধারন একজন শিল্পী। পেশাগত কারন ছাড়া কোন কিছুর সংগে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। আমার মায়ের চরম অসুস্থ্যতাজনিত কারনে সাম্প্রতিক সময়ে আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খুব বেশী সক্রিয় নই। দেশে শান্তি বিরাজ করুক, সকলের মঙ্গল হোক’।