‘হিংস্র, নৃশংস! এলোপাথারি কোপাচ্ছিল সইফকে’ করিনার বয়ান শুনলে আঁতকে উঠবেন
তাঁর চোখে মুখে এখনও আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট। কোনও মতে নিজেকে সামলে অবশেষে কথা বললেন করিনা কাপুর খান। বুধবার মধ্য় রাতে অভিনেতা সইফ আলি খানের উপর আচমকাই আক্রমণ করেন এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি।
তাঁর চোখে মুখে এখনও আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট। কোনও মতে নিজেকে সামলে অবশেষে কথা বললেন করিনা কাপুর খান। বুধবার মধ্য় রাতে অভিনেতা সইফ আলি খানের উপর আচমকাই আক্রমণ করেন এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি। দিদি করিশ্মা, বন্ধু সোনম কাপুর, রিয়া কাপুরের সঙ্গে পার্টি করে এসে নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছিলেন নায়িকা। তার পরেই যে এমন ঘটনা ঘটবে তা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি করিনা। সেই আতঙ্ক এখনও কাটতে চাইছে না নায়িকার। তাই তো ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়েও গলা কেঁপে গেল নায়িকার। নিজেকে কোনও মতে সামলে নিয়ে অভিনেত্রী জানান, বাড়ির মহিলা এবং দুই ছেলেকে বাঁচাতেই ঝাঁপিয়ে পড়েন সইফ। অভিনেত্রীর কথায়, “আক্রমণকারী মারাত্মক হিংস্র। নৃশংস ভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল সইফের উপরে! এলোপাথারি কোপাচ্ছিল।”
করিনা জানিয়েছেন, জেহ তখনও থরথর করে কাঁপছে, কাঁদছে। সন্তানকে বিপদে দেখে কি কোনও বাবা স্থির থাকতে পারে? ছোট ছেলে বাঁচাতে মরিয়া হয়ে ওঠেন নায়ক। ছুরির আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয় সইফের গোটা শরীর। করিনা জানিয়েছেন, নায়কের শরীরে ছয় জায়গায় জখম হয়েছে। রক্তে ভেসে যাচ্ছিল সইফের শরীর। ততক্ষণে সবাই সজাগ হয়ে গিয়েছিল বলেই হয়তো সইফ-করিনার বাড়ি থেকে কিছু খোয়া যায়নি। অভিনেত্রী বলেন, “আক্রমণকারী কিছুই চুরি করতে পারেনি।”
তার পরেই দিদি করিশ্মার বাড়িতে দুই ছেলেকে নিয়ে আশ্রয় নেন করিনা। করিশ্মা কখন বোনের কাছে আসে সে সব বিস্তারিত ভাবে জানা যায়নি। সে সময় গাড়ি না থাকায় স্থানীয় অটোতে করেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় নায়ককে। অনেকটা সিনেমার চিত্রনাট্য। তৈমুরের হাত ধরেই হাসপাতালে যান অভিনেতা। দুদিন কেটে গেলেও আতঙ্কের রেশ এখনও রয়েই গিয়েছে। তবে আগের তুলনায় অনেকটাই সুস্থ সইফ। শুক্রবার অল্প হেঁটেওছেন। শোনা যাচ্ছে, সোমবারই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেতে পারেন সইফ।