RG Kar Case: রুদ্রাক্ষের মালার প্রসঙ্গ আগেই এল না কেন?এখনও ভরা এজলাসে মিথ্যে বলছে সঞ্জয়?
RG Kar Case: উল্লেখ্য, এ দিন নিম্ন আদালত দোষী সাব্যস্ত করেছে এই সিভিক ভলান্টিয়রকে। সোমবার হবে সাজা ঘোষণা। সেই সময় দাঁড়িয়ে বিচারক যখন তাঁকে কী কী শাস্তি হতে পারে? তখন সিভিক আচমকা ফের বলে, "আমায় ফাঁসানো হচ্ছে।
কলকাতা: কখনও বলেছে ‘সরকার ফাঁসিয়েছে’। কখনও বলছে ‘বিনীত গোয়েল ফাঁসিয়েছে’। তিলোত্তমার ঘটনায় বারবার বিস্ফোরক অভিযোগ করতে দেখা গিয়েছে শিয়ালদহ কোর্টে দোষী সাব্যস্ত হওয়া সঞ্জয় রাইকে। শনিবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ রায়দান প্রক্রিয়া শুরু হয়। দোষী সাব্যস্ত করা হয় তাকে। তখনও কি ভরা এজলাসে দাঁড়িয়ে নিজেকে বাঁচাতে মিথ্যা কথা বলল সে? অন্তত তেমনটাই মনে করছে তার আইনজীবীরা।
উল্লেখ্য, এ দিন নিম্ন আদালত দোষী সাব্যস্ত করেছে এই সিভিক ভলান্টিয়রকে। সোমবার হবে সাজা ঘোষণা। সেই সময় দাঁড়িয়ে বিচারক যখন তাঁকে কী কী শাস্তি হতে পারে? তখন সিভিক আচমকা ফের বলে, “আমায় ফাঁসানো হচ্ছে। আমার গলায় রুদ্রাক্ষের গলায় মালা ছিল। সেটা ধস্তাধস্তিতে ছিঁড়তে পারে। সেটা পাওয়া গেল না কেন?” সঞ্জয়ের মুখে এই রুদ্রাক্ষের প্রসঙ্গ উঠতেই ফের তৈরি হয় জল্পনা। প্রশ্ন উঠতে শুরু করে এতদিন কেন সঞ্জয় এই রুদ্রাক্ষের কথা বলল না? রুদ্রাক্ষের মালা কি তবে পরিকল্পিত?
তিলোত্তমার আইনজীবীরা জানিয়েছেন, মোট ১০৪ টি প্রশ্ন করা হয় সঞ্জয়কে। হয় সে কখনও উত্তর দিয়েছে, ‘না’। নয়ত, কিছু প্রশ্ন এরিয়ে গিয়েছে। এই তথ্য তো সে আগেই আইনজীবীদের জানাতে পারত? নিজস্ব অধিকারে সঞ্জয় সেই সময় রুদ্রাক্ষের কথা বলতে পারত। কিন্তু বলেনি। তাহলে আজ এজলাসে কেন এই প্রসঙ্গ তুলল? তবে কি নিজেকে বাঁচাতে ফের মিথ্যা বলছে সঞ্জয়? নাকি এর পিছনে নতুন কোনও তথ্য রয়েছে? তা নিয়েই চলছে আলোচনা।