ধর্ষণের অভিযোগ ‘সংস্কারী’ অভিনেতা অলোকনাথের বিরুদ্ধে; এফআইআর দায়ের থানায়
Aloknath Rape Case: 'হাম আপ কে হ্যায় কউন'-এর মতো ছবিতে 'বাবুজি'র (পড়ুন বাবা) মতো সংস্কারী চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন অলোকনাথ। তিনি ভাল মানুষ, অভিনয় দেখেই অনুমান করে নিয়েছিলেন দর্শক। কিন্তু মুখোশের আড়ালে যে লুকিয়ে আছে 'শয়তান', তা অনেকেই বিশ্বাস করেননি। অনেকেই তাঁকে নির্দোষ ভাবেন। কিংবা ভাবেন তাঁকে মিথ্যাভাবে ফাঁসানো হয়েছে।
যে বার বলিউডের বাঙালি অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্ত মুখ খুলেছিলেন মিটু (কর্মক্ষেত্রে যৌন নির্যাতন) নিয়ে, সে বারই এক বিস্ফোরক ‘সত্যি’ সামনে এসেছিল, যা গোটা বলিউডকে নাড়িয়ে দেয়। এমন এক অভিনেতার মুখোশ খুলেছিল, জনমানসে যাঁর ভাবমূর্তি ছিল এক্কেবারে অন্য ধরনের। তিনি কোনও নারীর অসম্মান করতে পারেন, এমনটা যেন হতেই পারে না, তেমনই পরিষ্কার ভাবমূর্তি ছিল এই অভিনেতার। কিন্তু মিটু আন্দোলন শুরু হতে না হতেই অভিনেতার ‘মিথ্যা’ ভাবমূর্তি ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। সেই অভিনেতা কে বলুন তো?
তাঁর নাম অলোকনাথ। ‘হাম আপ কে হ্যায় কউন’-এর মতো ছবিতে ‘বাবুজি’র (পড়ুন বাবা) মতো সংস্কারী চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন অলোকনাথ। তিনি ভাল মানুষ, অভিনয় দেখেই অনুমান করে নিয়েছিলেন দর্শক। কিন্তু মুখোশের আড়ালে যে লুকিয়ে আছে ‘শয়তান’, তা অনেকেই বিশ্বাস করেননি। অনেকেই তাঁকে নির্দোষ ভাবেন। কিংবা ভাবেন তাঁকে মিথ্যাভাবে ফাঁসানো হয়েছে।
ভারতীয় দণ্ডবিধি সেকশন ৩৭৬ অনুযায়ী অলোকনাথ যৌন নির্যাতনে অভিযুক্ত হয়েছিলেন ২০১৮ সালে। এফআইআর করা হয়েছিল তাঁর বিরুদ্ধে। এবং এক টেলিভিশন প্রযোজক বিবৃতি দিয়েছিলেন। ফেসবুকে তিনি লিখেছিলেন, “এই কথাগুলো বলার সময় মনে হচ্ছে ভয়ের খাঁচা থেকে নিজেকে মুক্ত করছি আমি। আজ আমি খুশি যে, মুম্বই পুলিশের কাছে এফআইআরটি হয়েছে। মুম্বই পুলিশে আমার বিশ্বাস আছে এবং এই দেশের আইনের উপর আস্থা।”
তবে মুখ খোলার জন্য ১৯ বছর অপেক্ষা করেছিলেন সেই প্রযোজক। বলেছিলেন, “আমাকে নির্মমভাবে ধর্ষণ করেছিলেন অলোকনাথ। ভয়ানক ধর্ষণ ছিল সেটি। ধর্ষণের পরদিন আমার সারাশরীরে ব্যথা ছিল। কেবল ধর্ষণ নয়, আমার নিজের বাড়িতেই আমাকে বিশ্রীভাবে শারীরিক নির্যাতন করেছিল এই মানুষটা। বিছানা ছেড়ে উঠতেই পারছিলাম না। অনেক বন্ধুকেই কথাটা আমি বলেছিলাম, কিন্তু তাঁরা আমাকে সবটা ভুলে যেতে বলেছিলেন। আমি ভুলতে পারিনি।”
এই ঘটনাটি ঘটার পর অলোকনাথের কাছে লিখিত জবাব চেয়েছিল সিনে অ্যান্ড টিভি আর্টিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (CINTAA)। অলোকনাথের আইনজীবী জানিয়েছিলেন, সবটাই মিথ্যা অভিযোগ। অন্যদিকে অলোকনাথ নিজে বলেছিলেন, “সত্যি-মিথ্যা আমি নিজে কিছুই বলতে চাই না। তবে একটা কথাই আমি বলতে চাইব, নির্মম ঘটনাটি নিশ্চয়ই ঘটেছে। তবে ধর্ষক আমি নই।”