‘সঞ্জয় কি আর সবার নাম বলে দিত?’ সাজা ঘোষণায় উঠছে প্রশ্ন! বিস্ফোরক রুদ্রনীল
Rudranil Ghosh: সোমবার সেই বিচারের দিন। এদিন দুপুরে শিয়ালদহ আদালত সঞ্জয় রাইকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনালেন। এরপরই TV9 বাংলায় বিস্ফোরক রূদ্রনীল ঘোষ।
তিলোত্তমার বিচার চেয়ে কখনও তিনি গিয়েছেন জেলে, কখনও আবার বৃষ্টি ভিজে ধন্যায় বসেছেন। বারবার রাজনৈতিক রঙের বাইরে গিয়ে সাধারণ মানুষের হয়ে সওয়াল করেছেন। চেয়েছেন তিলোত্তমা বিচার পাক। সোমবার সেই বিচারের দিন। এদিন দুপুরে শিয়ালদহ আদালত সঞ্জয় রাইকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনালেন। এরপরই TV9 বাংলায় বিস্ফোরক রূদ্রনীল ঘোষ।
তিনি বললেন, “অভিনেতা বা নেতা হিসেবে নয়, পশ্চিমবঙ্গের একজন নাগরিক হিসেবে, যাঁরা আন্দোলনে ছিলেন, প্রত্যক্ষ করেছি, তাঁরা এই রায়েতে খুশি তো নয়, বরং অসন্তুষ্ট। প্রথম কথা হচ্ছে যে রেয়ারেস্ট অফ দ্য রেয়ার কেস বলে সিবিআইকে বোঝাতে হবে কেন? এটা প্রমাণের দরকার কি? সম্মানিয় বিচারক যিনি এই রায় দিয়েছেন, তাঁর রায়কে শিরোধার্য। তিনি কি জানতেন না রেয়ারেস্ট অফ দ্য রেয়ার কেস, যে নৃশংস ঘটনা ঘটেছিল, তাঁর তথ্যদি নিরিখে আজকে সঞ্জয়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ঘোষণা হল, কেন মৃত্যুদণ্ড নয়? আমার অনেক বন্ধুই ফোন করে বলছে, যদি মৃত্যদণ্ড ঘোষণা হত, তাহলে আমি একা মারা যাব কেন, এটা ভেবে সঞ্জয় কি আর সবার নাম বলে দিত? এই প্রশ্নগুলোই জনমানসে উঠছে।”
উল্লেখ্য, শনিবার তিলোত্তমার ঘটনায় সঞ্জয় রাইকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। এরপর সোমবার তার সাজা শোনায়। অপরাধীর আইনজীবীরা তার মৃত্যদণ্ড ঠেকাতে উঠেপড়েও লেগেছিলেন। অন্যদিকে, সিবিআই প্রথম থেকেই সওয়াল করছিল যাতে সঞ্জয়কে সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হয়। অপরদিকে, নাগরিক সমাজের একাংশ চাইছিল দোষী সঞ্জয়ের যাতে ফাঁসি হয়। এমনকী, শনিবার বিভিন্ন জায়গায় প্রতীকী ফাঁসি মঞ্চ বানানো হয়। তবে দেখা গেল আজ বিচারক অনির্বাণ দাস দোষী সঞ্জয় রাইকে আমৃত্যু যাবজ্জীবন কারাবাসের নির্দেশ দেন।