রুক্মিণীর কাছে বিনোদিনী একটা আন্দোলন, ‘তীর্থস্থানে’ পা রেখে আবেগঘন নায়িকা
Rumini Maitra: ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামায় পা রাখা মানেই এক প্রকার স্বপ্নপূরণের মতো। NSD-র সঙ্গে এমনই আবেগ জড়িয়ে রয়েছে সকলের। যে তালিকা থেকে বাদ পড়েননি রুক্মিণী মৈত্রও।
নটী বিনোদিনী, বাংলার বুকে আজ থেকে প্রায় দেড়শো বছর আগে যিনি পুরুষ সমাজকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নিজের দাপটে মঞ্চে রাজত্ব করেছিলেন। যাঁর অভিনয় মুগ্ধ করেছিল স্বয়ং শ্রীরামকৃষ্ণদেবকে, সেই নটীর কাহিনি এবার বড়পর্দায়। টানা চার বছরের চেষ্টায় এই চরিত্রকে বুনেছেন পরিচালক রামকমল মুখোপাধ্যায়। আর সেই চরিত্রকে লালন পালন করেছেন রুক্মিণী মৈত্র। দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে সেই ছবি দর্শক দরবারে আসতে চলেছে। আর ঠিক সেই মুহূর্তেই সমাজের বিভিন্নস্তরে চর্চিত হচ্ছে সেই কিংবদন্তি শিল্পীর নাম।
সম্প্রতি স্টার থিয়েটারের নাম পাল্টে করা হল বিনোদিনী থিয়েটার। যে খবরে চোখে জল এসেছিল রুক্মিণীর। এখানেই শেষ নয়, ছবি মুক্তির আগে আরও একবার ‘নটী বিনোদিনী’ নিয়ে আবেগঘন নায়িকা। কারণ সদ্য বিনোদিনীকে নিয়ে বিশেষ আলোচনার আয়োজন করা হল ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামায়। সেখানেই বিশেষভাবে আমন্ত্রিত হন রুক্মিণী মৈত্র।
NSD-র তরফে আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে গিয়েছে পরিচালক রামকমল মুখোপাধ্যায়ের কাছেও। ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামায় পা রাখা মানেই এক প্রকার স্বপ্নপূরণের মতো। NSD-র সঙ্গে এমনই আবেগ জড়িয়ে রয়েছে সকলের। যে তালিকা থেকে বাদ পড়েননি রুক্মিণী মৈত্রও।
সেখানে গিয়ে পর্দার বিনোদিনী বললেন, “যে কোনও অভিনেতার কাছেই ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামা তীর্থস্থানের থেকে কম নয়। এনএসডি-র ছাত্র হওয়ার স্বপ্ন প্রতিটা অভিনেতাই দেখেন। যেহেতু ‘বিনোদিনী- একটি নটীর উপাখ্যান’ ছবিটি ভারতের প্রথম মহিলা থিয়েটার সুপারস্টারকে নিয়ে, তাই NSD-র পড়ুয়াদের সঙ্গে এই পথচলা নিয়ে আলোচনার করার সুযোগ পাওয়া ভীষণই সম্মানের।”
এখানেই শেষ নয়, রুক্মিণী আরও বলেন, “পরিচালক রামকমল মুখোপাধ্যায়ের কাছ থেকেই জানতে পারি যে নাট্যব্যক্তিত্ব সীমা বিশ্বাস ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামার অডিটোরিয়ামে এক ইংরেজি নাটকে বিনোদিনী দাসীর ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। বিনোদিনীর এই উত্তরাধিকার এগিয়ে নিয়ে যাওয়া নিঃসন্দেহে বড় একটা দায়িত্ব। আমার পরিচালক, প্রযোজকদের অসংখ্য ধন্যবাদ যে ওঁরা আমার উপর ভরসা রেখেছেন। আমার কাছে বিনোদিনী শুধু একটা সিনেমা নয়, নারী ক্ষমতায়নের জন্য একটা আন্দোলন।”
একইভাবে পরিচালকও নিজেকে ধন্য মনে করলেন। রামকমলের কথায়, “NSD নাটকের পীঠস্থান। ‘বিনোদিনী- একটি নটীর উপাখ্যান’ টিম এবং আমার জন্যে এটা বড় সম্মানের। বিনোদিনী দাসী ছিলেন বাংলা থিয়েটারের একজন আইকনিক ব্যক্তিত্ব। তাঁকে নিয়ে যখন ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামায় বিশেষ আলোচনাচক্রের আয়োজন হচ্ছে, তখন মনে হচ্ছে আমরা আমাদের ছবিটিকে নিয়ে ঠিক পথেই এগোচ্ছি।”
আর মাত্র কয়েকটা দিনের অপেক্ষা। পলক গুনছেন বাংলা ছবির দর্শকেরা। যদিও এই ছবি জাতীয়স্তরে মুক্তি পেতে চলেছে। ২৩ জানুয়ারি বড়পর্দায় আসছে নটী বিনোদিনী। তার একদিন পর সর্বত্র এই ছবি মুক্তি পেতে চলেছে। এখন দেখার, রুক্মিণী তাঁর কেরিয়ারের সবচেয়ে বড় বাজিমাত করতে পারলেন কি না…।