Rajasthan News: হোয়াটসঅ্যাপে স্টেটাস লিখে আত্মঘাতী বধূ! রেখে গেলেন বড় ইঙ্গিত, লিখলেন…
Rajasthan News: দিনের পর দিন চলতে থাকা এই নির্যাতন আর নিতে পারছিলেন দুর্গা। চাইলে হয়তো লড়াই চালাতে পারতেন, কিন্তু জীবনের কাছে কার্যত হার মেনে নেয় সে, এমনটাই জানা যায় মৃতার পরিবার সূত্রে।
জয়পুর: জলের ট্যাঙ্কে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী বধূ। ঘটনা রাজস্থানের। পণের চাপ সহ্য করতে না পেরেই আত্মঘাতী হন তিনি। কিন্তু মৃত্য়ুর আগে ছেড়ে গেলেন বিরাট প্রমাণ। হোয়াটসঅ্যাপে স্টেটাস দিয়ে লিখে গেলেন সুইসাইড নোট।
মৃতের নাম দুর্গা কানওয়ার। ২০২১ সালে তিনি বিয়ের করেন দিলীপ সিং নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে। বিয়ের পর সব কিছু ঠিক থাকলেও, পরিস্থিতিতে শীঘ্রই বদল আসতে শুরু হয়। বিয়ের কয়েক মাস পর থেকেই শুরু হয় মানসিক নির্যাতন। বারংবার বৌমাকে নিজের বাড়ি থেকে টাকা চেয়ে আনতে বলতেন খোদ শ্বশুর, এমনটাই অভিযোগ। শ্বশুরের সঙ্গে নাকি সেই নৃশংস খেলায় সমান তালে সঙ্গ দিতেন দুর্গার শাশুড়ি এবং ননদও।
দিনের পর দিন চলতে থাকা এই নির্যাতন আর নিতে পারছিলেন দুর্গা। চাইলে হয়তো লড়াই চালাতে পারতেন, কিন্তু জীবনের কাছে কার্যত হার মেনে নেয় সে, এমনটাই জানা যায় মৃতার পরিবার সূত্রে। তবে মৃত্যুর আগে একবার শেষ চেষ্টাটা করে গেলেন দুর্গা। আত্মঘাতী হলেন কিন্তু লিখে গেলেন যন্ত্রণার দিনগুলোর কথা। হোয়াটসঅ্যাপে স্টেটাস দিয়ে নিজের সুইসাইড নোটটা রেখে যান দুর্গা।
ইতিমধ্যে, সেই স্টেটাস ধরেই তদন্তে নেমেছে পুলিশ। মামলা দায়ের হয়েছে শ্বশুড়বাড়ির বিরুদ্ধে। ঘটনার দিন মেয়ের হোয়াটসঅ্যাপ স্টেটাস দেখে একেবারে থমকে যান বাবা-মা। খোঁজ করেন তার শ্বশুড়বাড়িতে। কিন্তু ততক্ষণে যে সব কিছু শেষ হয়ে গিয়েছে। বাড়ির জল ট্যাঙ্কে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়ে যায় মেয়ে। তার সঙ্গে যে দিনের পর দিন পণের দাবি তুলে নির্যাতন চলেছে, সেই বিষয়ে কোনও ধারণাই ছিল না খোদ বাবার।
কী এমন লিখে গেলেন দুর্গা?
মৃত্যুর আগে হোয়াটসঅ্য়াপে স্টেটাসে লিখে গেলেন সুইসাইড নোট। তিনি লিখলেন, ‘আমি আত্মহত্যা করছি। শ্বশুড় আর ননদের অত্যাচার সহ্য করতে করতে ক্লান্ত হয়ে উঠেছি। আর পেরে উঠছি না তাদের সঙ্গে। মা-বাবা, তোমাদের অনেক মিস করছি। আমার শাশুড়ি হাতকড়া পরাতে খুব ভালবাসেন। আমার মৃত্যুর পর তার সেই মনস্কামনা পূরণ কর তোমরা।’