গুরুজির ধমকে বিজ্ঞান পড়া ছাড়তে হয় অরিজিৎকে, ইতিহাস ক্লাসে কাঁদতেন খুব…
Arijit Singh Secrets: লেখাপড়ায় ভাল ছিলেন অরিজিৎ। অঙ্ক ছিল দোসর, ইতিহাসের সঙ্গে ছিল আড়ি। ক্লাস টেন পাশ করার পর অন্যান্য বন্ধুদের মতো বিজ্ঞান নিয়ে শুরু করেন লেখাপড়া। বিজ্ঞানের অনেক চাপ। দিনরাত বইয়ে মুখ গুঁজে থাকা ছাড়া আর কোনও কাজ নেই তাঁর। এমন পরিস্থিতিতে সপ্তাহের পর-সপ্তাহ কেটে যায়। গুরুজির বাড়ি যাওয়া বন্ধ। রেওয়াজও বন্ধ। শিষ্যের এমন আচরণে মনে-মনে অসন্তুষ্ট হতে শুরু করেন গুরুজি। তারপরই ধমক আসে ধেয়ে।
দিনের পর-দিন রেওয়াজে ফাঁকি। মাস গড়িয়ে যায়। দেখা মেলে না অরিজিৎ সিংয়ের। খোঁজ পড়ে চারিদিকে। কোথায় তিনি? এক মাস পরে গুরুজির কাছে হাজির হলেন গায়ক। আর তারপরই এলোপাথাড়ি ধমক সেই ঘরে। কেন রেওয়াজে এত ফাঁকি? কেন…?
লেখাপড়ায় ভাল ছিলেন অরিজিৎ। অঙ্ক ছিল দোসর, ইতিহাসের সঙ্গে ছিল আড়ি। ক্লাস টেন পাশ করার পর অন্যান্য বন্ধুদের মতো বিজ্ঞান নিয়ে শুরু করেন লেখাপড়া। বিজ্ঞানের অনেক চাপ। দিনরাত বইয়ে মুখ গুঁজে থাকা ছাড়া আর কোনও কাজ নেই তাঁর। এমন পরিস্থিতিতে সপ্তাহের পর-সপ্তাহ কেটে যায়। গুরুজির বাড়ি যাওয়া বন্ধ। রেওয়াজও বন্ধ। শিষ্যের এমন আচরণে মনে-মনে অসন্তুষ্ট হতে শুরু করেন গুরুজি। তারপরই ধমক আসে ধেয়ে।
অরিজিৎকে তিনি বলেছিলেন, “সারাদিন এত কীসের পড়া? বিজ্ঞানী হবে নাকি তুমি?” তাতেই টনক নড়ে যায় অরিজিতের। নিজেকেই প্রশ্ন করেন, “কী হতে চান তিনি? গায়ক না বিজ্ঞানের ছাত্র?” তারপরই অঙ্ক, পদার্থ বিজ্ঞান, জীবন বিজ্ঞান এবং রসায়ন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে শুরু করেন। স্কুল ছেড়ে চলে যান কলেজে। সে সময় কলেজেই একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণি পড়ানো হত। কলা বিভাগে ভর্তি হন অরিজিৎ। খারাপ লাগার বিষয় ইতিহাস নিয়েছিলেন জোর করে। কিন্তু দর্শন (পড়ুন ফিলোজ়ফি) বিষয়টি মন ভাল করে দেয় তাঁর।
এভাবেই গানকে ভালবাসতে গিয়ে বিজ্ঞানের সঙ্গে আড়ি করেছিলেন অরিজিৎ। সেদিন যদি গুরুজি তাঁকে ধমক না দিতেন, তা হলে হয়তো গানের মঞ্চে না গেয়ে দেশ-বিদেশের কোনও এক ল্যাবেই লুকিয়ে যেতেন অরিজিৎ। হয়তো কণ্ঠের পরিবর্তে এই দুনিয়ায় বাজত তাঁর নব-অবিষ্কারের কলরব।